সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একাংশ সরব তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে

0
772

সংসদে বাদল অধিবেশনে পিএম কেয়ার্স ফান্ড প্রসঙ্গে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে শানিত আক্রমণ করার সময় সিআরপিএফ জওয়ানদের সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র‌। তাঁর বক্তব্য ছিল বিপুল পরিমাণ বাহিনী এয়ার কভার ছাড়াই চলে গেছে। এর পরেই নেটিজেনদের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করে সরব হয়ে ওঠে। ফেসবুক থেকে টুইটার একের পর এক পোস্ট, ট্রলিং শুরু হয়ে যায়। একজন ব্যক্তি তার টুইটারে সাংসদকে কটাক্ষ করে “অশিক্ষিত” সম্বোধন করে পোস্ট করেন।

সংসদে বাদল অধিবেশনে পিএম ফাড প্রসঙ্গে সাংসদ মহুয়া মৈত্র‌ বলেন, এই ফান্ড জিএসটি অধীনে বিধিবদ্ধ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তৈরি হয়নি। সাংসদ বলেছেন, এই তফবিল তৈরির মধ্যে দিয়ে রাজ্যর ত্রাণ তহবিলের ক্ষতি করে পাবলিক ফান্ডকে আদতে কোণঠাসা করা হয়েছে।

এর পরেই ভারত-চিন টালমাটাল সম্পর্ক নিয়ে মোদী সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। চীনা সংস্থাগুলি থেকে তহবিল গ্রহণের জন্য সরকারের তীব্র নিন্দা করে মহুয়া বলেন, “কোনও মৃত ভারতীয়ও কখনোই তাঁদের শত্রুর অর্থের বিনিময়ে ভেন্টিলেটরে যেতে চাইবে না।”

এই বক্তব্যের জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ভাইরাল। একের পর এক পোস্ট উঠে আসছে।‌ কোনোটা তাঁকে সাপোর্ট করে আবার কোনোটা তাঁকে কটাক্ষ করে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজনৈতিক মহলের একাংশ তাঁর এই দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের জন্য তীব্র সমালোচনা করেছেন।

বেশ কিছুদিন আগে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টুইটে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতে যেখানে একলক্ষ মানুষের ক্ষেত্রে পুলিশের সংখ্যা ১৩৮ সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এক বলিউড অভিনেত্রীকে কেন ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এই নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিও প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,
এরপর ট্যুইটেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি ঘুরিয়ে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেন। টুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছিলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কম্যান্ডো কভার কেন দেওয়া হয়েছে? কঙ্গনা কিছু অপ্রিয় সত্যি কথা বলে শিব সেনার রোষানলে পড়েছে, তাই সিকিউরিটি দেওয়া। কিন্তু ভাইপোর সিকিউরিটি কি সত্যি কথা চাপা দেওয়ার জন্য?”

একজন টুইটার হ্যান্ডেলকারী লিখেছেন, মহুয়া মৈত্র নিজেও দক্ষ একজন ফুটবলার। পশ্চিমবঙ্গ অপেক্ষা মহারাষ্ট্রে জনসংখ্যা বেশি।

তবুও পিকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে চলাফেরা করে। যদিও পুরো ঘটনার পরবর্তীকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ঝড় উঠেছিল সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সাংসদ।