রথ চলবে, মাসির বাড়িও যাবেন জগন্নাথ কিন্তু থাকবে না কোনও ভক্ত: সুপ্রিম কোর্ট

0
545

বঙ্গদেশ ডেস্ক: “রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম, ভক্তরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম”। রথযাত্রা এবং ভক্ত সমাগম বরাবরই একে অপরের সমার্থক। যদিও এই বছরের চিত্রটা থাকবে অন্যবছরের চেয়ে আলাদা। এই বছর করোনাভাইরাস মহামারীর আকার নিয়েছে। অনিশ্চিত ছিল জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মাসির বাড়ি যাওয়া। অবশেষে সোমবার সুপ্রিমকোর্ট পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির কমিটিকে সবুজ সংকেত দিল বিনা ভক্ত সমাগমে রথযাত্রা আয়োজন করার জন্য।

ওড়িশার একটি এন জি ও এর পক্ষে রঞ্জিত কুমার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন পুরীর রথযাত্রা স্থগিত করার অনুমতি আদায়ের জন্য। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে গত ১৮ই জুন মামলার শুনানিতে জানান ‘রথযাত্রার অনুমতি দিলে জগন্নাথদেব আমাদের ক্ষমা করবেন না।’ এর পরে মোটামুটি স্থির হয়ে যায় রথযাত্রা হচ্ছে না। রথযাত্রা স্থগিতের খবর ছড়ানো মাত্রই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়তে থাকে।

রাজ্য সরকারের সঙ্গে পুরীর শঙ্করাচার্য ও রাজার চিঠি বিনিময় হয়। পুরীর রাজা মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান। তিনি শনিবার দীর্ঘ চিঠি লেখেন রাজ্য সরকারকে। পুরোহিত ও পান্ডারা পুরীর মন্দিরের সামনে বিক্ষোভ দেখান।

সমস্ত কিছু দেখে ওড়িশা সরকার ১৮০ডিগ্রী ঘুরে এদিন জানায়, তারা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে রথযাত্রার আয়োজন করতে প্রস্তুত। সহমত জানায় কেন্দ্রও। এরপরই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান ‘জগন্নাথ দেব যদি রথযাত্রায় বেরোতে না পারেন তাহলে নিয়ম অনুসারে ১২ বছর মন্দিরেই আটকা থাকবেন।’

রঞ্জিত কুমারের পক্ষে বক্তব্য ছিল, ‘পুরী মন্দিরের পান্ডা পুরোহিতের সংখ্যাই প্রায় ২৫০০। রথযাত্রার অনুমতি দিলে তা স্বাস্থ্যপরিষেবার জন্য বিপদ হয়ে দেখা দিতে পারে।’ কিন্তু তার এ বক্তব্য ধোপে টেকেনি। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয় পুরীর রথযাত্রা হবে। তার জন্য কেন্দ্র -রাজ্য-মন্দির কমিটি যা যা ব্যবস্থা নেবার নেবে। তবে পুরী ছাড়া অন্য কোন স্থানে রথযাত্রা হবে না। ফলে মাহেশের রথ ও ইসকনের রথযাত্রা হবে না এটা স্পষ্ট।