আনন্দবাজারের হাতে কি অঞ্জনা-সুমিদের রক্ত লেগে আছে?

0
2850

প্রজ্ঞা পারমিতা

 

সেকুলার লিবারেলদের বক্তব্য

শ্রদ্ধেয় মিডিয়া হাউস আনন্দবাজারে জনৈকা সোমাইয়া আখতার জানিয়েছেন, “লভ জিহাদটা কী! আমি তো কুলীন ব্রাহ্মণকে বিয়ে করেছিলাম হিন্দু রীতিতে”। ভালো কথা। তারপর তিনি বোধহয় বলতে চেয়েছেন যে প্রতিদিনই হিন্দু-মুসলমানে বিবাহ হচ্ছে। তা নিয়ে কিছু কথা বলার নেই।

লিবারেল ও সেকুলারপন্থীদের অভিমত, এরকম একটা স্বাভাবিক ঘটনার মধ্যে কিছু উগ্রবাদী মানুষ ‘লাভ জিহাদ’ খুঁজে পেয়েছেন তার রেশ ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তর বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সংস্থাকে বয়কট করার হাঁক দিয়েছে। পাশাপাশি উঠে এসেছে শো-রুমে ভাঙচুরের খবর। ফলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সংস্থাটি এই বিজ্ঞাপন তুলে নিতে বাধ্য হয়।

সেকুলারদের আরও বক্তব্য, এখানে কোথায় লাভ জিহাদ কোথায় দেখানো হয়েছে? হিন্দু-মুসলমান বিয়ে অর্থাৎ আন্তর্ধর্মীয় বিয়ে প্রেমের বিয়ে কি বিয়ে নয়? তাহলে একজন কি এই ভাবনা মাথায় নিয়ে বিয়ে করে যে, তার কমিউনিটিতে একজন হিন্দুকে মুসলমান করা গেল বা একজন মুসলমানকে হিন্দু? সেটা যখন না হয় তাহলে লাভ জিহাদের প্রসঙ্গ উঠছে কোন প্রসঙ্গে? অন্যের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন কিংবা ব্যক্তিগত পরিসরে পরস্পরের আনন্দকে ভাগ করে নেওয়া কি লাভ জিহাদ?

তথ্য কি বলে?

প্রত্যেকটি হিন্দু মুসলমান বিয়েই যে লাভ জিহাদ এ কথা কেউই বলছে না। কাজী নজরুল ইসলামকে কোন হিন্দু সম্মান না করে? কিন্তু এ কথা দেখাই যাচ্ছে বহু হিন্দু-মুসলমান তথাকথিত প্রেমের ঘটনাতেই প্রেমেই চেয়ে ধর্মান্ধতাই চোখে পড়ছে।

ঘটনা এক

বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তন করতে অস্বীকার করায় উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রতে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল ২৩ বছরের এক মহিলাকে। অভিযোগ, মহিলার স্বামী ও বন্ধু চক্রান্ত করে মহিলাটিকে ক্রোধের বশে খুন করেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, এই ঘটনায় জড়িত ওই মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোনভদ্রের পুলিশ সুপার আশিস শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, প্রীত নগরের ছোপান পুলিশ স্টেশনের কাছাকাছি একটি জঙ্গল এলাকাতে ওই মহিলার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিলে অবিলম্বে ফোর্স সেখানে পৌঁছে যায়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলার ছবি পোস্ট করে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।

পরে জানা যায় ওই মহিলার নাম প্রিয়া সোনি। প্রায় দেড় মাস আগে সে পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে ইজাজ নামে এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করে।

প্রীত নগরের বাসিন্দা লক্ষীণারায়ণ মৃত মহিলাটিকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করেন এবং মহিলার জুতো এবং জামাকাপড় দেখে শনাক্ত করেন। পুলিশকে দেওয়া তাঁর বয়ান থেকে জানা যায়, তার মেয়ে প্রিয়া দেড় মাস আগে পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে ইজাজ আহমেদ নামে এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করে। বিয়ের পর ওরা ওবরা এলাকায় একটি বাড়িতে থাকতো। ইজাজের পরিবার ও ইজাজ তাকে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছিল। এবং তার মেয়ে রাজি না হ‌ওয়ায় প্রাণ দিতে হলো।

ঘটনা দুই

উত্তরপ্রদেশের কানপুরের জুহি কলোনির শালিনী যাদব এবং লক্ষ্মীপুর খেরির আঠারো বছর বয়সী দলিত সম্প্রদায়ের একটি মেয়ের টুকরো টুকরো দেহ পাওয়া যায় কাছাকাছি মজে যাওয়া পুকুরে। দুজনেই লাভ জিহাদের শিকার।

কানপুর পাঙ্কি কেসে দুই অভিযুক্ত মহসিন খান এবং আমিরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গোবিন্দ নগরে মুসকানের কেসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, কালা জাদু, ব্রেন‌ওয়াশ এবং ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে ওঠে। এইসমস্ত মামলা কানপুর আদালতে ওঠে এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বাধ্য হয় স্পেশাল তদন্তের দল গঠনের জন্য।

ঘটনা তিন

উত্তরপ্রদেশে একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সময় অঞ্জনাকে জোর করে ধর্ষণ করে আসিফ নামের এক ব্যক্তি। তারপর চাপে পড়েই দুজনের বিয়ে। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে অকথ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন ওই তরুণী। তরুণী জানিয়েছেন, সৌদি আরবে থাকা স্বামীকে উনি বার বার বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন কিন্তু তার স্বামী সে বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। পুলিশে অভিযোগ নথিভুক্ত করার পর অফিসাররা ঘটনা খতিয়ে দেখার আগেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই তরুণী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল তিনি মারা যান।

ঘটনা চার

ঘটনাটি বীরভূম জেলার রামপুরহাটের। মৃত কিশোরীর নাম ছিল সুমি লেট। তাকে অপহরণ করে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তার বাবা ধানু লেট।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সুমি। রামপুরহাট থানায় দায়ের করা হয় অপহরণের লিখিত অভিযোগ। কিন্তু খবর পাওয়া যায়, সেই সময় সুমিকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে শেখ ঝন্টু। দীর্ঘদিন পর পরিবারের লোকজন খবর পায় সিউড়ি হাসপাতাল সুমি মারা গেছে। হাসপাতালে গিয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে বাবা ধানুর লেটের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, দিন ১৫ আগে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সিউড়ি হাসপাতালে ভরতি করা হয় সুমিকে। ওই হাসপাতালেই শনিবার মৃত্যু হয় তার। উল্লেখ্য, এদিন সুমির মৃত্যুর পরে তার দেহ নেয়নি শেখ ঝন্টু। উলটে অভিযোগ ধানু লেটের বাড়ির ঠিকানা দিয়ে চম্পট দেয় শেখ ঝন্টু।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বাড়ির অমতে ভিন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করেছিল মৃতা কিশোরী। সুমি নাবালিকা হওয়ার কারণে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিল লেট পরিবার। ধানু লেট দাবি করেছিল সিউড়ির আশেপাশেই সুমিকে নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে ছিল ঝন্টু। সুমিকে ঝন্টুই পুড়িয়ে মেরেছে বলেও অভিযোগ মৃতার বাবা ধানু লেটের।

ঘটনা পাঁচ

ঘটনাটি উত্তর প্রদেশ রাজ্যের। অভিযুক্ত ৪২ বছরের আবদুল্লাহ। বাড়িতে রয়েছে চার স্ত্রী-সহ চার সন্তান। অভিযোগ, আবদুল্লাহ এক নাবালিকাকে ‘আমান চৌধুরী’ নাম নিয়ে অপহরণ এবং ধর্ষণ করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছিল, আবদুল্লাহ নিজের পরিচয় গোপন করে এবং নাম পরিবর্তন করে মেয়েটিকে অপহরণ করে। সে নিজেকে যুবক প্রমাণ করার জন্য পরচুলা ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা গত ৩‌ সেপ্টম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল এবং তার বাবা-মা থানায় নিঁখোজ ডায়েরি করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পর জেরার মুখে অপহরণের কথা‌ স্বীকার করে আব্দুল্লাহ। পুলিশ সন্ধান করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।

আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সে আগেও অনেক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ‘আমান চৌধুরী’ নাম ভাঁড়িয়ে যুবক সেজে মেয়েদের সঙ্গে দেখা ও প্রলুব্ধ করে। তিনি মিরাটের কাঁকরখেদা এলাকার বাসিন্দা।

সে জেরায় স্বীকার করেছিল পকেটে সব সময় পরচুলা বহন করে এবং তার বয়স লুকানোর জন্য এটি ব্যবহার করে। পুলিশকে একথাও জানিয়েছিল যুবতী মেয়েদের মুগ্ধ করতে এবং তারপরে ধর্ষণ করার জন্য নিজেকে ‘আমন চৌধুরী’ বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অপহরণের অপরাধে এবং পকসো আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

ঘটনা ছয়

ঘটনাটি মোরাদাবাদ এলাকার। এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে অপহরণ করে আসিফ নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার সূত্রপাত ফেসবুক থেকে। আসিফ ফেসবুকে ‘বান্টি ত্যাগি’ নাম নিয়ে ফেসবুকে ফেক প্রোফাইল খুলেছিল। আসিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কে যোগাচ্ছে বেকার দরিদ্র মুসলমান যুবকদের অপরিমিত অর্থ?

এসব ঘটনা মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণের নজরে আসতেই গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন মহলে। সন্ধান শুরু হয়ে যায় এই লাভ জিহাদ আসলে কী? লাভ জিহাদের পেছনে কাজ করছে কোন চক্র। বিশিষ্টজনদের বক্তব্য, বেশিরভাগ লাভ-জিহাদ কেসে দেখা যায় অভিযুক্ত ভীষণ দরিদ্র পরিবারের ছেলে। সেরকম আর্থিক রোজগারের সংস্থান নেই। কিন্তু যখন কোনো হিন্দু মেয়েকে ফাঁদে ফেলার পরিকল্পনা করা হয় তখন দেখা যায় তারা দামী দামী জামাকাপড় পরছে, মেয়েটাকে প্রচুর টাকাপয়সা দিচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায় এই টাকা কোত্থেকে কীভাবে আসে?

উল্লেখ্য, শালিনী যাদবের কেসের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল তার ভাই অভিযোগ করেছে,

“ফয়জল বেকার এবং তার বাবা সামান্য একটা কাঠের দোকানে কাজ করে তাহলে সে তার দিদিকে কানপুর থেকে দিল্লি এবং দিল্লি থেকে প্রয়াগরাজ নিয়ে যাওয়ার টাকা কোথা থেকে পেলো? সে দিল্লি হাইকোর্ট এবং উত্তরপ্রদেশ হাট কোর্টে তার মামলা লড়ার জন্য সবচেয়ে হেভিওয়েট সিনিয়র আইনজীবী কীভাবে জোগাড় করলো?” শালিনীর ভাই বিকাশ আর‌ও দাবী করেছে, “তাহলে নিশ্চয় কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন আছে যারা এই বিষয়ে টাকা ঢালে।”

বজরং দলের রাষ্ট্রীয় মহিলা পরিষদের সভানেত্রী নিধি অগস্থির অভিমত,” পুরো লাভ-জিহাদ চক্রটা কখনো একার দ্বারা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এর পিছনে অনেকগুলো পাকা মাথা কাজ করে যারা দিনের পর দিন জলের মতো টাকা খরচ করে এবং প্রিপ্ল্যানড এই ক্রাইমের হাত থেকে বাঁচার জন্য আইনি সাহায্য করে।” তিনি আরও বলেন, “এসব ক্ষেত্রে কাস্ট দেখে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। তেমন:- যদি ব্রাহ্মণ বা ঠাকুর পরিবারের মেয়েকে টার্গেট করা হয় তবে ছেলেটি পাঁচ লাখ টাকা অবধি পায়। যাদব বা গুপ্তাদের ক্ষেত্রে তিনলাখ অবধি টাকা পাওয়া যায়। মেয়েটি যদি তপশিলী জাতি বা তপশিলী উপজাতির হয় তাহলে দু থেকে আড়াই লাখ টাকা অবধি পাওয়া যায়।” তাঁর মতে সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমে ছেলেগুলো বেছে বেছে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে এবং বিভিন্ন ভাবে তাদের ইমপ্রেস করে। তারপর দেখাসাক্ষাৎ করে এবং আস্তে আস্তে ফাঁদে ফেলে।

আবার, মুসকান তিওয়ারির কেসে দেখা যায় মুসকান ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে।তাকে জাজমৌ নগরের বাসিন্দা আসিফ শাহ আলিয়াশ নাফিজ কালাজাদু করে বশ করেছিলো। এবং জোরজবরদস্তি তাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করা হয়।

বজরং দলের যে সমস্ত কর্মী গ্রাউন্ড লেভেলে কাজ করেন তাদের বক্তব্য, ” লাভজিহাদ একটি সুগঠিত এবং সুপরিকল্পিত অপরাধ। লাভ-জিহাদ চক্র সারা দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করতে চাইছে এবং গৃহযুদ্ধ লাগানোর পরিকল্পনা করছে।”

সোমাইয়ার বক্তব্য

সোমাইয়া নিজেই বলেছেন শ্বশুরবাড়ীতে উদারতার কথা। মেয়ের নাম ইসলামী মোতাবেক রাখার ইচ্ছার কথা। সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলেছেন,

আমার চাচাতো ভাই বিয়ে করেছেন হিন্দু মহিলাকে। তাঁকে ইসলাম ধর্ম নিতে হয়েছে।

লাভ জিহাদের ক্ষেত্রে এই অভিযোগই তোলা হয় যে জোর করে নারীদের ধর্ম পরিবর্তন করতে বলা হয়। সেই কথাই উনিও কার্যত স্বীকার করে নিলেন।

উনি একজন মুসলমান পরিচয় না দিতে চাওয়া স্ত্রীর পুজো করাকে মুসলমানদের পরধর্ম সহিষ্ণুতার উদাহরণ দিলেন। তা কি সত্যিই যথাযথ হল?

গড় মুসলমানদের বাড়িতে কি নটরাজ মূর্তি সজ্জিত থাকে যেমনটি বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে?

প্রোপাগাণ্ডার মাধ্যমে ক্ষতি

মুসলমানরা যদি তাঁদের বিশ্বাস মোতাবেক বাড়িতে মূর্তি না রাখতে চান, সাধভক্ষণ না করতে চান, তাতে কোন অসুবিধা নেই। যদি তাঁরা কুরাণের কথা মত মূর্তিপূজাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃণ্য অপরাধ মনে করেন, তাতো তাঁদের বিশ্বাসের অধিকার। তাতে তাঁদের কোন অপরাধ তো নেই-ই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই বিজ্ঞাপনগুলো এবং আনন্দবাজারের এই লেখাগুলোতে। এতে হিন্দু মেয়েদের মাঝে ইসলামীয় সংস্কৃতি সম্বন্ধে অলীক ধারণা সৃষ্টি হয়। সুমি লেটের মত অল্পবয়স্কা নারীরা সেইমত মুসলমান প্রেমিকের কাছে এগিয়ে যান। কিন্তু বাস্তব যখন তানিষ্কের বিজ্ঞাপন আর আনন্দবাজারের লেখার সাথে মেলে না, তখন হিংসার দিকেই ঘটনাক্রম রূপ নেয়।

তাই আনন্দবাজারের হাতেই লেগে আছে সুমি লেটের রক্ত, নয় কি?