আমেরিকাঃ ‘সাম্যবাদী’ চীনের উইঘুর দমনকে গণহত্যা বলে অভিহিত করল বাইডেন প্রশাসন

0
649

বঙ্গদেশ ডেস্ক – ৩০ শে মার্চ বাৎসরিক মানবাধিকার বিষয়ক একটি রিপোর্টে বাইডেন প্রশাসন, উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে ঘটে চলা কমিউনিস্ট চীন সরকারের আচরণকে ‘গণহত্যা’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। অতীতে বিবিসি সহ বেশ কয়েকটি মিডিয়ার প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কীভাবে জিনজিয়াং অঞ্চলে ‘রি-এডুকেশান’ এর নামে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মানুষকে গণহারে বন্দি করছে চীন এবং তাদের নাশবন্দিকরণের কাজ চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য সম্প্রতি আলাস্কার অ্যাঙ্করেজে এক বৈঠক চলাকালীন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তনি ব্লিংকেন এবং জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান, চীনা কূটনীতিক ইয়াং জিয়াচি এবং স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ইয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছিলেন। চীনা রাষ্ট্রদূতরা বাইডেন প্রশাসনের একাধিক বিষয়কে লঘু করে দেন এবং দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা কি প্রভাব ফেলতে পারে সেই বিষয়েও উদাসীন ছিলেন। মার্কিন কূটনীতিকদের সামনে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ -এর মতো বিষয়গুলি তুলে ধরে বেশ কয়েকবার উপহাস করা হয়েছিল। আমেরিকাকে তেলের জন্য মধ্য প্রাচ্যে যুদ্ধ চালানোর বিষয়ে দোষী করাও হয়েছিল বলে ওপ ইণ্ডিয়ার একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। বলাবাহুল্য আলোচনা ফলপ্রসূ তো হয়ইনি, বরং দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা বৃদ্ধি পায়।

৩০ শে মার্চ, ‘চীন (হংকং, ম্যাকাও এবং তিব্বতকে অন্তর্ভুক্ত করে)’ বিভাগে, সচিব আন্তনি জে ব্লিংকেন দ্বারা প্রকাশিত মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা চীনে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এতে লেখা হয়, “জিনজিয়াংয়ের প্রধানত মুসলিম উইঘুর এবং অন্যান্য জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এই বছর গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল”।

ব্লিংকেনের রিপোর্টে আরও লেখা হয়েছে, “এই অপরাধগুলি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত ছিল। ঘটে চলা অত্যাচারের মধ্যে রয়েছে – এক মিলিয়ানেরও বেশি অসামরিক ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার বিচার না করে কারাবাস বা অন্যান্য গুরুতর বঞ্চনা; জোর করে নাশবন্দিকরণ, বলপূর্বক গর্ভপাত করানো এবং চীনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতিগুলির আরও কঠোর প্রয়োগ। ধর্ষণ, নির্বিচারে আটক দের একটি বৃহৎ সংখ্যক অংশকে অত্যাচার করা, জোর করে দিনমজুর হিসেবে খাটানো এবং ধর্ম বা বিশ্বাস তথা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করা; এর সঙ্গে তাদের চলাফেরার স্বাধীনতার উপরেও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।” উইঘুর সমস্যাকে কেন্দ্র করে চীন এবং আমেরিকার সম্পর্কও খারাপ হচ্ছে।