বঙ্গদেশ ডেস্ক: “যারা লোভী ও ভোগী তারাই বিজেপিতে চলে গেছে। তারা সোজা চলে যান। এটা মানুষের দল। এখানে লোভের কোনও জায়গা নেই । বেশি দুর্নীতি করেছে বলেই লেজগুটিয়ে বিজেপিতে গেছে।“ আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু, রাজীব-সহ দলত্যাগীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লক্ষ্য একুশের ভোট। “উন্নয়ন“-কে হাতিয়ার করে গদি ধরে রাখতে মরিয়া শাসকদল তৃণমূল। কয়েক সপ্তাহ আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে এসে দলের সাংগঠনিক বৈঠক করার পাশাপাশি প্রকাশ্য জনসভা করেছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার উত্তরবঙ্গ সফরে হাজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডের সভা থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেনন তৃণমূলনেত্রী। একইসঙ্গে নাম না করে সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলত্যাগী অন্য নেতাদের।
গত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায আদি তৃণমূল ও নব্য তৃণমূল সংঘাতের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এদিন আলিপুরদুয়ারের সভা-মঞ্চ থেকে কর্মীদের আরও বেশি শৃঙ্খলাপরায়ণ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেছেন, “তৃণমূলের টিকিট টাকায় বিক্রি হয় না। তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কদের টাকার বিনিময়ে কেনা যায় না। তৃণমূল থাকতে হলে শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে।“
দলের কর্মীদের কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি তুলোধনা করেছেন কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপির। তৃণমূলনেত্রী বলেন, “ভোটের আগে চা বাগান খোলার কথা ছিল বিজেপির। ক্ষমতায় এসে সে কথা রাখেনি বিজেপি। বিজেপি লোভ-ভোগে একদম ছেয়ে গেছে। দাঙ্গাবাজ, লুঠেরাবাজ বিজেপির জায়গা এ রাজ্যে নেই।“
একুশের নির্বাচনে জিতে ফের বাংলায তৃণমূল নেতৃত্বাদীন সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে প্রবল আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, “ আগামী সাত-আট দিনের মধ্যেই নির্বাচন ঘোষণা হবে। বিনা পয়সা রেশন পেতে চাইলে তৃণমূলকে ভোট দিন। বিনা পয়সায় রেশন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী চাইলে তৃণমূলকে অবশ্যই ভোট দিন।“
একইসঙ্গে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকার, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যদেরও নাম না করে কটূ ভাষায় এদিন আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন,“দুর্নীতিগ্রস্তদের জন্য চাটার্ড বিমান পাঠানো হচ্ছে। যে দুর্নীতি করেছে তাকে তো পালাতেই হবে। যে চুরি করেছে সেই-ই বিজেপিতে চলে গেছে।“