বঙ্গদেশ ডেস্ক:- বিগত ৪ মাস ধরে চলা তথাকথিত কৃষক আন্দোলনের আরও একটি দিক উত্থাপিত হয়েছে। যোগেন্দ্র যাদবের বক্তব্যের ভিত্তিতে আরও একটি নতুন দিক উন্মোচন হয়েছে তথাকথিত কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে। স্বরাজ ভারত দলের সভাপতি যোগেন্দ্র যাদবের কথায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে যে, এই আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে।
২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধাচারণ করেছে বাম, কংগ্রেস থেকে শুরু করে সকল বিরোধী দলগুলো। তবে সম্প্রতি কৃষকদের সুবিধার্থে তিনটি কৃষি বিল পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু বিরোধীরা তার বিরোধিতা করতে শুরু করে।
দিল্লী সীমান্তে প্রায় ৪ মাস ধরে তথাকথিত কিছু কৃষক প্রতিবাদী আন্দোলনে রত রয়েছে। সরকার পক্ষের কোনও কথাই তারা শুনতে নারাজ। একাধিক বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান সূত্র বের হচ্ছে না। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারকে যেনতেন প্রকারে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিতেই হবে। কৃষকদের পক্ষেই এই আইন- সরকাররে এই জাতীয় কথা তারা কোনভাবেই শুনতে নারাজ।
এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কৃষক আন্দোলনের পেছনের আসল কারণ সকলের সামনে উত্থাপিত হয়েছে। প্রতিবাদী স্বরাজ ভারত দলের সভাপতি যোগেন্দ্র যাদব বলেছেন, কৃষকদের এই আন্দোলন আসলে বাস্তবে একটি রাজনৈতিক আন্দোলন। মোদী জিকে সরানোই এর পেছনের প্রধান ও একমাত্র কারণ।
তিনি আরও বলেছেন, ‘কৃষকদের এই আন্দোলন কখনোই সর্বজনীন হতে পারে না এবং হওয়া একদমই উচিতও নয়। এই আন্দোলন পুরোপুরি রাজনৈতিক আন্দোলন। এর একমাত্র উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করা’।