বঙ্গদেশ ডেস্ক:- গত শনিবার কর্ণাটকের (Karnataka) ‘Wistron Corporation’ কোম্পানির ঝামেলার ঘটনায়, এসএফআইয়ের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ এস মুনিস্বামী। এই ঘটনার জেরে কলারের এসএসএফআই তালুকের সভাপতি কমরেড শ্রীকান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
"Communist Student Wing #SFI is behind Apple plant violence in Bengaluru": Kolar MP
Local SFI President is arrested in connection with the riot.
Left ideology was always towards destruction & pulling down harmony in the society!#Apple #Wistron pic.twitter.com/CYnY5ovKDw
— ABVP Karnataka (@ABVPKarnataka) December 16, 2020
আখিল ভারতীয় ছাত্র পরিষদ কর্ণাটক এসএফআই নেতার গ্রেপ্তারের পরবর্তীতে ট্যুইট করেছেন, ‘অ্যাপেল কোম্পানিতে যে ঘটনা ঘটেছিল তাতে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের প্রতক্ষ্য মদত রয়েছে: কলার সাংসদ। এই দাঙ্গার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে স্থানীয় এসএফআই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বামপন্থী আদর্শ সবসময়ই ক্ষতিকর। সমাজ ও দেশের সংস্কৃতি ধ্বংস এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার কাজে বামপন্থীরা সর্বদা আগে থাকে’।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সকাল সাড়ে ৬ টার সময় শিফট চেঞ্জের সময় আচমকাই হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি, কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, এমনকি একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ছাড়াও প্রায় দেড় কোটি টাকার আইফোন চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অফিসের সাজসরঞ্জামেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে।
গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তাইওয়ানের এই সংস্থা গত বছর এখানে ৬৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কারখানা গড়ে তুললেও, কর্মীদের সময়মতো ঠিকঠাক বেতন দিচ্ছিল না। এছাড়াও কর্মীদের বেতনও কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সিএন অশ্বত নারায়ণ। আবার কর্ণাটক সরকার কোম্পানীকে যথাযথ সাহায্য করার আশ্বাসও দিয়েছেন।
এই ঘটনায় উক্ত কোম্পানি ৭০০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে ৫০০০ জন এই কোম্পানিরই কর্মী এবং ২০০০ জন বহিরাগত। কথা ছিল ২০২১ সালের মধ্যে ২৫০০০ জন ভারতীয়কে চাকরি দেওয়া হবে। বর্তমানে ১২০০০ জন কর্মচারীর মধ্যে ২০০০ জন স্থায়ীপদে রয়েছে এবং তাদের নিরাপদ পরিবেশ ও যথাযথ সম্মান দেওয়ার বিষয়ে আলাপ আলোচনা করছে অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ।