১৭টি দেশে ৫৬ লক্ষ ডোজ, ভ্যাকসিন মৈত্রীতে এক নম্বরে ভারত

0
594

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- বন্ধু ভারত! বিশ্বের ১৭টি দেশের করোনা মোকাবিলায় ভারত যে ভূমিকা গ্রহণ করেছে, তার প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে ভ্যাকসিন সরবরাহের পিছনে কূটনৈতিক চালের হিসাব উড়িয়ে দিচ্ছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। তবে একথা অনস্বীকার্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে ভ্যাকসিন কূটনীতির এই খেলায় সাফল্য লাভ করেছে ভারত। ১৭টি দেশে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ৫৬ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন।

নেপাল, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার মতো ভারতের বন্ধু দেশগুলিতে শুধু নয় মায়ানমার, সেশেলস, আফগানিস্তানেও বিশেষ বিমানের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে ভারত ছাড়পত্র দেওয়ার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারত থেকে টিকা নেওয়ার জন্য আগ্রহী। ইতিমধ্যেই ভূটান, নেপাল, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ ও ব্রাজিল ভারত থেকে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছে।

কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ১.৫ মিলিয়ন ডোজ ইতিমধ্যে ২২ জানুয়ারি মায়ানমারের রেঙ্গুনে পৌঁছে গিয়েছে। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ৫০ হাজার ডোজ বন্ধু ভারতের ভ্যাকসিন দান কর্মসূচির অংশ হিসাবে সেশেলস পৌঁছে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। পুনের সিরাম ইন্সটিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারত মহাসাগরের চারটি দেশের মধ্যে শুধুমাত্র রয়েছে সেশেলস। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মৈত্রীর সম্পর্ক বজায় রেখে ভ্যাকসিনগুলির অনুদান ভারত মহাসাগরে অবস্থিত সেশেলসে পাঠানো হয়েছে।

আগামী বেশ কিছু দিনের মধ্যেই নিকারাগুয়াতে ২লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে নয়াদিল্লি। এরই সঙ্গে ৫লক্ষ ডোজ পাঠানো হবে ক্যারাবিয়ান কমিউনিটির দেশগুলিতে। ফের ১ কোটি ডোজ পাঠানো হবে আফ্রিকা ও ১০ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠানো হবে রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। ইতিমধ্যেই ভুটানে ১.৫ লক্ষ, মালদ্বীপে ১লক্ষ, নেপালে ১০ লক্ষ, বাংলাদেশে ২০ লক্ষ, মায়ানমারে ১৫ লক্ষ, মরিশাসে ১লক্ষ, সেশেলসে ৫০ হাজার, শ্রীলঙ্কায় ৫লক্ষ, বাহরিনে ১ লক্ষ ও ওমানে ১লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে, তেসরা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৪৩.৯ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে মাস ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে ভারতকে প্রথম সারির দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই প্রথম দেশ হিসেবে ভারত ৪০ লক্ষের ঘর ছাড়িয়েছে।মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ও লাক্ষাদ্বীপে ভ্যাকসিনেশনের হার সবথেকে বেশি। যথাক্রমে ৬৯ শতাংশ, ৫১ শতাংশ, ৬৪.৭ শতাংশ, ৯০ শতাংশ। জানুয়ারির ১৬ তারিখ থেকে শুরু করা হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ।