অংশুমানের সমর্থনের পোস্টে বিদ্যাসাগরকে নিয়ে কদর্য মন্তব্য যাদবপুরের অধ্যাপিকার

0
1674

বঙ্গদেশ ডেস্ক: সম্প্রতি বামপন্থী কবি-অধ্যাপক অংশুমান করের বিরুদ্ধে ছাত্রী নিগ্রহ সহ একাধিক অভিযোগের পর তোলপাড় হয়েছে রাজ্যের শিক্ষক- সাংস্কৃতিক মহল। প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুবোধ সরকার সকলেই এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন। তবে সকলের বিপরীতে হেঁটে অংশুমানের হয়ে সাফাই গাইলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপিকা সুতপা সেনগুপ্ত। অংশুমানকে সমর্থন করার পাশাপাশি তিনি দাবি করেন যে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও একজন অসহায় মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তাঁদের একটি সন্তানও হয়েছিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া অংশুমান কর ও তাঁর ছাত্রীর কথোপকথনের অডিও রেকর্ড শুনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপিকা সুতপা সেনগুপ্তের মনে হয়েছে সেটি নিতান্তই ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভাঙনজনিত কদর্যতা। ফেসবুক পোস্টে তাঁর এই মত প্রকাশের পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন যে অংশুমান করের সঙ্গে বন্ধুত্ব ত্যাগ করার কথা তিনি ভাবছেন না।

ফেসবুক পোস্টটিতে সুতপা লিখেছেন, ‘অংশুমান ও তার ছাত্রীর কথোপকথন অডিও শুনলাম। এটিকে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভাঙনজনিত কদর্যতা বলে বুঝেছি। অংশুমানকে কবিসতীর্থ হিসেবে ত্যাগ করার কোনও কারণ আমার বিবেচনায় নেই।
পুনশ্চ, কোনও যুক্তিহীন, অশ্লীল বা খিল্লি মন্তব্য এই পোস্টে এলে, তা অবশ্যই ডিলিট করব।’

তবে এই ফেসবুক পোস্টটির মাধ্যমে ছাত্রীটির সঙ্গে অংশুমান করের সম্পর্ককে সমর্থন করার পাশাপাশি তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের এক অজানা সম্পর্কের কথাও বলেন একটি মন্তব্যে। তাঁর দাবি অনুযায়ী, বিদ্যাসাগর মশাই এক অসহায় মহিলাকে সহায়তা দিয়েছিলেন, পরে সেই মহিলার সঙ্গে বিদ্যাসাগরের সম্পর্ক স্থাপন হয় এবং এক সন্তানও হয়। কুমোরটুলিতে সেই পরিবার রয়েছে।

নিজের ফেসবুক পোস্টটিরই একটি কমেন্টে তিনি লেখেন, ‘আমার বাবা অনেকদিন আগে, তখন আমি ক্লাস এইট, জানিয়েছিলেন, কুমোরটুলির একটি পরিবারের কথা। তাঁরা বিদ্যাসাগর মশায়ের বংশধর। এক অসহায় মহিলাকে তিনি সহায়তা দিয়েছিলেন, পরে তার সঙ্গে বিদ্যাসাগরের একটি সম্পর্ক ঘটে যায় ও এক সন্তান হয়। এরপর বাবা জিজ্ঞাসা করেন, এটা জেনে আমার খারাপ লাগল কিনা। আমার বয়েস কম তখন, খারাপই লেগেছিল। বাবা বলেছিলেন — ‘আমি বিদ্যাসাগরকে আরও ভালোবাসলাম। ওঁকে আরও মানবিক চেহারায় দেখলাম।’ ‘