বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ, নিহত তৃণমূলের হুমায়ুন কবীর

0
650

বঙ্গদেশ ডেস্ক: রবিবার নিজের বাড়ির ছাদে বোমা বাঁধছিলেন ৪০ বছর বয়সী তৃণমূল কর্মী হুমায়ুন কবীর। কিন্তু সেই বোমা বানানোর সময়েই হয় বিপত্তি, আচমকা ভীষণ বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের শামশেরগঞ্জ এলাকায়।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, হুমায়ুনের ছেলে এই বিষ্ফোরণে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। জাঙ্গিপুরের সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার প্রসেনজিৎ ব্যানার্জী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘কবীর বোমা বানানোর সময়তেই গুরুতরভাবে আহত হন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে তিনি নিজের বাড়ির ছাদে বোমা বানাচ্ছিলেন। অসাবধানে বিস্ফোরণ ঘটে যায়।’ ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। এখনও অবধি একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি।

স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, শনিবার রাত নটার সময়ে জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। কৌতুহলবশত স্থানীয়রা ছুটে যান কবীরের বাড়ির দিকে এবং বাড়ির ছাদে তাঁর রক্তাক্ত দেহ মেলে। কবীরের মা কাশিনুর বেওয়া জানিয়েছেন যে তাঁরা সবেমাত্র রাতের খাবার খেয়ে উঠেছিলেন। তখনই বিস্ফোরণ হয়।

বিস্ফোরণের ঘটনা স্বীকার করে নিলেও কবীরের মা নিজের ছেলের বিরুদ্ধে বোমা বাঁধা এবং সমাজবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিটি অভিযোগকেই উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার ছেলে কোনওরকম অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল না। বাইরে থেকে কেউ বোমা ছুঁড়েছে আমাদের বাড়িতে।’

তবে পুলিশ রেকর্ড অবশ্য অন্যকথা বলে৷ কবীর বহুবার সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছে। তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ পুলিশের সন্দেহ, বিস্ফোরণের পর গোটা পরিবার প্রমাণ লোকাতে বোমা বানানোর সরঞ্জাম কোথাও সরিয়ে দিয়েছে৷

পেশাগতভাবে স্থানীয় একটি বিড়ি তৈরির কারখানায় শ্রমিকের কাজ করত তৃণমূলকর্মী কবীর৷ এই ঘটনা সকলের সামনে আসার পর থেকে যথারীতি তার দল দুরত্ব বজায় রাখতে শুরু করে দিয়েছে এই ঘটনা থেকে। মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের মুখপাত্র গৌতম ঘোষ জানিয়েছেন যে কোনো তৃণমূলকর্মী এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি যাতে তাঁরা শীঘ্রই এই বিষয়টির তদন্ত শুরু করেন।’