ব্যর্থ শিবসেনা-কংগ্রেস! পালঘরে পুড়িয়ে মারা হল নেভির জওয়ানকে

0
791

বঙ্গদেশ ডেস্ক – কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের পালঘরে পুড়িয়ে মারা হয় দুই হিন্দু সাধুকে। গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠলেও চুপ ছিল শিবসেনা – এনসিপি – কংগ্রেসের জোট সরকার, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিল সেকুলার মিডিয়া আর তথাকথিত ‘লিবারাল’রাও মৌনব্রত নিয়েছিল। আবার সংবাদ শিরোনামে সেই কংগ্রেস – শিবসেনা জোট শাসিত মহারাষ্ট্র, নেপথ্যে সেই পালঘর।

স্থান এক, পাত্র ভিন্ন। এবার পালঘরে নৃশংস ভাবে পুড়িয়ে মারা হয় নৌবাহিনীর এক জওয়ান সুরজকুমার মিথিলেশ দুবেকে। তাঁর শরীরের অধিকাংশটাই পুড়ে গিয়েছিল। পরে চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মাত্র ২৭ বছর বয়স ওই জওয়ানের। গত ৩০ শে জানুয়ারি তাঁকে চেন্নাই বিমানমন্দর থেকে অপহরণ করা হয় বলে টাউমস নাউ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহরণের পরে প্রথম তিনদিন সুরজকে চেন্নাইয়েই লুকিয়ে রাখা হয়, পরে সুযোগ বুঝে তাঁকে পালঘরে নিয়ে আসা হয়। গত শুক্রবার হাত-পা বেঁধে স্থানীয় জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে দুষ্কৃতীরা তাঁকে জ্বলন্ত অবস্থায় ফেলেই পালিয়ে যায়। ওই অবস্থাতেও অসহায় সুরজ নিজেকে বাঁচানোর ছুটতে ছুটতে লোকালয়ে আসেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তার চিকিৎসার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ততক্ষণে তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে।

এই নেভি অফিসারকে পালঘর জেলার, তালাসারি তালুকার ভেভজি গ্রামের কাছের জঙ্গলে জ্বালানোর চেষ্টা করা হয়। তাঁকে বাঁচানোর জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করা হয় নেভির তরফে এবং তাঁকে INHS Asvini হাসপাতালে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

পালঘর থানায় দোষীদের খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানার ওসি দত্তাত্রেয় শিন্ডে জানিয়েছেন, “অপহরণকারীরা নেভি অফিসারের কাছে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা, তাঁকে হত্যার চেষ্টা করে।” দোষীদের খোঁজে সিসিটিভি ফুটেজ এবং লোকাল মোবাইল সেল টাওয়ারগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সদ্য প্র‍য়াত নেভি অফসারের পিতা শ্রী মিথিলেশ দুবে নিজের সন্তানের হত্যায় ভেঙ্গে পড়েছেন। তিনি নিজের সন্তানের হত্যার বিচার চেয়েছেন। “আমি আমার সন্তানের জন্যে বিচার চাই। আমি মিডিয়ার মাধ্যমে এই বার্তাই দিতে চাইছি।” তাঁর ছেলে মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণও দিয়েছেন।

স্থানীয় বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, পালঘরে এভাবে কখনও হিন্দু সাধু কখনও বা নেভি অফিসারের হত্যার ঘটনা ঘটছে, আর মিডিয়ার মুখে কুলুপ। এছাড়াও আরেকটি ভয়ঙ্কর অভিযোগ হল, যে এই অঞ্চলে খ্রিস্টান চার্চের গভীর প্রভাব রয়েছে, ধর্মান্তরিত করার ঘটনাও ঘটেই থাকে। এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের সদস্যদের যথেষ্ট মদত রয়েছে।