নাইজেরিয়ায় অপহৃত ৩০০ ছাত্রী উদ্ধার, মৌলবাদীদের মুক্তিপণ দিয়েছে সরকার?

0
644

বঙ্গদেশ ডেস্ক – গত সপ্তাহে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য জামফারায় একটি বোর্ডিং স্কুলে অতর্কিতে হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতি। বহুসংখ্যক অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র লোকেরা অপহরণ করে নিয়ে যায় একদল নাইজেরিয় স্কুল ছাত্রীকে। ‘ডেইলি নাইজেরিয়া’ তাদের মঙ্গলবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। বারবার এইভাবে স্কুল ছাত্রীদের অপহরণের ঘটনা ঘটায় সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নাইজেরিয়ার জাঙ্গেবি গ্রামের সরকারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কয়েকশ সশস্ত্র দুষ্কৃতী হামলা চালায়। এই অভিযানে প্রায় ২৭৯ জন মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। ছাত্রীদের মেডিকেল চেক-আপের জন্য পাঠানোর আগে তাদের সরকারি ভবনে রাখা হয়েছিল।

গতকাল, অপহৃত মেয়েদের মুক্তির সংবাদটি নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ বুহরি টুইট করে জানিয়েছেন এবং নিজের আনন্দ প্রকাশ করেছেন। বুহরি বলেছিলেন, তিনি নিজেই মেয়েদের পরিবারকে স্বাগত জানাতে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্যে সরকার ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ এবং মিলিটারি এই জঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাবে।

নাইজেরিয়ার গভর্নর, বেলো মাতোওয়ালেও মেয়েদের মুক্তির খবরে টুইট করে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনিও নিশ্চিত করেন যে সরকার অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

গত বছর ডিসেম্বরে, রাষ্ট্রপতি বুহারির নিজের এলাকা ক্যাটসিনা রাজ্যে অবস্থিত কাঁকড়ার একটি স্কুল থেকে ৩০০ জনেরও বেশি ছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছিল, যখন রাষ্ট্রপতি স্বয়ং এই অঞ্চল পরিদর্শনরত ছিলেন। ছাত্রদের পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও এই ঘটনাটি সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। পরে বোকো হারাম এই অপহরণের দায় স্বীকার করেছিল। আল শাবাব, আল কায়দার মত মৌলবাদী জঙ্গী সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত রয়েছে নাইজেরিয়ায়। এরা চায় দেশে কঠোরভাবে শারিয়া প্রতিষ্ঠা করতে।

নাইজেরিয়ার সরকার, অপহরণকারীদের কোনোরকম মুক্তিপণ দিতে আগেই অস্বীকার করেছিল। তারপরেও কিভাবে মেয়েদের মুক্তি দেওয়া হল, সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। স্থানীয় খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে নাইজেরিয়ায় অনুরূপ অপহরণের ঘটনা ঘটেছে স্কুলগুলিতে বারবার। নাইজেরিয়ার সরকারী কর্মকর্তারা ‘ব্যাণ্ডিটস’ (ডাকাত) নামে পরিচিত বন্দীদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন।

এর আগে, সরকারী আধিকারিকরা দস্যুদের অর্থ ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ‘শান্তি চুক্তি’ করেছে বলে ওপ ইণ্ডিয়া তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। তবে উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র অপরাধীদের মুক্তিপণ নেওয়া, অপহরণ, ধর্ষণ ও হামলার ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেড়েছে।