Fact Check: পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে মিথ্যাচার আনন্দবাজারের

0
1070

বিশেষ সংবাদদাতা: ১৭ আগষ্ট তারিখে প্রকাশিত আনন্দ বাজার পত্রিকা নামের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ফেক নিউজ সামনে এসেছে। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন ছোটো বড়ো অনেক রাজনৈতিক নেতা।

সংবাদপত্রটিতে শিরোনামে দাবি করা হয়েছে – “পিএম কেয়ার্স’ এর তথ্য দিতে অস্বীকার, আরটিআই ফেরাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর।“

সেখানে জনৈক লোকেশ বাত্রা নামে এক অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর অফিসারের করা একটি আর. টি. আই. আবেদনেরও উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এই দাবি অসত্য। সংবাদসংস্থা জানিয়েছে অন্যান্য আবেদনকারীর মতো লোকেশ বাত্রাকেও তার তথ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী উত্তর পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পি. এম. ও.)। সেখানে পিএমওর কাছে থাকা এই ফান্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই সংবাদপত্রটিতে আরো বলা হয়েছে –
“বাকি সব তথ্য দিলেও পিএম কেয়ার্স এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হয়নি।… যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটা শুধুমাত্র তথ্য না দেওয়ার অজুহাত।“

কিন্তু সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর তথ্যের অধিকার আইন এবং নিয়ম মেনেই কাজ করছেন। ঐ আইনের ৭(৯) ধারা অনুযায়ী, আবেদনকারী যে ফর্মে অর্থাৎ যে ভাবে তথ্য চাইছেন, কোনও অফিসে যদি ঠিক সেই ফর্মেই তথ্য থাকে, তা হলে তা দিতে বাধ্য থাকবে। এর বাইরে কোনো ফর্মে তথ্য দিলে সেটি তথ্যের নিরাপত্তা বা সংরক্ষণের পরিপন্থী বলে বিবেচিত হতে পারে। অর্থাৎ কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে কোনো ব্যাক্তি যদি কোনো বিশেষ ফরম্যাটে তথ্য চান তা যদি ওই ফরম্যাটি না থাকে তাহলে ওই তথ্য যে ফরম্যাটে জমা রয়েছে সেই ভাবেই দেওয়া হবে। আলাদা করে কোনো নতুন ভাবে তা তৈরী করা বা বিতরণ করা আইন বিরুদ্ধ কাজ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর যেকোনো আইন বিরুদ্ধ কাজ করতে অসম্মত হবেন এটাই কাম্য বলে মনে করছেন বঙ্গদেশ পত্রিকার অধিকাংশ পাঠক।

যদিও এরপরেও পি এম কেয়ার্স ফান্ডের এই বিকৃত খবর নিয়ে অনেক রাজনৈতিক ব্যাক্তি পি. এম. কেয়ার্স. ফান্ডে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলতে চাইছেন। তারা বিকল্প হিসেবে পি. এম. এন. আর. এফ. নামে আরেকটি পুরোনো ফান্ডের কথা বলেছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে পি. এম. এন. আর. এফ. ফান্ডটির চেয়ে পি. এম. কেয়ার্স. ফান্ডটির স্বচ্ছতা অনেক বেশী। কারন পুরোনো ফান্ডটিতে একটি মাত্র বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্যকে বোর্ডে রাথার কথা রয়েছে। যেটি একটি বড়ো মাপের দুর্নীতির চাবিকাঠি। কিন্তু নতুন ফান্ডটিতে কোনো রাজনৈতিক দলের পদাধিকারীকে রাখা হয়নি। পি. এম. কেয়ার্স. এ ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে, শুধু কোনো একজন ব্যাক্তির হাতে সব ক্ষমতা ন্যাস্ত নেই। বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ, বিশিষ্ট সমাজকর্মী, বৈজ্ঞানিক, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্টজন প্রমুখ কে সামিল করা হয়েছে। রয়েছেন একাধিক ক্যাবিনেট মন্ত্রীও।