আসরে দোভাল, পিছু হটল চীন

বঙ্গদেশ ডেস্ক: মোদী সরকারকে বেশ কয়েকটি বড় সমস্যা থেকে বের করে আনাতে তাঁর কৃতিত্বের কথা অনেকেই বলে থাকেন। লাদাখ সমস্যা মেটাতেও তিনি যে আসরে নামছেন তার ঘোষণাও হয়ে গিয়েছিল৷ সাম্প্রতিক খবর দোভালের সঙ্গে আলোচনার পর গালওয়ানে এক কিমি পিছিয়েছে চীনা সেনা।

করোনা পরবর্তী সময়কে নিজেদের সাম্রাজ্যবাদের সুযোগ হিসেবে দেখেছিলো চীন। লাদাখেও চীনা সেনার আগ্রাসী মনোভাব ধরা পড়ে। এরপরই ভারতের সমর্থনে আসরে নামে বিশ্বের ক্ষমতাশালী দেশগুলির অনেকেই। চীনের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। ইতিমধ্যে দক্ষিন চীন সাগরে আমেরিকা মোতায়েন করে বিমানবাহী রনতরী।

নিজেদের মুখ রক্ষায় তৎপর হয় বেজিংও। চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং এবং ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল কথা বলেন দীর্ঘক্ষন। দু’ঘন্টা কথার মধ্যে অজিত দোভাল চাপ দেন গালওয়ান উপত্যকা থেকে দ্রুত সেনা সরানোর জন্য। ফোন রাখার পরেই তৎপর হয় বেজিং। প্রথম ধাপে এক কিমির ও বেশি সরে যায় চীনা সেনা।

কূটনৈতিক স্তরে ও সামরিক স্তরে বৈঠক তেমন ফলপ্রসূ না হওয়ায় বেজিং গালওয়ান উপত্যকা বিতর্কে বিশেষ প্রতিনিধিস্তরে আলোচনা শুরু হয়।
তবে চীনের বিবৃতিতে বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে ‘মতপার্থক্য যেন সমস্যায় পরিবর্তিত না হয়।’
গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে সরাসরি নিজেদের দাবী না জানালেও একটু কঠোর মনোভাব দেখিয়ে বক্তব্যে বলেছে, ‘চীন তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বদ্ধপরিকর।’ এই বক্তব্য দেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থাকতে নাকি আবার গালওয়ান উপত্যকা নিজেদের বলে দাবী করার পূর্বলক্ষন তা সময় বলবে।

সম্প্রতি চীনের বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতেও নরম সুর শোনা যায়। ওয়াং জানিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব বিতর্কিত অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেবে তারা।
২০১৭ ও ২০১৮ সালেও দোভালের সঙ্গে কথা হয়েছিলো ওয়াং-এর। ডোকালাম বিতর্কেও সমঝোতায় এসেছিলেন দোভাল এবং চীনের বিদেশমন্ত্রী।

উল্লেখ্য গতকাল ওয়াশিংটন পোস্টে চীনের এক সামরিক নেতার ছেলে দাবী করেছেন গালওয়ানে ১৫ই জুন ১০০ জনেরও বেশি সেনা মারা গেছে।