মোদী সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত: স্মার্টফোন উৎপাদনে নবদিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে ভারত

0
1243

বঙ্গদেশ ডেস্ক: ভারতে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার তৎপরতা দ্বিগুণ করেছে। অ্যাপল, পেগাট্রন এবং উইস্ট্রন, স্যামসাং, পাশাপাশি লাভা, কার্বন এবং ডিক্সন টেকনোলজিসের মতো কোম্পানিগুলোর ভারতবর্ষে স্মার্টফোন রপ্তানি করার জন্য জমা দেওয়া অ্যাপ্লিকেশনগুলি নিয়ে জোরকদমে আলোচনা চলছে।

প্রাথমিক কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় আশা করা হচ্ছে প্রস্তাবনার খসড়া এই সপ্তাহেই ক্যাবিনেট মন্ত্রীর কাছে পেশ করা হবে। পাঁচটি বিদেশী ও সাতটি দেশীয় ( লাভা, ডিক্সন,মাইক্রোম্যাক্স, সোজো, কার্বন,প্যাজেট ইলেকট্রনিক্স এবং অপটিমাস) সংস্থার প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

পিএলআই স্কিম, যার লক্ষ্য ভারতে স্মার্টফোনগুলির জন্য একটি উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করা এপ্রিল মাসে এই বিষয়ে কথাবার্তা বলা হয়। আইফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারতে তার সাম্প্রতিকতম হ্যান্ডসেট মডেল, আইফোন ১১ এবং আইফোন এসই উৎপাদন শুরু করেছে।

এই প্রকল্পটি চীন-মার্কিন বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে চীন থেকে সরে যেতে চাইছে এবং ভিয়েতনাম থেকে স্মার্টফোন উৎপাদনের একটি বড় অংশ ভারতে সরিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (‌৩ লক্ষ কোটি) উৎপাদনের চূড়ান্ত পরিকল্পনা র‌য়েছে স্যাংমসাংয়ের।

অ্যাপেল প্রস্তুতকারী সংস্থার বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন রপ্তানির বাজারে অবদান প্রায় ২৭০ বিলিয়ন ডলার। মান অনুসারে অ্যাপেলের ৩৮ শতাংশ মার্কেটে শেয়ার রয়েছে এবং স্যামসাংয়ের ২২ শতাংশ। ভলিউম অনুসারে স্যামসাংয়ের ২০ শতাংশ ও অ্যাপেলের ১৪ শতাংশ।

বেশ কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছিলেন, ২২টি দেশীয় ও বিদেশি সংস্থা যৌথভাবে আগামী পাঁচ বছরে ১১.৫ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন করবে। যার ফলে ভারত ৭ লক্ষ কোটি টাকার বেশি রপ্তানি করতে পারবে বিদেশে।

পিএলআই প্রকল্পের আওতায় উৎপাদন কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘‌‘স্যামসাং পিএলআই (প্রোডাকশন লিংকড ইনসেন্টিভ) প্রকল্পের আওতায় ভারতে স্মার্টফোন তৈরির জন্য তার উৎপাদনে নতুন বৈচিত্র্য আনতে পারে এবং এর ফলে ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ জুড়ে বিদ্যমান সক্ষমতাগুলিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।’‌’ প্রসঙ্গত স্মার্টফোন রপ্তানির তালিকায় চীনের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ দেশের নাম ভিয়েতনাম।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই পদক্ষেপ ভারতকে অনেক ক্ষেত্রেই সহায়তা করবে। করোনা আবহে কর্মসংস্থান হারিয়েছেন বিশাল সংখ্যক মানুষ।

এই পরিস্থিতিতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে সে বিষয়ে আশাবাদী সব মহল। বিশ্বের বহু দেশের প্রথমসারির সংস্থা ভারতের বাজারে মার্কেট ধরতে চাইছে। তাই তাদেরকে সেই কাজের সুযোগ করে দিয়ে নিজেদের লাভ রাখতে বেশকিছু স্কিম রাখছে কেন্দ্র।