আদালতের রায়ে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হল বিজেপি কর্মীর

0
728

রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জে পুলিশি হেফাজতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে উত্তপ্ত জেলা রাজনীতি।
মৃত বিজেপি কর্মীর মা গীতা রায়ের আবেদনের ভিত্তিতে ইটাহার থানার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক আদালতের দারস্থ হন।

রায়গঞ্জ সিজিএম আদেশ দেন, মেডিকেল বোর্ড গঠন করে পুনরায় অনুপকুমার রায়ের দেহের ময়নাতদন্ত করা হোক। আদালত আরও নির্দেশ দেয় আগের ময়নাতদন্ত যে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হয়েছিল সেই চিকিৎসক দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের সময় থাকতে পারবেন না। সেই নির্দেশ মেনেই এ দিন দুপুরে হল ময়নাতদন্ত।

পাশাপাশি মৃত অনুপ কুমার রায়ের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রায়গঞ্জ থানার পাঁচ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অপহরণ (৩৬৩) ও খুনের (৩০২) মামলাও শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসপ্রীত সিং বলেন, ‘‘একটি ডাকাতির গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অনুপের নাম করেছিলেন পুলিশ হেফাজতে থাকা কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাই তাকে থানায় তুলে নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপরেই সে অসুস্থ বোধ করে। পরে মারা যায়। তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রায়গঞ্জ থানার ৫ জন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।’’

বুধবার বিকেলে ইটাহার থানার নন্দনগ্রামের বাসিন্দা অনুপকে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ওই যুবকের মা অভিযোগ করেন বিজেপি করার ‘অপরাধে’ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এরপর লকআপে পিটিয়ে মারে।

মৃত্যুর পর থানা থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরে এক জায়গায় ওই যুবকের পরিচিত এক ভাইকে দিয়ে মৃতদেহ সনাক্ত করিয়ে তড়িঘড়ি বুধবার রাতেই ময়নাতদন্ত করায় পুলিশ৷ মৃতদেহও রাতেই সৎকারের চেষ্টা করে। কিন্তু বাড়ির লোক ও পড়শিরা জেনে ফেলায় তা সম্ভব হয়নি।

এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল থানা ঘেরাও করে বিজেপি , উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু৷