মাদ্রাসায় রাতের অন্ধকারে চলে যৌন নির্যাতন, ভাইরাল ভিডিওতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

0
901

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- মিডিয়ার শিরোনামে আবার উঠে এসেছে হাথরাস, তবে এবার অভিযোগ রাতের অন্ধকারে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন করা হয়। সম্প্রতি আন্তর্জাল দুনিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি অল্পবয়স্ক ছেলে মাদ্রাসায় পড়াশোনার পাশাপাশি কীভাবে সেক্সচুয়াল অ্যাবিউস বা যৌন নির্যাতন করা হয় তার বর্ণনা দিচ্ছে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, উত্তেজিত কিছু জনতা ছেলেটিকে আটক করে রেখেছে। তাদের অভিযোগ, ছেলেটি একটি বাচ্চা মেয়েকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেছিল তাই তাকে আটক করে নামধাম, সে কী করে, কোথায় থাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

রিপোর্টে প্রকাশিত ভিডিওতে ছেলেটিকে আমতা আমতা করে বলতে দেখা যায়, সে মধুবানী রোডের ইসলামিয়া মাদ্রাসায় উর্দু ভাষা এবং ইসলামিক ধর্মগ্রন্থ বিষয়ে পড়াশোনা করে। ছেলেটির বক্তব্য, মাদ্রাসার বাচ্চারা প্রতিদিন রুটিনমাফিক সেখানে উর্দু এবং হাদিস পড়ে, খাওয়া দাওয়া করে এবং রাতে ওই মাদ্রাসাতেই থাকে। এর পাশাপাশি ছেলেটির গুরুতর অভিযোগ, মাদ্রাসায় পড়াশোনার পাশাপাশি করা মৌলবী সাহেব প্রতি রাতে একেকটি ছেলেকে তার ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ছেলেটির আরোও অভিযোগ, কেউই মৌলবীর অন্যায় কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করে না বা ভয়ে টুঁ শব্দটিও উচ্চারণ করে না। ছেলেটি জানিয়েছে, যখন ছাত্রদের মধ্যে কেউ স্নান করতে যায়, তখন মৌলবী সাহেব ইচ্ছাকৃতভাবে আপত্তিজনক মন্তব্য করে। ছেলেটি আরও জানিয়েছে, মাদ্রাসায় রাতের অন্ধকারে কী ঘটছে সে সম্পর্কে কারোর কাছে অভিযোগ করলে বিন্দুমাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বরং শিশুদের ওপর যৌন হয়রানির অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়। ছেলেটি এ অভিযোগ‌ও করেছে যে, মাদ্রাসা পরিচালন কমিটি করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় পড়তে যাওয়া শিশুদের নানাভাবে উস্কে দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের।ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে হাথরাস পুলিশ কর্তৃপক্ষ কয়েকটি টুইটের জবাব দিয়ে জানিয়েছে, যে উল্লিখিত ভাইরাল ভিডিওটি ২০১৮ সালের। কর্তৃপক্ষ আরোও বলেছেন, এই ঘটনার পর সাদাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, ঘটনায় জড়িত অপরাধী তিন অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরে হোমে পাঠানো হয়েছিল এবং মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল।”

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১৮ সালে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস জেলার সাদাবাদে পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করার অপরাধে তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় লোকজন একজন অপরাধীকে আটক করে রাখতে পারলেও বাকি দুজন ছিটকে পালিয়ে যায়। অপরাধীরা হাথরাসের একটি মাদ্রাসার ছাত্র ছিল, মাদ্রাসার কাছে খেলতে আসা পাঁচ বছরের একটি শিশু কন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে তিনজন। অপরাধীরা জেরার মুখে পুলিশকে জানিয়েছে, মাদ্রাসার মৌলভীরা তাদের এই কাজ করতে বলেছিল এবং এমনকি তাদের এই জঘন্য অপরাধকার্যের জন্য উৎসাহও দিয়েছিল।

প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযুক্ত মৌলবী সাহেব মোহাম্মদ ইয়াকুবকে পরে সাদাবাদ পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রতিবেদন অনুসারে, তিনজন নাবালক অপরাধীর মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী ও বাকি দুজন ১৪বছর বয়সী।