তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জের! ভোটের ময়দান থেকে পালালেন উদয়ন গুহ

বঙ্গদেশ ডেস্ক: রাজ্যের শাসকদল! যে দলের হয়ে ছোটবড় সমস্ত নেতা পেতে চান ভোটের টিকিট, এবার সেই দলের বিধায়কই জানিয়ে দিলেন সামনের ভোটে তিনি আর দাঁড়াবেনই না। গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে লড়বেন না বলে জানিয়েছেন।

তবে যে সে পরিবারের সন্তান নন উদয়ন গুহ৷ বাবা ছিলেন ফরোয়ার্ড ব্লকের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা কমল গুহ। পশ্চিমবঙ্গের কৃষিমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। পরিবর্তনের পরে দল বদলে তৃণমূলে এসেছিলেন উদয়ন৷ কমলবাবু যদিও ছেলেকে ‘লাল সেলাম’ ছেড়ে ‘মা মাটি মানুষের জয়’ বলে স্লোগান তুলতে দেখার আগেই ইহলোক ত্যাগ করেছিলেন৷ গুহ পরিবারের সেই দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে এবার হারের আশঙ্কায় ভুগে ভোটের টিকিটই চাইছেন না উদয়ন।

তিনি জানিয়েছেন যে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার কোনো ইচ্ছেই নেই তার। দল যেন নতুন কাউকে প্রার্থী হিসেবে খুঁজে নেয়৷ কিন্তু হঠাত এই সিদ্ধান্ত কেন? উঠছে হরেক রকমের তত্ত্ব।

গত সোমবার ভিডিও কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের নেতাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য কড়া ধমক দেন৷ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থেকে শুরু করে উদয়ন গুহ অবধি সকলেই দলনেত্রীর সেই ধমকে চুপ করে গিয়েছিলেন।

সূত্রের খবর অনুযায়ী কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ রাজ্যবিখ্যাত। সেখানে “আমরা সবাই রাজা” মতে সমস্ত নেতা চলেন। কেউ কারুর কথা শোনার প্রয়োজন বলে মনে করেন না৷ এরই মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘটে তোলাবাজি সহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। সোমবারের বৈঠকে এই নিয়েই অভিযোগ জানিয়েছিলেন উদয়ন। এরপরে ভোটে দাঁড়ালে তিনি খুন অবধি হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঘনিষ্ঠ মহলে। তাই অগত্যা “চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা”! আর লড়তেই চান না তিনি৷