বঙ্গদেশ ডেস্ক: জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) গত ১১ আগস্ট হাল্লি থানায় সহিংস হামলা ও বৃহত্তর দাঙ্গায় জড়িত থাকার অপরাধে ইসলামিক দল সোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (SDPI) এবং পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) – এর ১৭ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। NIA জানিয়েছে, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।
NIA Arrests 17 accused persons in Bengaluru Riots Case. pic.twitter.com/HxG0N7pKOJ
— NIA India (@NIA_India) December 21, 2020
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে, দাঙ্গা শুরু হওয়ার কয়েক দিন পরে, সরকার এই বিষয়টির সত্যতা নির্ধারণের জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির তদন্তে দেখা গিয়েছে যে এই সাম্প্রদায়িক অগ্নিসংযোগগুলো পূর্ব-পরিকল্পিত, সংগঠিত এবং বিশেষ করে এই অঞ্চলের হিন্দুদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল। তদন্ত রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে দাঙ্গার ঘটনাটি এই বছরের শুরুর দিকে দিল্লিতে এবং সুইডেনে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতার সাথে একেবারে সাদৃশ্যপূর্ণ। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি আরও আবিষ্কার করেছে যে, স্থানীয় জনগণ দাঙ্গা কার্যকর করতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল এবং এর সম্পর্কে পূর্ব থেকেই তারা অবগত ছিল। কমিটির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে SDPI এবং PFI এই ঘটনার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল।
গত মাসের শুরুতে, জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) বেঙ্গালুরু দাঙ্গার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছিল, যার মধ্যে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (SDPI) এর চারটি কার্যালয়ও ছিল। SDPI মুসলিম উগ্রপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) এর রাজনৈতিক শাখা। তৎকালীন সময়ে NIA এর জারি করা বিবৃতি অনুসারে, চলতি বছরের আগস্টে বেঙ্গালুরু মহানগরীতে বড় আকারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে মোট ৪৩ টি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছিল।
অভিযানের সময় NIA কর্মকর্তারা SDPI / PFI এর কার্যালয়গুলো থেকে তরোয়াল, ছুরি এবং লোহার রডের মতো অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে। NIA জানিয়েছে যে শহরটিতে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ২৯৩ জন লোক জড়িত ছিল। ২৯৩ জনের মধ্যে ডি জে হাল্লি থানায় দাঙ্গায় জড়িত থাকার মামলায় ১২৪ জনকে এবং কে জি হাল্লি থানার মামলার দাঙ্গার ঘটনায় ১৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হজরত মুহাম্মদ সম্পর্কে কংগ্রেস বিধায়ক আর আখন্দ শ্রীনিবাস মূর্তির ভাগ্নের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ১১ আগস্ট ঘটে যাওয়া সহিংস দাঙ্গায় বেঙ্গালুরু শহর পুড়িয়ে দেয় সহিংস ইসলামপন্থী জনতা। সহিংস মুসলিমদের দ্বারা চালানো দাঙ্গায় চার জন মারা গিয়েছিল এবং ৬০ পুলিশ সদস্য আহত হয়। দু’টি থানা এবং শ্রীনিবাস মূর্তির বাড়ি আগুনে পুড়ে যায়। দাঙ্গার তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পরে NIA পূর্ব বাঙ্গালুরুর রাস্তায় সহিংসতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য “জনতাকে উস্কে দেওয়ার” পেছনে SDPI নেতা মুজামিল পাশার হাত রয়েছে খুঁজে পায়।
শহরে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার পরপরই পরিস্থিতিটি বদলে যায় যখন দুটি পৃথক মুসলিম জনতার দল কেজি হাল্লি এবং ডিজে হাল্লি থানার সামনে জড়ো হয়েছিল। মুসলিম জনতা বাইরে থেকে থানা দুটির ফটক তালাবদ্ধ করে থানায় পাথর ছুঁড়তে থাকে। স্টেশনের সামনে দুজন ডিসিপি -র ইনোভা -সহ কমপক্ষে ১০ টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উগ্র মুসলিম জনতা ডি জে হাল্লি থানার সামনের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। উগ্র মুসলিম জনতার এই পূর্ব-পরিকল্পিত আক্রমণে মুসলিম জনতা পেট্রোল এবং অন্যান্য অস্ত্র বহন করে নিকটস্থ পুলিশ কোয়ার্টারে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।