পাশে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, ১০ বছর পর নিশ্চিন্তে ভোট দিল সীমান্তবর্তী গ্রাম

0
556

বঙ্গদেশ ডেস্ক: এতদিন ভয় দেখিয়ে তাদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। জোর করে কখনও বুথে গেলেও তাদের শুনতে হত, তাদের ভোট নাকি দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অন্যরকম, হচ্ছে পরিবর্তনের ভোট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে টানা ১০ বছর পরে নিজের ভোট নিজে দিলেন চাপড়ার হৃদয়পুরের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার ভোটে রাজ্যের ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ হয়েছে।

তারমধ্যে ছিল নদিয়ার চাপড়া বিধানসভাও। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ নম্বর বুথের বাসিন্দাদের বেশিরভাগই মূলত কৃষিজীবী। পরিবর্তনের ছোঁয়ায় গ্রামে রাস্তাঘাটের বেশ কিছু উন্নতি হয়েছে বটে। কিন্তু বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক অবস্থার বিশেষ একটা পরিবর্তন হয়নি।

প্রথম কলকাতার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গ্রামবাসীদের এতদিন বোকা সাজিয়ে রেখে ছিলেন শাসক দলের নেতারা। ভোট এলে নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গালভরা অনেক আশ্বাসবাণী দিয়ে আসতেন। কিন্তু ভোটের দিন তাদের ভোট দিতে দিতেন না। বুথে গিয়ে তারা জানতে পারতেন, তাদের ভোট নাকি আগেই হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা একবার দুবার নয়, টানা দশ বছর ধরে হয়ে আসছে।

হৃদয়পুরের বাসিন্দারাও দিনবদলের অপেক্ষায় ছিলেন এতদিন। চলতি বিধানসভা ভোটে নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকেই চালিয়েছে কড়া নজরদারি। বেনজির ভাবে রাজ্য মোতায়েন করা হয়েছে ১২শো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটকেন্দ্রে তো বটেই, এমনকি গ্রামগুলোতেও সিআরপিএফ জওয়ানদের টহলদারি বজায় রয়েছে। এবার চোখ রাঙানোর সাহস হয়নি আর কারও।

সিআরপিএফ জওয়ানরা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বাসিন্দাদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন। ১০ বছর পরে বৃহস্পতিবার সকালে হাসিমুখে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে পারলেন হৃদয়পুরের বাসিন্দারা। বুথে উপস্থিত ভোটকর্মীরাও হাসিমুখে তাঁদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন।

১০ বছর পরে ভোট দিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন গরিব মানুষগুলো। বাসিন্দাদের দাবি, সব ভোটেই যেন এবার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সব ভোটেই যেন থাকে এরকম আঁটোসাঁটো পাহারা। তবেই মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন।