বঙ্গদেশ ডেস্ক: আইএসআইএস জঙ্গীগোষ্ঠীর বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কাজে অংশ নেওয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে চেন্নাইয়ের এক ইঞ্জিনিয়ারকে। এই যোগসাজশের জেরে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে এনআইএ’র বিশেষ আদালত। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ নাসের পাকির (Mohamed Naser Packeer)। এর পাশাপাশি তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আইএসআইএস জঙ্গী সংক্রান্ত একটি ষড়ষন্ত্র মামলায় বুধবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ আদালত মহম্মদ নাসের পাকিরকে দোষী ঘোষণা করেছেন। চেন্নাইয়ের ওই ইঞ্জিনিয়ারকে সাত বছরের কারাদণ্ড সহ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এবিষয়ে এনআইএ (NIA)’র বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রে আইএসআইএস জঙ্গীরা ভারতীয় যুব সম্প্রদায়ের একাংশকে জেহাদি কাজকর্মে উস্কানি দিচ্ছে বলে খবর আসে এনআইএ কর্মকর্তাদের কাছে। মুসলিম যুবক-যুবতীদের আইএসআইএস জঙ্গী সংগঠনে যুক্ত হওয়ার জন্য গোপনে আহ্বান জানানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপর তদন্ত নেমে এই অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়ে ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
তদন্তে নেমে এনআইএ জানতে পারে, পেশায় ওয়েব ডেভেলপার ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার মহম্মদ নাসের ২০১৪ সালে কর্মসূত্রে দুবাই গিয়েছিল। তারপর সোশ্যাল মিডিয়াতে ইসলামিক ধর্মপ্রচারকদের একাংশের বক্তব্যে প্রভাবিত হয়ে কুখ্যাত জঙ্গী সংগঠন আইএসআইএসে যোগ দেয়। পরে ভারতে ফিরে ফের জঙ্গীদের হয়ে ভারত বিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত হয়। এই বিষয়ে অবগত হওয়ার পরেই তার সঙ্গে আরও ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে ২০২০ সালের ৩ জুন চার্জশিট পেশ করে এনআইএ। গত ১৬ অক্টোবর এই মামলার বাকি আসামিদের ১০ বছরে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার মহম্মদ নাসেরকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেছেন বিচারক।
এই ঘটনার জেরে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। পাশাপাশি নেটিজেনদের একাংশ রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। তাদের অভিযোগ, সোশ্যাল সাইটকে ব্যবহার করে এইসব দেশদ্রোহী কাজকর্ম চালাচ্ছে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো আর তার জেরে সাধারণ মানুষের মনে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা তৈরি হচ্ছে। অপরদিকে বিক্ষুব্ধ কেরল বাসীদের অভিযোগ, “বারবার বলা হয় সন্ত্রাসের কোনো জাতধর্ম নেই কিন্তু নব্বই শতাংশ জঙ্গীই একটি বিশেষ সম্প্রদায় ভুক্ত। যখনই দেখা যায় ভারতবিরোধী কার্যকলাপ ঘটছে তখনই সেই সম্প্রদায়ের অতিসক্রিয়তা চোখে পড়ে। তারা যদি এতই দেশদরদী হয় তাহলে দেশের বিরুদ্ধে এতো ক্ষোভ কেন?”