চীনা উস্কানিতে হিংসা অব্যাহত, ভারতে চলে আসা নাগরিকদের ফেরত চাইল মায়ানমার

0
591

বঙ্গদেশ ডেস্ক – মায়ানমারে হিংসা অব্যাহত। গত ১ ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে দেশের শাসন তন্ত্রের দখল নেয় সেই দেশের সেনা। তারপরে চলতে থাকা ধারাবাহিক হিংসার ফলে সেই দেশের নাগরিক এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার হিংসার ভয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন। এর পরে মায়ানমার কর্তৃপক্ষ ভারতকে তাদের ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করেছে। মায়ানমারের সামরিক ‘জুণ্টা’ যারা এখন সামরিক অভ্যুত্থানের পরে শক্তি দখল করেছে, তাদের দমননীতিতে অংশ না নেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা ভারতে আশ্রয় চেয়েছিলেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ক্রমশ সহিংস হয়ে উঠছে। এরপরেই মায়ানমারের প্রায় ৩০ জন পুলিশ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করেছে। গত সপ্তাহে কুড়িজনেরও বেশি লোক মারা গেছে।

মিজোরামের সীমান্তবর্তী জেলা চম্পাইয়ের জেলা-প্রশাসক বলেছিলেন তিনি মায়ানমারের ফালাম জেলায় তার কাউণ্টারপার্টের কাছ থেকে “বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য” আটজন পুলিশ অফিসারকে ফেরতের আবেদন করে একটি চিঠি পেয়েছেন। রয়টার্সের সাথে কথা বলতে গিয়ে, জেলা প্রশাসক মারিয়া সিটি জুলি বলেছিলেন যে তিনি নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে “নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন”, ওপ ইণ্ডিয়া তাদের রিপোর্টে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছে।

চিঠিতে মায়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে কমপক্ষে আটজন পুলিশ সদস্য ভারতে প্রবেশ করেছে বলে তথ্য ছিল। চিঠিতে একজন মহিলা অফিসার সহ ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সী চার পুলিশ কর্মকর্তার বিশদ তালিকাও যুক্ত করা হয়েছে।

এই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে মায়ানমারের যে ৮ জন পুলিশের সদস্য ভারতীয় অঞ্চলে এসেছেন, তাদের আটক করে রাখুন। মায়ানমারে কাছে তাদের হস্তান্তর করার জন্য আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে”। মায়ানমারে এই অবস্থার পিছনে চীনের উস্কানি রয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চীনের সিসিপি সদস্যদের সঙ্গে ইয়াঙ্গনের জেনারেলদের মধুর সম্পর্ক রয়েছে। এমতাবস্থায় ভারতের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।