সায়নীর বিরুদ্ধে তথাগত রায়ের অভিযোগ, ভয় পেলেন কি সায়নী?

0
991

বঙ্গদেশ ডেস্ক:ভগবান শিবকে অপমান করে শিবলিঙ্গে কনডম পরানোর কার্টুন ট্যুইট করে ইতিমধ্যেই জনরোষে পড়েছেন টলিউড অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ৷ শিবের সাথে বাঙ্গালার মানুষের আত্মার নিবিড় যোগাযোগ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। কিন্তু অন্যদিকে দেখা গেলো আরেক চিত্র! নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলেই ঈদ ও ক্রিসমাসে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি ট্যুইট করেছিলেন কিন্তু শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতার ক্ষেত্রেই তিনি কনডম পরাতে চেয়েছেন, আর এতেই বামপন্থীদের ভেকধারী ভদ্রতার মুখোশ উন্মোচিত হয়ে পড়ে।

সায়নী ঘোষের এই নিন্দনীয় ও অপমানজনক এবং হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া কাজের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একটি FIR করেছেন, মেঘালয়ের সাবেক মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী তথাগত রায়। IPC ধারা 295A অনুযায়ী তিনি এই FIR -টি দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য ২০১৫ সালে তিনি এই ট্যুইটটি করেছিলেন। https://archive.is/cSy5z

কিছুদিন পূর্বেই তিনি একটি ওপেন ডিবেটে বাঙ্গালার সংস্কৃতি ও অস্মিতা নিয়ে বেশ জ্ঞানগর্ভ বক্তব্যও দিয়েছিলেন। তার দুদিন পরেই তার ২০১৫ সালে ট্যুইটারে ট্যুইটের মাধ্যমে প্রকাশিত আসল রূপ ফাঁস হয়ে পড়ে। সায়নী ঘোষ পরবর্তীতে দায়ে পড়ে বাধ্য হয়ে যদিও বলেছেন যে তার ট্যুইটার একাউন্ট নাকি হ্যাক করা হয়েছিল, তাতেও তুষ্ট হয়নি সাধারণ হিন্দু জনতা। কারণ বাস্তবে তার এই দাবীতে অনেক বৈসাদৃশ্য রয়েছে।

নেটিজেনদের অনেকেই সায়নীর এই দাবীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন যে প্রোফাইল হ্যাকড হলে মানুষ সাইবার সেলের সাহায্য নেয়। সায়নী ঘোষ সেই পদক্ষেপ না নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কি করছিলেন? এফ আই আর যদি করেই থাকে তবে তা সেই সময়ের হওয়ার কথা যখন হ্যাক হয়েছিল। যদি তার FIR আজকালের মধ্যে হয়ে থাকে তবে তা নিশ্চিতভাবেই স্বচ্ছ নয়। প্রোফাইল হ্যাকড হলে সায়নী ঘোষ সেই একই দিনে সেলফি পোস্ট করলেন কিভাবে? হ্যাকার ও সায়নীর বানান ব্যবহারের পদ্ধতি একই কিভাবে হয়? কারণ তার ‘cudnt’ বানানে দৃষ্টিই দিলেই তা বোঝা যায়। সায়নী তার নিজের করা একাধিক ট্যুইটেও একই বানান ব্যবহার করেছে।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3583991598385392&id=100003237629214
আর এই সকল কারণেই নেটিজেনরা আরও ফুঁসে ওঠে এই বলে যে, “অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ বাস্তব জীবনেও নিজের অপকর্ম থেকে বাঁচার জন্য অভিনয় করে যাচ্ছে, মানুষ কি এতোটাই বোকা?”

এদিকে ওপেন ডিবেটে সায়নী ঘোষ সেদিন বলেছিলেন যে, “জয় শ্রী রাম বাঙ্গালার সংস্কৃতি নয়।” এর বিপরীতেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল মানুষ। তাই একের পর এক ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে সায়নী ঘোষ। বাধ্য হয়ে একপ্রকার তিনি ট্যুইট করে বসেন, ” যে বা যারা আমার quote কে বিকৃত করে দেশবাসীর মনে আমার বিরুদ্ধে হিন্দুবিরোধী মনোভাব স্থাপন করছেন, আমার comment টা মন দিয়ে শুনুন। জয় শ্রী রাম, ভগবানের নাম, ভালবেসে বলুন…. এখন যারা ভয় দেখানোর চেষ্টা করছো, আমার কথাগুলোকে সঠিক প্রমাণ করেছো। শ্রী রাম ই এর বিচার করবেন।”

ছোটবেলায় আমরা শুনেছি ভূতের মুখে রামনাম! এখানেও ব্যাপারটা ঠিক তেমনই। একদিকে যিনি শিবলিঙ্গে কনডম পরানোর কার্টুন ট্যুইট করেন, অন্যদিকে তিনিই রামনাম নিচ্ছেন, আবার রীতিমতো বলছেন যে ভালবেসে নাম নিতে! একদিকে বলছেন জয় শ্রীরাম বাঙ্গালার সংস্কৃতি নয়, অন্যদিকে ঈদ ও ক্রিসমাসে যথেষ্ট ভদ্রতা ও নম্রতার সাথে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন! আবার তিনিই কিন্তু বাঙ্গালার সংস্কৃতি ও অস্মিতা নিয়ে জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রেখেছিলেন। এখানে একটা বিষয় লক্ষনীয় এই যে হিন্দু ধর্ম ও সম্প্রদায়কে বরাবরই ছোট করে এসেছে এই বামপন্থী মহল, যার মধ্যে বামপন্থী  শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, অভিনেতা-অভিনেত্রী, বুদ্ধিজীবী কেউই বাদ নেই। তারাও প্রত্যেকেই হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতিকে বারংবার অপমান করে গিয়েছে এবং অন্যান্য ধর্মের প্রতি, যেগুলো ভারতীয় ভূমির আসল সংস্কৃতির অংশ নয় মোটেই, বহিরাগত, সেগুলোকে সম্মানের সাথে সম্মান জানিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে কোন প্রতিবাদ আসলেই সায়নী ঘোষ যেমনটা করেছেন, ঠিক তেমনভাবেই নিষ্ঠাবান হিন্দু হয়ে যেতেন এবং নিজেদেরকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ থেকে বাঁচিয়ে নিতেন। এভাবেই ভারতে বামপন্থীদের ধারাবাহিকভাবে হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতিকে অপমান চলে এসেছে। কিন্তু ভারতের আপামর ধর্মপ্রাণ হিন্দু এবার রীতিমতো জেগে উঠেছে, তারা প্রতিবাদ করছে। সায়নী ঘোষরা ক্ষমা পেয়ে যাওয়া মানে ভবিষ্যতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে এবং অতীতের বামপন্থীদের ঘটনাও সেটাই দেখিয়ে দেয়।