বাংলাদেশ থেকে বাঙ্গালী হিন্দুদের উৎখাত নিয়ে ছবি নয় কেন? ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’দেখে প্রশ্ন তুললেন তসলিমা নাসরিন

0
589

বঙ্গদেশ ডেস্ক:ছবি মুক্তির আগে থেকেই ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমাটি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল। ছবি মুক্তি পেতেই সেই আঁচ দ্বিগুণ মাত্রায় বেড়েছে। অন্যদিকে মাত্র সাত দিনের মাথায় বক্সঅফিসে ১০০ কোটির গণ্ডি পেরিয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রীর এই ছবিটি। ছবির বানিজ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত, আগামিদিনে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যবসা করবে অনুপম খের(Anupam Kher), মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakraborty), পল্লবী যোশী(Pallabi Joshi), দর্শন কুমার(Darshan Kumar) অভিনীত এই ছবি।এবার ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) দেখে নিজের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছেন তসলিমা নাসরিন।

নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীর থেকে কীভাবে কাশ্মীরের ভূমিপুত্র কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উৎখাত করা হয়েছিল, কীভাবে দিনের পর দিন পরিবারগুলির উপর চলেছিল অত্যাচার ও নিপীড়ন, সেই বাস্তব চিত্রই ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। এই ছবির প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তবে বিরোধীরা কিন্তু এই ছবি নিয়ে তোপ দাগতে ছাড়েনি। অভিযোগ উঠেছে, অর্ধসত্য কাহিনী দেখানো হয়েছে ছবিতে। অনেকে আবার বলেছেন, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ মোদী সরকারের প্রচারমূলক ছবি। তবে ছবিটি দেখে একদম অন্যরকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasreen)।

শুক্রবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, “দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবিটি দেখলাম। যদি চিত্রনাট্য ১০০ শতাংশ সত্যি হয় এবং কোনও বাড়তি রং না থাকে বা অর্ধসত্য কাহিনীও না হয়, তবে সত্যিই এই কাহিনী অত্যন্ত কষ্টের কাহিনী। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাশ্মীরে থাকার অধিকার অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। তবে আমি বুঝতে পারছি না, কেন বাংলাদেশ থেকে বাঙ্গালী হিন্দুদের বিতাড়িত করা নিয়ে কোনও ছবি তৈরি হচ্ছে না।”

১৯৭১ সালে বাঙ্গালী উৎখাত নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানি সেনা লক্ষ লক্ষ হিন্দুদের হত্যা করে, হিন্দু মহিলাদের ওপর নির্মমভাবে ধর্ষণ করে। জগন্নাথ হলে রাতারাতি ১০ হাজার হিন্দুকে মেরে ফেলা হয়। এই গণহত্যা চলেছিল দীর্ঘ ১০ মাস ধরে। যার জেরে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পরেও ইসলামিক কট্টরপন্থীরা হিন্দুদের উৎখাতের প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে চালিয়ে গিয়েছিল। সেই কলঙ্কিত ইতিহাসই ছবি হিসেবে তুলে ধরার আর্জি জানিয়েছেন তসলিমা নাসরিন।