পাকিস্তানের ‘আউরাত মার্চ’ ইসলামবিরোধী নয়, একটি নারী স্বাধীনতার আন্দোলন

0
672

বঙ্গদেশ ডেস্ক – ইমরান খান নিয়াজি, সরকার গঠনের আগে প্রতিজ্ঞা অনেক কিছুই করেছিলেন। তবে নারী সশক্তিকরণের ক্ষেত্রে তার সরকার যা করেছে তা শুধুই কাগজে কলমে, বাস্তবে সেই দেশে নারীর জীবন এখনও অন্ধকারেই। পাকিস্তানের বার্ষিক ‘আউরাত মার্চ’ অনুষ্ঠানের আগে, এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল স্পষ্ট করে দেয়, সে দেশের নারীরা তাদের নাগরিক স্বাধীনতার জন্য রাস্তায় নামছে। আর এভাবে আন্দোলন করা কখনোই ‘ইসলামবিরোধী’ নয়।

গত শুক্রবার, ২ রা ফেব্রুয়ারি একটি টুইট বার্তায় ‘আউরাত আজাদি মার্চ’ ইসলামাবাদ এর তরফ থেকে লেখা হয়, “’আউরাত মার্চ’ সম্পর্কে মূলধারার ভাষ্যই হ’ল যে এটি ইসলামবিরোধী। এই ধারণাটি আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে যে আমাদের নীতি ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধগুলি এই আন্দোলনের ফলে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।” এর সঙ্গে যুক্ত ভুল ধারণাগুলি ভাঙতে, তারা একটি অ্যানিমেশন ভিডিও’ও ভাগ করে নিয়েছিলেন যা মহিলাদের স্বাধীনতার বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে দেয়, সুন্দর ও সহজভাবে।

“সামাজিক এবং আর্থিক সাম্যতা এবং ন্যায়বিচারের দাবি করা কি ইসলামবিরোধী? নারীদের জন্য শিক্ষার কথা বলা কি ইসলামের পরিপন্থী? মহিলাদের প্রতি যে অত্যাচার চালানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা কি ইসলাম বিদ্বেষ? শিশুদের নির্যাতন, অ্যাসিড আক্রমণ এবং সম্মান রক্ষার নামে নারী হত্যা (অনার কিলিং) -এর বিরুদ্ধে কথা বলা কি ইসলাম বিরোধী? যদি সবটই ইসলামের পরিপন্থী হয় তবে আপনার ‘ইসলাম’টা কি? ‘আওরাত মার্চকে’ ইসলামিক রীতির বিরোধী বলাটাই ধর্ম অবমাননা।”

“আমরা ইসলাম বা কোন ধর্মের বিরোধী নই। যারা আমাদের আন্দোলনের সাথে যুক্ত তাদের বেশিরভাগই নিজেদের বিশ্বাস ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করেন। নারীবাদ, ইসলাম, খ্রিস্টান বা অন্য কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। আমরা কেবলমাত্র এমন সব মধ্যযুগীয় বর্বরতার বিরুদ্ধে, যেগুলি ঐতিহ্যগতভাবে মহিলাদের উপর অত্যাচার করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে” ভিডিওটির শেষে এই কথা বলা হয়েছে।

৮ -ই মার্চ আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উপলক্ষে ‘আউরাত মার্চ’ প্রথমবারের মতো ২০১৮ তে আয়োজন করা হয়েছিল, এর পর থেকে এটি একটি আন্দোলনে পরিণত হয়েছে, যা প্রতি বছরে অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটিতে পাকিস্তানের নারীরা সসমানাধিকার ও নিজেদের স্বাধীনতার দাবিতে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে মিছিল করেন।