মৌলবাদী পাকিস্তান, লুণ্ঠিত মহিলাদের সম্ভ্রম, বছরে ধর্মান্তরিত হাজারের অধিক

0
575

বঙ্গদেশ ডেস্ক – প্রায় প্রতিদিনই পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর কিছু না কিছু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। পাকিস্তান ও ভারত দুই দেশ একই সাথে স্বাধীনতা লাভ করে, একদিকে ভারতে বেড়েছে সংখ্যালঘুর সংখ্যা কারণ তারা সবরকম সরকারী সুরক্ষা পায়, অন্যদিকে পাকিস্তানী সংখ্যালঘুদের সংখ্যা দিনের দিনের পর দিন কমছে দ্রুতহারে। একদিকে খুন, অন্যদিকে ধর্ষণ, ব্যবসা স্থানে লুঠপাট, সম্পত্তি দখল, মহিলাদের নিরাপত্তার অপরাধ মূলত দায়ী এই ইসলামিক রাষ্ট্রে ‘মাইনরিটি’ সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার।

ব্রিটেন থেকে প্রকাশ করা হয় আন্তর্জাতিক মানের নামী পত্রিকা ‘The Spectator’ যা বহুল প্রচারিত গোটা দেশে।
২০২০ সালে অতি সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ‘এডিশানে’, তারা পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার ও তাদের উপরে চলা ধারাবাহিক নির্যাতন বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এখানে পাকিস্তানের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকেই হাতিয়ার করা হয়েছে। বিভিন্ন সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবরের ভিত্তিতে কলামে প্রকাশিত হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী দেশের নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় কর্তব্য পালনের ব্যাপারে পাকিস্তান উদাসীন। সেখানের সরকার কোর্টের নির্দেশও মানেনা।

হুমা ইউনুস, ১৪ বছরের একজন খ্রীস্টান মেয়ে। তাকে করাচীর খ্রীস্টান কলোনি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলপূর্বক। তারপরে তার ধর্ম পরিবর্তন করে বয়সে বড় এক মুসলিম যুবকের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়।

আরজু রাজা, করাচির খ্রীশ্চান কলোনির ১৩ বছরের বালিকা। তার পরিবারের অভিযোগ, থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয় কারণ তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হঠাৎ করে খবর আসে ৪০ বছরের এক মুসলিম যুবকের সাথে তার বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এভাবে এক হিন্দু তরুণী রিঙ্কল কুমারীকে অপহরণের পরে তার ইচ্ছার বিরিদ্ধে এক মুসলিম যুবকের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক মহল এবং এনজিও গুলির অনেক চেষ্টার পরেও তাকে আর ফেরত পাওয়া যায়নি।

গত এপ্রিলেই পাকিস্তানের সিন্ধে এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করার খবর প্রকাশ্যে আসে।
আবার পাকিস্তানের সিন্ধে একটি বাজারে কয়েক সপ্তাহ আগেই একটি হামলা ও গুলি চালনার ঘটনা ঘটে, যাতে দুই যুবক হিন্দু ব্যবসায়ী আহত হন এবং অনেকগুলি হিন্দু দোকানে লুঠপাট করা হয়। মানবাধিকার কর্মী রাহাত অস্টিনের চেষ্টায় এই খবর সামনে আসে।

জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তো ছিলই, পাকিস্তানে ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় হিংসার ঘটনাও ঘটেই চলেছে। অপহরণ ও হামলার এবং ধর্মপরিবর্তন করে বিয়ে দেওয়ার প্রতি বছরেই হাজারের অধিক ঘটনা সামনে আসে, আর সামনে না আসা ঘটনার তো ইয়ত্তা নেই। গত মাসেই আমেরিকার রিপাব্লিকান নেতা মাইক পম্পেও সাংবাদিক সম্মেলন করেন এ বিষয়ে। পাকিস্তানের শাসক দল তেহরীক-ই-ইনসাফের সরাসরি মদতেও বহু সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে ইমরান খান নিয়াজির সরকার একাবারেই ব্যর্থ। প্রশাসনিক মদতে সংখ্যালঘুদের শেষ করে একটি ১০০% ইসলামবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা স্থাপন করে ভারতে ‘গাজবা-এ-হিন্দ’ স্থাপনই ‘ন্যায়া পাকিস্তানের’ লক্ষ্য।