দিশা শালিয়ান মামলার নতুন মোড়, আত্মহত্যা না ধর্ষণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

0
621

বঙ্গদেশ ডেস্ক: বলিউডের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে সারা দেশজুড়ে যতবার চর্চা হয়েছে, ততবারই ঘুরে ফিরে এসেছে দিশা শালিয়ানের নাম৷ দিশা সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার ছিলেন৷ সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তাঁরও মৃত্যু হয়েছিল অস্বাভাবিক ভাবে৷ তাঁর মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি খুন, এই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷

এবার সামনে এল নতুন এক তথ্য৷ একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, যে পার্টি চলাকালীন দিশা শালিয়ানের মৃত্যু হয় সেই পার্টিতে চারজন মিলে গণধর্ষণ করে তাঁকে৷ তারপর‌ই তাঁর মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর,
ফরেনসিক রিপোর্টেও চোটের উল্লেখ মিলেছে। প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা শালিয়ানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় নতুন এক চাঞ্চল্যকর মোড় এসেছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছে, দিশা শালিয়ান ৮ জুন তাঁর মৃত্যুর পূর্বে যে পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন, সেখানে ৪ জন তাঁকে গণধর্ষণ করে। জুহু বিচের সেই পার্টিতে এত জোর মিউজিক বাজছিল, যে তাঁর চিৎকারের আওয়াজ কারও কানে পৌঁছায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে দিশা শালিয়ানের বাগদত্ত রোহান রাই-সহ পার্টিতে মোট ছ’জন ব্যক্তি ছিলেন। বিজেপি নেতা নীতীশ রেন ৮ ডিসেম্বর দিশার মৃত্যুর পর থেকে রোহানের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে সমানে প্রশ্ন উত্থাপন করে আসছেন এবং সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সেলিব্রিটি ম্যানেজার দিশা শালিয়ানের মৃত্যু মামলায় রোহান রাইয়ের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করা উচিত।’’

সেই প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, পার্টিতে একজন ফিল্মস্টারেল ছেলেও ছিল। চারজনের মধ্যে একজন দিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অন্যজন একজন মন্ত্রীর বডিগার্ড। যদিও দিশার পরিবার ধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দিশার মা বাসন্তী শালিয়ান বলেছিলেন, “এই সব মিথ্যা অভিযোগ। মালওয়ানি পুলিশের কাছে সমস্ত নথি রয়েছে। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেছি। মুম্বই পুলিশ তাদের কাজটি সঠিকভাবে করছে এবং তাই আমরা মুম্বই পুলিশকে বিশ্বাস করি।”

দিশা শালিয়ানের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে ১৪ তলা থেকে পড়ে মারা যাওয়ার সময় তাঁর শরীরে কাপড় ছিল না। এর ফলে দিশা যে আত্মহত্যা করেছিলেন সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গতমাসে বিজেপি নেতা নীতিশ রেন দাবি করেন দিশা শালিয়ান সুইসাইড করেননি৷ কারণ অটোপ্সি রিপোর্টে তাঁর গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।

৮ জুন দিশার মৃত্যুর পরেও তার ফোন চালু ছিল। ৯ থেকে ১৭ জুনের মধ্যে তার ফোন থেকে ইন্টারনেট কল করা হয়েছিল। দিশার মৃত্যুর কয়েক মিনিটের মধ্যে মুম্বই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেও কোনও ফোনের হদিশ তারা পাননি বলেই জানা গিয়েছে। দিশার মৃতদেহটি কম্পাউন্ডের পাঁচিল থেকে প্রায় ১৪-১৫ ফুট দূরে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে, যা আত্মহত্যার ক্ষেত্রে কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলে বিশেষজ্ঞদের মত। মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে দিশা শালিয়ান মামলার ফাইলগুলো অনিচ্ছাকৃতভাবে হারিয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।