নাজিবুল্লাহর চ্যাট ডিকোড করতেই বেরিয়ে এলো “গাজওয়াতুল হিন্দ” এর ম্যাপ,হতবাক গোয়েন্দারা

0
1794

বঙ্গদেশ ডেস্ক:জঙ্গিবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে নাজিবুল্লাহকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের STF। এবার তার ফোনের প্রোটেক্টিভ চ্যাট ডিকোড করতেই হতবাক গোয়ান্দারা! মূলত তালিবানের প্রচার কাজ চালাতো নাজিবুল্লাহ। এই ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত ছিলেন গোয়েন্দারা৷ কিন্তু তদন্তের গভীরে যেতেই গোয়েন্দারা নাজিবুল্লাহর প্রোটেক্টিভ চ্যাট থেকে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গকে একত্রিত করে “গাজওয়াতুল হিন্দ”-এর একটি ম্যাপ উদ্ধার করেছ। গোয়েন্দারা নাজিবুল্লাহর বাকি চ্যাটগুলোও ডিকোড করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

নাজিবুল্লাহর প্রাথমিক কাজ ছিল তালিবানের হয়ে প্রচার কার্য চালানো। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ইত্যাদি মাধ্যমকে ব্যবহার করে “তালিবান আদতে কোন‌ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন নয়” এই মর্মে প্রচার চালাতো নাজিবুল্লাহ। এছাড়াও, সংগঠনের জন্য নতুন কর্মী রিক্রুট করার দায়িত্বও নাজিবুল্লাহর হাতে ছিল। এক্ষেত্রে নাজিবুল্লাহদের প্রাথমিক টার্গেট থাকে অল্প বয়সী স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা। কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদেরকে ব্রেনওয়াশ করার কাজটা অনেকটা সহজ।

নাজিবুল্লাহ ওরফে সাকিব আলীকে গ্রেফতারের সময় তার ছাপাখানা থেকে বিপুল পরিমাণে জিহাদী লিফলেট, জিহাদী বইপত্র ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করেছিল STF। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে কীভাবে নাজিবুল্লাহ এক জামায়াত নেতাকে মুক্ত করার জন্য যুবসমাজকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল। তাদের বৃহত্তর উদ্দেশ্য যে “গাজওয়াতুল হিন্দ” এই ব্যাপারে আর কোনো সন্দেহ নেই। কারণ উদ্ধারকৃত “গাজওয়াতুল হিন্দ” এর ম্যাপ সেটাই ইঙ্গিত করে। “গাজওয়াতুল হিন্দ” মূলত একটি ভবিষ্যৎবাণী যাতে বলা হয়েছে, “মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশে একটি যুদ্ধ হবে, যেখানে মুসলমানদের বিজয় ঘটবে।” সকল ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীর বৃহত্তর উদ্দেশ্যে এই “গাজওয়াতুল হিন্দ” এবং সেই লক্ষ্যেই তারা কাজ করে যাচ্ছে।

শুভচিন্তক ব্যক্তিদের মতামত, অতি শীঘ্রই যদি এই সমস্যার কেন্দ্র শনাক্ত করে সমাধান না করা হয় তবে ভারতবর্ষের মানচিত্র অতীতে যেভাবে নেকড়ের দল ছিঁড়ে নিয়েছে তেমনটা আবার ঘটা সময়ের অপেক্ষা। পশ্চিমবঙ্গের জনক শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী একা হাতে অতীতে পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের উপর আবারও অতীতের ন্যায় সেই একই কালো মেঘ ঘনীভূত হওয়ার চেষ্টা করছে সেটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।