বঙ্গদেশ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানন্ত্রী ইমরান খান সরকারের গিলগিট-বাল্টিস্তানে নির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে পাকিস্তানে বিরোধিতা শুরু হয়েছে। ইমরান খান জানিয়েছেন, গিলগিট-বাল্টিস্তানে নির্বাচন হলে সেখানকার মানুষেরা সাংবিধানিক অধিকার পাবেন। যদিও পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো ইমরান খানের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ, এবং তাঁরা একজোট হয়ে এই নির্বাচনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে।
পাকিস্তানের বিরোধী দল পিএমএল – নওয়াজ, মুসলিম কনফারেন্স, পিপলস পার্টি অফ পাকিস্তান, জামাত-এ-ইসলামি, আজাদ কাশ্মীর পিপলস পার্টি এবং আরোও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, গিলগিট-বাল্টিস্তানে নির্বাচন করানো হলে পরিণাম ভুগতে হবে।
বিরোধীদের দাবি, এই দুই অঞ্চলকে পাকিস্তানের প্রান্ত বলা হলে জম্মু কাশ্মীরের বিতর্কিত অঞ্চলের জন্য বিনাশকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ইমরান খান সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য দুই তৃতীয়াংশ আসনের দরকার। এই ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানি সেনার প্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া আর আইএসআই প্রধান লেফেটেন্যান্ট ফৈজ হামিদ গত মাসে ১৫ জন বিরোধী নেতার সাথে বৈঠক করেন।
দুই আধিকারিক বিরোধী দলগুলোকে ইমরান খানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার জন্য বলেছে, যদিও পিএলএল- নওয়াজ নিজেদের দুই সদস্যকে সেনার সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ না করার ফরমান জারি করে। আরেকদিকে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে কাশ্মীর পিপলস ন্যাশানাল পার্টির সভাপতি সউকত আলী কাশ্মীর বলেন, এর ফলে চীন পাকিস্তানি সেনার উপর চাপ দিচ্ছে।