সাতবছর ধরে স্থগিত রয়েছে নিয়োগ, এবার শিক্ষিত বেকারদের পথে বসালো লকডাউন

বঙ্গদেশ ডেস্ক: প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং একের পর এক মামলার জন্য আটকে ছিল তাদের নিয়োগ। তবু এতদিন ধরে বাচ্চাদের টিউশন পড়িয়ে সংসার চালাচ্ছিলেন এই শিক্ষিত বেকাররা। লকডাউন সেই সংস্থানও কেড়ে নিল।

কেউ মুদি দোকানে চাল-ডাল বেচছেন, কেউ সাইকেল ভ্যানে ডিম-সব্জি বিক্রি করছেন, কেউ আবার টোটো চালাচ্ছেন! টেট উচ্চপ্রাথমিকের যে হবু শিক্ষকদের সমাজ গড়ার কাজে নামার কথা ছিল তারা এখন দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করার কাজে নেমেছেন৷

বাংলার শিক্ষক পদপ্রার্থী ঝাড়গ্রাম জেলার দেবব্রত পাল এদিন বঙ্গদেশকে জানান, আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলে নাম উঠেছে তার। কিন্তু চাকরি মেলেনি বছরের পর বছর। এতদিন টিউশানই একমাত্র ভরসা ছিল দেবব্রতর। কিন্ত করোনার সময় বাড়িতে টিউশান মাস্টদের ডেকে পড়াতে চাইছেন না অনেকেই৷ বাইরে কোচিংয়ে পাঠানোর তো কোনও প্রশ্নই নেই! অতএব কখনও এই ব্যবসা তো কখনও ওই ব্যবসা করে লড়াই চালাতে হচ্ছে।

সংস্কৃতে এমএ শিলদার আকাশ বিদ, রয়েছে বিএডের সার্টিফিকেটও৷ শিক্ষকতার চাকরির পরীক্ষা জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন! কিন্তু বছরের পর বছর নিয়োগ এবং পরীক্ষা আটকে থাকায় আকাশ এখন সব্জী ব্যবসার চেষ্টা করছেন! একটা ছাতা মাথার উপর ছেঁড়া থ্রিপলে বসে বিভিন্ন সব্জী বিক্রির চেষ্টা করছেন আকাশ।