বঙ্গদেশ ডেস্ক: থানা তৈরি করা হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য৷ সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে জীবনযাপন করতে পারেন, সেই দিকে খেয়াল রাখার জন্য৷ অথচ সেই থানাই তুলে দেওয়ার আর্জি জানানো হল সাধারণ মানুষেরই তরফে৷ আর এই আবেদন জমা পড়ল একেবারে কলকাতা হাইকোর্টে৷ দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা৷
কলকাতার গরফা থানা নিয়ে আদালতে এমন আবেদনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই পড়ে গিয়েছে৷ প্রশ্ন উঠেছে, কেন এমন আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল? তাহলে কি এটা এলাকার লোকের ক্ষোভের ফল? পুলিশ আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না বলেই কি এমন আবেদন হল? নাকি সেখানে পুলিশ অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে?
কলকাতা হাইকোর্টের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে এই আবেদনের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বা পুলিশি অতি সক্রিয়তার কোনও সম্পর্ক নেই৷ এর কারণ করোনা৷ ওই জনস্বার্থ মামলার আবেদনে দাবি করা হয়েছে যে গরফা থানার অধিকাংশ পুলিশ আধিকারিক ও কর্মী নাকি করোনায় আক্রান্ত৷ সেই কারণেই এই পরিস্থিতিতে ওই থানা বন্ধ করে দেওয়া উচিত৷
আদালতে শুনানির সময় রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়৷ রাজ্যের তরফে আদালতের কাছে হলফনামা জমা দেওয়া হয়৷ তাতে জানানো হয়েছে যে গরফা থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ কিন্তু তারা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন৷ ভবিষ্যতে কেউ আক্রান্ত হলে সরকারি তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
সবশেষে আদালত জানায় যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার মূল দায়িত্ব প্রশাসনের৷ কিন্তু সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে৷ তাই থানা তুলে দেওয়ার আবেদন সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে আদালত৷