উচ্চশিক্ষাঃ মোদী সরকার বৈজ্ঞানিক জার্নাল কিনে সেগুলি উম্মুক্ত করবে জনগণের জন্য

0
833

বঙ্গদেশ ডেস্ক – সর্বজনীনভাবে অর্থায়ন করা হয়েছে এরকম গবেষণাগুলি থেকে পাওয়া সমস্ত তথ্য সবার জন্য অবাধে উপলব্ধ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং তথ্য প্রত্যেকের জন্য অভিগম্য করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে সরকার একটি উন্মুক্ত তথ্যনীতি প্রস্তাব করেছে। সরকারি অর্থায়নের এই সমস্ত গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যাদির ফলাফল সবার জন্য অবাধে উপলভ্য করে তোলা হবে।

আরও লক্ষণীয় বিষয় হল, সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্বজুড়ে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক জার্নালের ‘বাল্ক সাবস্ক্রিপশন’ কেনার এবং ভারতের প্রত্যেক রিসার্চ প্রতিষ্ঠানকে বিনামূল্যে তার অ্যাক্সেস সরবরাহ করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই এই বিষয়ে পরামর্শের জন্য জনগণের মতামত চাওয়া হয়েছে। সাধারণের জন্য এই খসড়া প্রস্তাবগুলি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীতির কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে।

বৈজ্ঞানিক জার্নালের জন্য ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ নীতি এমন একটি মৌলিক পদক্ষেপ যা বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় এবং স্বতন্ত্র গবেষকদের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, এখানে ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ -এরও বেশি উচ্চ-মানের বৈজ্ঞানিক জার্নাল রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে তাদের বাল্ক সাবস্ক্রিপশন পেতে সরকারকে প্রতি বছর কয়েক’শ কোটি টাকা ব্যয় করতে হতে পারে। তবে বিজ্ঞান আলোচক ও গবেষক সম্প্রদায়ের জন্য এই জার্নালগুলির অ্যাক্সেস অত্যন্ত মূল্যবান। এমনকি বড় সংস্থাগুলিও সাবস্ক্রিপশন কেনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানী ও খুঁতখুঁতে (সিলেক্টিভ)।

‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়’ নতুন নীতিমালা তৈরি করেছে, যাতে একটি নতুন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন মানমন্দির স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেটি ভারতে গবেষণাপ্রাপ্ত সমস্ত ধরণের তথ্যের কেন্দ্রীয় সংরক্ষণ ভান্ডার হিসাবে কাজ করবে।

গোপনীয়তা, জাতীয় সুরক্ষা বা বৌদ্ধিক সম্পত্তির অধিকার রক্ষার কারণে, তথ্যের প্রাপ্যতা সীমাবদ্ধ করতে হয়েছে। এখানে “প্রয়োজনে যথাযথভাবে নামহীন এবং redacted ডেটা” সরবরাহ করা হবে। এমনকি, অনেক ক্ষেত্রে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় না এমন রিসার্চমূলক কাজের পেপারগুলিও প্রকৃত গবেষকদের কাছে উপলভ্য করা হবে -এই নীতিতে তেমন প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই নীতিটি প্রযুক্ত হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে “আত্মনির্ভর ভারত” তৈরির প্রধানমন্ত্রী মোদীর যে লক্ষ্য, তা সফল হবে। “নতুন প্রযুক্তির বিকাশের পাশাপাশি উপলব্ধ প্রযুক্তির ভারতীয়করণের দ্বি-মুখী পদ্ধতি গৃহীত হবে,” বলে এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে। “প্রচলিত জ্ঞান ব্যবস্থার প্রচার, দেশীয় প্রযুক্তির বিকাশ এবং তৃণমূল স্তরে উদ্ভাবনাকে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হবে,” বলেও উক্ত প্রস্তাবে জানানো হয়েছে।