চীনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সীমান্তে শস্ত্র পুজো প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর

0
603

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- চীনের প্রবল অনিচ্ছা সত্ত্বেও সীমান্ত বিবাদের মধ্যেই এর আগের লাদাখ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এবার চীন সীমান্তে সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সটান সীমান্তে পৌঁছে গেলেন রাজনাথ সিং। শুধু তাই নয়, চীন সীমান্তের কাছে শস্ত্র পুজোও করবেন তিনি। শনিবার থেকে দুদিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম যাবেন রাজনাথ সিং।

শনিবার শিলিগুড়ির কাছে সুকনায় সেনাছাউনিতে গিয়ে চীনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর প্রস্তুতির বিষয়ে বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সঙ্গে রয়েছেন সেনাপ্রধান এম এম নারভানেও। রবিবার সকালে সুকনাতে শস্ত্র পুজো করেন রাজনাথ সিং। চীনের সঙ্গে ভারতের প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের মধ্যে একটা বড় অংশ অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিম সীমান্তে রয়েছে। লাদাখে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর থেকে এই সীমান্ত এলাকাগুলিতে প্রচুর সংখ্যায় সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।

রবিবার সকালে প্রথমে সুকনায় সেনাছাউনিতে শস্ত্র পুজো করেন রাজনাথ সিং। এনডিটিভিতে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দিন‌ই চীন সীমান্ত থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে পুজো করার কথা ছিল তাঁর। নবরাত্রির সময় হিন্দু রীতিনীতি মেনেই এই অস্ত্র পুজোর আয়োজন করা হয়। যদিও চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের মধ্যেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর রাজনাথের এই পুজো বিশেষ অর্থপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে কাঁধে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গত কয়েক বছর ধরেই তিনি এই পুজো করেন।

সুকনায় সেনা জওয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তাদের বিজয়াদশমীর আগাম শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেছেন,”ভারত বরাবরই তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে। আমরা সব সময় সে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার চেষ্টা করেছি। তা সত্বেও বিভিন্ন সময়ে দেশের অখন্ডতা এবং সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের জ‌ওয়ানদের নিজেদের দেশের জন্য বলিদান দিতে হয়েছে। সম্প্রতি গাল‌ওয়ানে বিহার রেজিমেন্টের ২০ জন জ‌ওয়ান মাতৃভূমির জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। আমাদের বীর সেনাদের জন্য‌ই আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত রয়েছে।”