‘আকশাই চীন’ ভারতের অঙ্গ হোক চান রাম মাধব

0
871

বঙ্গদেশ ডেস্ক: বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব এদিন বললেন, ‘শুধু LAC সমস্যার সমাধান কেন? আকশাই চীনও হোক ভারতের অংশ! কূটনৈতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে হলেও সরকারের উচিত অকশাই চীনকে ভারতের অন্তর্গত করার।’

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একটি অনলাইন আলোচনা ‘পাঞ্চজন্যে’ উপস্থিত হয়ে তিনি ভারত-চীন সংঘর্ষ নিয়ে বলেন, ‘ভারত নিজেদের একচুল জমিও ছাড়বে না । আমরা শান্তি চাই কিন্তু তা যুদ্ধের বিনিময়ে নয়। ইতিমধ্যেই লাদাখে আমরা প্রায় ৬০টি রাস্তা নির্মান করছি। আমরা শুধু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সমস্যা সমাধান করেই সন্তুষ্ট থাকব না, আকশাই চীনকেও আমরা ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।’

এদিন নিজের বক্তব্যে তিনি জানান, ‘ভারতকে আজ এইধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তার কারণ গত কয়েক দশকে সরকার চীনের মানসিকতা, রনকৌশলকে বোঝার চেষ্টাই করেনি৷ অন্যান্য দেশের তুলনায় চীন একটু আলাদাভাবে ভাবনাচিন্তা করে। ১৩-১৪টি দেশের সাথে ওদের সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে কিন্তু ওরা কারুর সাথে যুদ্ধে না জড়িয়েই একের পর এক প্রদেশ দখল করতে থাকে।’

একই সঙ্গে তিনি কংগ্রেসকেও একহাত নিলেন তাঁদের আমলে এই সমস্যাগুলির সমাধান না করতে পারার জন্য৷ তিনি বলেন, ‘আজ বিরোধীরা সীমান্তে সংঘর্ষ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু এই সমস্যা তো ২০২০ তে শুরু হয়নি, ছিল ২০১৩ সালেও। লাদাখে ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে ১৯-২০ কিমি ভেতরে ঢুকে এসেছিল চীনা সেনা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং খুব একটা উচ্চবাচ্য করেননি এ নিয়ে৷ কিন্তু আমরা এখন এই নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি৷ আমরা চীনের সাথে কূটনৈতিক ভাবে আলোচনা করছি ঠিকই কিন্তু সীমান্তেও যথেষ্ট সতর্ক থাকছি৷ আগের মত আমরা আলোচনা করে ফিরে আসছিনা। আমরা তাদেরকে পিছু হঠতে বাধ্য করছি৷’

১৯৮৮ সালের রাজীব গান্ধীর চীন সফর এবং ১৯৯৩ সালে পিভি নরসীমা রাওয়ের আমলের সরকারি অপদার্থতা নিয়েও সরব হন তিনি৷ জানান যে সেই সময়েও সীমান্ত উল্লঙ্ঘন করেছিল চীন৷

বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রাম লাল আরও বলেন, ‘ভারতে থেকে কিছু চীনা দাসদাসী চীনের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখেন। তারা ভারতীয় সেনার মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে৷’

চীনা দ্রব্য বয়কট করার সমর্থনে রাম লাল বলেন.. “আজকের দিনে একটি শিশুও জানে যে চীনা দ্রব্য কেনা উচিত নয়। চীনের এবার সতর্ক হওয়া উচিত যে যদি তারা আরো বাড়াবাড়ি করে তাহলে তাদেরকে কীরুপ অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হতে হবে। “