কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে জঙ্গলরাজ, জোর করে দলিত হিন্দুর ইসলামীকরণ

0
710

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- ভালোবাসা থেকে শুরু করে জমি জিহাদীদের দাপট সর্বত্র। সম্প্রতি শরিয়ত মৌলবাদের সঙ্গে জড়িত একাধিক অপরাধ সংক্রান্ত ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ। এবার কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে আলওয়ারের এক দলিত ব্যক্তিকে জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ।

সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমধ্যম ‘ টাইমস নাউ’ রিপোর্ট করেছে,আলওয়ারের বাসিন্দা মেমচাঁদ নামে এক দলিত ব্যক্তিকে জোর করে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে স্থানীয় কয়েকজন মুসলিম ব্যক্তি। তারপর তার নাম দেওয়া হয়েছে মহম্মদ আনাস। শুধু তাই-ই নয়, ওই দলিত ব্যক্তিকে জোরজবরদস্তি জম্মু-কাশ্মীরের একটি জামাতেও নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তারপর লাগাতার তার স্ত্রীর ধর্ম পরিবর্তনের জন্য মেমচাঁদ ওরফে মহম্মদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে। অভিযোগ উঠেছে, ওই দলিত ব্যক্তিকে হরিয়ানার ফিরোজপুরে একটুকরো জমি দিয়ে সেখানে পাকাপাকিভাবে চলে যেতে বলে অভিযুক্তরা। শেষমেষ এই অপরাধ ও অত্যাচার মেনে নিতে না পেরে আলওয়ারের একটি আদালতের দ্বারস্থ হন মেমচাঁদ। ফের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার অনুনয় বিনয় করেন তিনি।

ওই নির্যাতিত ব্যক্তিকে সমস্তরকম সহায়তা ও নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া ওই এলাকার বেশ কয়েকজন স্থানীয় দলিত পরিবার অভিযোগ করেছেন, টাকার লোভ দেখিয়ে বা জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে অনেককেই বাধ্য করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি হরিয়ানার বল্লভগড়ে কলেজের সামনেই ২১ বছরের এক তরতাজা তরুণী নিকিতাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে খুন করে এক মুসলিম যুবক। ওই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে কলেজ পড়ুয়া ও নেটিজেনদের একাংশ। কলেজ ছাত্রী নিকিতা তোমারের পরিবারের অভিযোগ, বহু বছর ধরেই নিকিতাকে উত্যক্ত করছিল তৌসিফ নামের ছেলেটি। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হ‌ওয়ার জন্য চাপ দিত বলেও নিকিতার পরিবারের অভিযোগ। নিকিতার পরিবারের দাবি, তৌসিফ লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে নিকিতাকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছিল। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হতেই আক্রোশ বশত নিকিতাকে খুন করে সে।

তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজস্থানে দলিত ব্যক্তির ধর্মান্তকরণ নিয়ে নীরব থেকেছেন প্রশাসন। বরং কানাঘুষা অভিযোগ উঠেছে, ব্যাপারটা চেপে যাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই বিষয়ে এখনও কংগ্রেস নেতা অবধি রাহুল গান্ধী বা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা বঢ়ড়া কোনো মন্তব্য করেননি।