বঙ্গদেশ ডেস্ক:- নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, এ রাজ্যে রাজনৈতিক পারদের মাত্রা তত বেশি চড়ছে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে নেতাদের মুখ থেকে মনিমুক্তোর মতো ঝরে পড়ছে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য। বিতর্কিত মন্তব্যের দৌড়ে প্রথম সারিতে রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। তাদের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রাজ্যে আসন্ন ভোটে দ্বিগুণ হিংসা ছড়িয়ে পড়বে বলে দাবি বিরোধীদের। কিন্তু বিরোধীরা যতই বলুক না কেন, তৃণমূলের নেতারা সেসবে কর্ণপাত করছে না। আর সেই তালিকার ক্রমাঙ্ক বজায় রেখে আরও এক তৃণমূল নেতার বিতর্কিত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
Our ancestors have said – 'jiska namak khate hain, uska namakharami nahi karte hain… After polls, we will have to meet those who would cheat us. Khela Hobe (the game will be played) with dishonest people. We all want to see Didi as our CM: TMC MLA Hamidul Rahman (02.03) pic.twitter.com/pfXIdUu3Gd
— ANI (@ANI) March 4, 2021
তৃণমূল নেতা এক্রামুল হকের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে আর সেই ভিডিওই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেছেন, মাঝিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বুথেও বিরোধীদের এজেন্ট থাকতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, যতই মিলিটারি ফোর্স আসুক আর যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক না কেন আমাদের বুথে আমরাই শেষ কথা, আমরাই কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমরা যদি ভিতরে পোলিং এজেন্ট থাকতেই না দিই, তাহলে আমরা যেমন বলব তেমনই ভোট হবে। আর বিরোধীদের আমরা এখানে কিছুতেই থাকতে দেব না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই চোপড়া কেন্দ্রে তৃণমূল নেতা একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেই চলেছে। তার জেরে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এর আগেও চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিতর্কিত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিওতে তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমানকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, ‘আমাদের পূর্বপুরুষেরা বলে গেছেন যাদের নুন খাও, তাঁদের সঙ্গে বেইমানি করতে না। নির্বাচনের পর তাঁদের সঙ্গে দেখা হবে যারা আমাদের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। বেইমানদের সঙ্গে খেলা হবে। আমরা সবাই দিদিকে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।”
হামিদুর রহমানের সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এবার চোপড়া কেন্দ্রের তৃণমূল নেতা এক্রামুল হকের একটি বিতর্কিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অবশেষে মাঠে নামে দলের ব্লক সভাপতি প্রীতিরঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘সবাই তো আর ভালো বক্তা হতে পারেন না। হয়ত উনি কিছু নিয়ে বলতে গিয়ে অন্য কিছু বলে ফেলেছেন। তবে এই কথাটা বলা ঠিক হয়নি। একজন নেতার এই মন্তব্য কখনোই ঠিক না। কিন্তু আমাদের সবাইকে নিয়েই চলতে হবে।”
আরেকদিকে ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তৃণমূল নেতা এক্রামুল হক সাফাই দিয়ে বলেছেন, ‘আমি আসলে তেমন কিছু বলিনি। আমি বলতে চেয়েছি আমাদের ১১ টা বুথে বিরোধীদের অস্তিত্বই নেই, তাহলে বিরোধী এজেন্ট থাকবে কীভাবে? আমি হুমকি বা ভয়ও দেখাইনি। আমাদের ১১ টা বুথ বিরোধীশূন্য সেটাই বলেছি।”