মুখ পুড়লো ইমরানের! রাষ্ট্রসংঘের কর্মীদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টায় অভিযুক্ত পাকিস্তানি কর্নেল

0
484

বঙ্গদেশ ডেস্ক: কঙ্গোতে কর্তব্যরত রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিকদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ওই আধিকারিকদের সঙ্গে কর্মরত এক পাকিস্তানি কর্নেলের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর তথ্য হাতে উঠে এসেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে ইসলামাবাদ।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত ওই পাকিস্তানি কর্নেল সাকিব মুস্তাকি কঙ্গোতে পুর্নবাসনের কাজে লিপ্ত রাষ্ট্রসংঘ মিশনের ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্বে আছেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সে ওই মিশনে কর্তব্যরত কয়েকজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আধিকারিককে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছে। এই খবর পেতেই রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল হেডকোয়ার্টারের তরফে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানি ওই সেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।

রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিকদের একাংশের মতে, ১৯৯৯ সালে রাষ্ট্রসংঘের মিশনের শুরু থেকেই কঙ্গোর পূর্ব প্রান্তে ইসলাম ধর্মের প্রচার শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তানি আধিকারিকরা। সেখানে কর্তব্যরত আধিকারিকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা হয়। শুধু তাই-ই নয়, কঙ্গোর গ্রেটার নর্থ কিবু ও ইতুরি অঞ্চলে অনেকগুলি মসজিদও বানিয়ে ফেলেছে তারা।

তবে এই প্রথম নয় পাকিস্তানের বিভিন্ন আধিকারিকরা পৃথিবীর নানা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে গিয়ে অপরাধমূলক কাজ করে থাকেন বলে অভিযোগ। এর আগে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত মুনির আক্রমের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর সঙ্গীনি। যদিও কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকার জন্য আদালতের বাইরেই এই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যায়। কোনোরকম শাস্তিও দেওয়া হয়নি মুনির আক্রামকে।

২০১২ সালে হাউতিতে ১৪ বছরের এক নাবালককে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে রাষ্ট্রসংঘের কাজে যুক্ত পাকিস্তানের দুই শান্তিকর্মীর বিরুদ্ধে। এর জেরে এক বছরের জেলও হয়েছিল ওই দুজনের।