কাশ্মীরঃ “মসজিদ ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছে জঙ্গীরা” – IG পুলিশের অভিযোগ

0
604

বঙ্গদেশ ডেস্ক – গত রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বিজয় কুমার। সেখানে তিনি বলেছিলেন, সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য জেহাদীরা বারবার মসজিদের অপব্যবহার করছে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে শোপিয়ান (৯ এপ্রিল, ২০২১), পাম্পোর (১৯ জুন, ২০২০) এবং সোপুরে (জুলাই ১, ২০২০) সন্ত্রাসী হামলার সময় মসজিদের আড়াল নিয়েছিল জঙ্গীরা।

আইজিপি কুমার জোর দিয়ে জানিয়েছেন, “জনসাধারণ, ‘মসজিদ ইন্তিজামিয়া’ (মসজিদ কর্তৃপক্ষ), নাগরিক সমিতি এবং দেশের মিডিয়া এই জাতীয় আচরণের নিন্দা করছে”, ওপ ইণ্ডিয়া তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে।

পাম্পোর হামলায় সন্ত্রাসীরা জামিয়া মসজিদে আশ্রয় নেয়

গত বছরের ১৯ শে জুন, দক্ষিণ কাশ্মীরের পাম্পোরে এক ভয়াবহ লড়াই চলাকালীন ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনী দুজন সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করেছিল। যদিও স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপের কমান্ডোরা সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণ করানোর জন্য চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। বরং কোণঠাসা হয়ে তারা স্থানীয় জামিয়া মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিল। এরপর নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়, যার ফলে তারা নিহত হয়।

সোপোর মসজিদ থেকে জঙ্গী হামলা, CRPF খুন

গত বছরের ১ জুলাই সন্ত্রাসীরা উত্তর কাশ্মীরের সোপোরের একটি মসজিদে লুকিয়ে থেকে ফোর্সকে উদ্দেশ্যে করে গুলি চালায়। এর ফলস্বরূপ একজন সিআরপিএফ সদস্য এবং ৬৫ বছর বয়সী একজন অসামরিক ব্যক্তি মারা যান। তারা ছাড়াও কনস্টেবল ভোয়া রাজেশ, দীপক পাতিল ও নীলেশ চাওদ নামে আরও তিনজন কর্মী আহত হয়েছিলেন।

শোপিয়ান মসজিদ থেকে সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশ্যে গুলি চালায়

গত শুক্রবার দোসরা এপ্রিল, জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল শোপিয়ানে ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনী পাঁচজন সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করেছিল। কাশ্মীর জোনের পুলিশ জানিয়েছিল যে এনকাউন্টার চলাকালীন দু’জন সন্ত্রাসী একটি মসজিদের ভিতরে ঢুকে আশ্রয় নেয় এবং সেখান থেকে নিরাপত্তা কর্মীদের দিকে তারা গুলি চালাচ্ছিল। তারা নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে দুটি একে সিরিজের বন্দুকও উদ্ধার করেছে।

পুলিশ এবং নিরপত্তা কর্মী সব সময়েই ধর্মস্থানের সম্মান রক্ষায় তৎপর। তবে জঙ্গীরা এভাবে মসজিদের আড়াল নিয়ে হামলা করায় দেশ এবং সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।