আরএসএস র সদস্য হওয়ার ওপর কেন্দ্রীয় সরকারী নিষেধাজ্ঞা তোলা হোক

0
328

দক্ষিণ ভারতীয় সংবাদপত্র হিন্দু -তে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী – সরকারি কর্মচারীদের একটি সংগঠন দাবি জানিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের রাষ্ট্রীয় স্বয়মসেবক সংঘ-এর সদস্য হওয়ার উপর যে নিষেধাজ্ঞা যাচ্ছে তা তুলে নেওয়া হোক। গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ ন্যাশনাল কনফেডারেশন নামক এই সংগঠন -এর পক্ষ থেকে এক পদস্থ আধিকারিক শ্রী সাধু সিংহ দাবি জানিয়েছেন যে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে সরকারি কর্মীরা বাকিদের মতোই দেশ নির্মাণের কাজে যুক্ত হতে পারবে। শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আমলে এই নিষেধাজ্ঞা কায়েম করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে কিছু রাজ্য – যেমন গুজরাট-এর ক্ষেত্রে- এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এখন সংগঠনটির পক্ষ থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে এই নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণভাবে তুলে দেবার দাবি জানানো হয়েছে।

— স্কন্দগুপ্ত

তথ্য যাচাই-এর নাম করে কিছু সংগঠন রহস্যজনক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। সম্প্রতি, ফ্যাক্টচেকার.ইন নামক একটি ওয়েবসাইট গবাদি পশু সংক্রান্ত ঘৃনাভিত্তিক অপরাধের তথ্য বিশ্লেষণ করতে উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু অন্য একটি গণমাধ্যম- অপি.ইন্ডিয়া.কম এই পরিষেবাটি ব্যবহার করতে গিয়ে কিছু উদ্বেগজনক দিক খুঁজে পেয়েছে। অপি.ইন্ডিয়ার মতে এই ওয়েবসাইট বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় প্রকাশিত সংবাদগুলিকে আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছে না এবং প্রচ্ছন্নভাবে ইংরেজী গণমাধ্যমকে তুলে ধরছে। এটি সত্যের অপলাপের বড়োরকমের সম্ভাবনা থেকে যায়। উপরন্তু ফ্যাক্টচেকের.ইন পাঠকদের কাছ থেকে এই ধরণের ঘটনার বিবরণ চাইলেও তাদের ওয়েবসাইট-এ পাঠকদের বিবরণ নথিবদ্ধ করবার ব্যবস্থা নাকি অনুপস্থিত। আমাদের মনে প্রশ্ন জাগছে যে তবে এই ধরণের সত্যতা যাচাই প্রক্রিয়া কতটা যথাযথ এবং এর পিছনে কোনো অন্য অভিসন্ধি কাজ করছে কিনা।

– -স্কন্দগুপ্ত

ভারতবর্ষে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা ngo -দের উপস্থিতি বা কার্যকলাপ নতুন কিছু নয়। কিন্তু ২০০৪-সালের সুনামির পর থেকে এই ngo গুলির কাছে বিদেশি অর্থসাহায্য আসা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন কারণ দর্শিয়ে মানবিক সাহায্যের কথা বলে কোটি কোটি টাকা বিদেশ থেকে এই ngo দের হাতে পৌঁছেছে। এখন সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই সাহায্যকারীদের অনেকেই বিশেষ রাজনৈতিক অথবা ধর্মীয় মতাবলম্বী এবং এই সব বিদেশি শক্তি বিশেষ স্বার্থসিদ্ধি করতে এই ngo গুলিকে কাজে লাগাচ্ছে। দানধ্যানের নাম করে ভারতবর্ষে ঢোকা এই বিপুল পরিমান অর্থ অনেক ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় গোষ্ঠীর হাতে ঢোকে যেখান থেকে বিভিন্ন অজুহাতে তা অন্যান্য বহু ছোট সংগঠনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ধরনের “বিদেশাগত-সমাজসেবা” বিষয়ে বিশদে ভাবা এবং পদক্ষেপ নেবার সময় এসেছে বলে মনে হয়।

– -স্কন্দগুপ্ত

মহিলা প্রবেশাধিকার বিতর্কের পর, সিঙ্গাপুরের কোম্পানি চাইছে শবরীমালার প্রসাদ এর পেটেন্ট

যখন আস্থাবান্ ভক্তরা শবরীমালার ঐতিহ্য রক্ষায় ব্যাস্ত, ঠিক তখনই চুপিসারে সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত কৃষি শিল্প সংস্থা উইল্মার ইন্টারন্যাশনাল শবরীমালা মন্দিরের বাণিজ্যিক নিয়ন্ত্রণ হস্তগত করতে চাইছে “আরাবনা” এর পেটেন্ট নিয়ে।

ওপ্রসঙ্গত, উইল্মার ইন্টারন্যাশনাল তাদের একটি অধীনস্থ সংস্থার জন্য “আরাবনা” নামের ট্রেডমার্ক আবেদন জমা করেছে ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রি অফিস, কোলকাতাতে। “আরাবনা” হল একটি বিশেষ ধরনের পায়েস যা কেরলের বেশিরভাগ মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে প্রস্তুত করা হয়, যদিও শবরীমালা মন্দিরের আরাবনা প্রসাদ সর্বাধিক জনপ্রিয়।

বিপদের আঁচ পেয়ে ক্ষত্রিয় সীমা সভা একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রি অফিস, কোলকাতাতে, যেটি একটি ট্রাইব্যুনাল হিসেবেও কাজ করে থাকে। ত্রিবাঙ্কুরের দেবাসম বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক, আত্মজা বর্মা বলেছেন- “এটি একটি সাধারন ব্যাপার নয় যা, সহজ-ভাবে নেওয়া যাবে। একবার কোম্পানি ট্রেডমার্ক পেলে শবরীমালা মন্দিরে এই নাম ব্যাবহারের ওপরেও আপত্তি জানাতে পারে।”

যদিও মন্দির থেকে নাম নেবার চাইতে উইল্মার সম্ভবত আরাবনা প্রসাদ বিক্রির বাণিজ্যিক অংশ চায়, যা পুজার মরসুমে ১০০ কোটি টাকারও বেশি হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, উইল্মার ইন্টারন্যাশনাল এর আগে ২০০৭ সালেও একই আবেদন জানিয়েছিল, যদিও তখন প্রবল বিক্ষোভের চাপে আবেদন মঞ্জুর হয় নি। ত্রিবাঙ্কুরের দেবাসম বোর্ড জানিয়েছেন তাদের ৩৭ তম রাজ্য সম্মেলনে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

– শুভদীপ