ইসরায়েল ও বাহারাইনের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন, ইহুদিদের কাছে মধ্যপ্রাচ্যের চতুর্থ দেশের আত্মসমর্পণ

0
530

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল আগেই, সত্যিটা জানা গেল যখন দুদেশের প্রতিনিধিরা এলেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে, একসাথে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর এবং জর্ডানের সাথে আগেই সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তি সই হয়েছিল ইসরাইলের। চতুর্থ আরব দেশ হিসেবে বাহরাইন আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বাহরাইনের রাজধানী মানামায় রোববার এই চুক্তিটি সই হয়।
তাদের পরে বাহরাইন এখন চতুর্থ আরব দেশ – যারা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে।

সুন্নী আরব দেশগুলির সামরিক ক্ষমতা নেই যা দিয়ে তারা ইরানকে আটকাতে পারে। আমেরিকার থেকে উন্নত অস্ত্র কিনলেও তাদের সেনাবাহিনী যুদ্ধে পরীক্ষিত নয়। আরবের দেশের সেনাকে উন্নত অস্ত্র দিলেও সেভাবে সেনার উপর ক্ষমতা ছাড়ে না, বিদ্রোহর ভয়। তার উপরে এসব দেশের বাহিনীতে ভয়ানকভাবে ‘নেপোটিজম’ রয়েছে। রাজপরিবারের সদস্য হলে দ্রুত এগানো যায়, নইলে কোনো দাম নেই। উচ্চ পদ পাওয়া যায় না। প্রোমোশনও হয় দেরীতে।

রোববার সন্ধ্যায় মানামায় একটি অনুষ্ঠানে বাহরাইনি ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে একটি যৌথ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এখন দুই দেশেই দূতাবাস খোলার কথা রয়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, ওই নথিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ নিয়েও কোনো উল্লেখ ছিল না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তাঁর ফেসবুক পেজে নিজের আনন্দ ব্যক্ত করেন। ইসরায়েলী বিদেশমন্ত্রক আরো কিছু মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সাথে চুক্তি করার আশা রাখছে। এদিন মোট সাতটি চুক্তি সই হয় ইসরায়েল ও বাহরাইনের মধ্যে।

১) অর্থ্যনৈতিক ও বাণীজ্যিক সহযোগীতা

২) অসামরিক বিমান চালনা

৩) যোগোযাগ সহযোগিতা ও তথ্যের আদানপ্রদান

৪) ট্রেজারি সহযোগিতা

৫) কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা

৬) বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার মধ্যে চুক্তি

৭) কূটনীতিকদের জন্যে ভিসার অব্যাহতি

চুক্তি স্বাক্ষরের পরে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুললতিফ বিন রশিদ আল-জায়ানি এক বক্তব্যে বলেন যে তিনি দুই দেশের মধ্যে “প্রতিটি ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা” প্রত্যাশা করছেন।

ফিলিস্তিনিরা এই কূটনৈতিক পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলছে, এটা তাদের পিঠে ছুরি মারার মত কাজ হয়েছে।