বঙ্গদেশ ডেস্ক: তিনি ভারতের নাগরিক নন, কিন্তু এদেশের রাজনীতি এবং সমাজ জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছেন বিশেষভাবে। এই মুহূর্তে রাজধানী দিল্লিতে থাকেন তিনি। কিন্তু তাঁর মনের প্রবল ইচ্ছা বাঙালির প্রাণের শহর কলকাতায় বসবাস করবেন। ১৪ বছর আগে মৌলবাদীদের কাছে মাথা নত করে কলকাতা ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে।
আলোচিত এই ব্যক্তি হলেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। যাকে মৌলবাদের বিরোধিতা করার কারণে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। নিজের দেশ বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে কলকাতায় বসবাস করতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু পদ্মাপারের মতো গঙ্গাপারেও ঠাঁই জোটেনি তসলিমার। মৌলবাদীদের তাণ্ডবে তিলোত্তমা ছাড়তে হয়েছিল তসলিমা নাসরিনকে।
২০০৭ সালে নভেম্বর মাসের ২১ তারিখে ভয়াবহ হিংসার ঘটনা ঘটে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায়। অনেক সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়। তসলিমা নাসরিনকে এই শহরে থাকতে দেওয়া যাবে না- এটাই ছিল বিক্ষোভকারীদের দাবি। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েছিলেন তৎকালীন শাসকদলের চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন যে তসলিমা নাসরিন কলকাতায় থাকলে যদি হিংসা ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তাঁর শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া উচিত। পড়ে সরকার বদল হলেও লেখিকাকে নিয়ে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
I was thrown out of West Bengal by CPIM in 2007 and was prevented from entering West Bengal by TMC since 2009. Will I be able to visit West Bengal if BJP brings real parivartan? Just wondering.
— taslima nasreen (@taslimanasreen) March 21, 2021
এই অবস্থায় বিজেপি যদি বঙ্গে আসে তবে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করার কথা ভাবতে শুরু করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। পূর্বতন বাম এবং বর্তমানের তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করে তসলিমা টুইটে লিখেছেন, “২০০৭ সালে সিপিআইএম আমায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে তারিয়ে দিয়েছিল। আর ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূল আমায় ওই রাজ্যে ঢুকতে দিচ্ছে না।”
পদ্ম শিবিরকে নিয়ে আশার কথা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর টুইটে। তসলিমা লিখেছেন, “বিজেপি কি প্রকৃত পরিবর্তন আনতে পারবে? আমি কি আবার পশ্চিমবঙ্গে যেতে পারব?” এখনও ভোট হয়নি, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেও বহু দেরি। অবশ্য টুইটের শেষে তিনি লিখেছেন, “এমনি ভাবছি।”