টুইটারে অক্সিজেনের অভাবে মৃত বলে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিকে গ্রেফতার যোগীর পুলিশের

0
741

বঙ্গদেশ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের আমেঠিতে এক ব্যক্তি অক্সিজেন নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এই মুহুর্তে রয়েছে পুলিশের হেফাজতে। শশাঙ্ক যাদব নামের টুইটার ইউজার নিজের দাদুর জন্য অক্সিজেনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু নিজের ওই টুইটে শশাঙ্ক এটা জানাননি যে, ওনার দাদু করোনার সংক্রমিত ছিলেন কিনা। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, শশাঙ্কের দাদু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। শশাঙ্ক সোমবার অভিনেতা সোনু সুদকে ট্যাগ করে সাহায্যের আবেদন করেন।

শশাঙ্কের এক বন্ধু অঙ্কিত সেই পোস্ট শেয়ার করে সাংবাদিক আরফা শেরবানীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। এরপর ওই পোস্টটি শেয়ার করে আরফা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে ট্যাগ করেন।

যদিও শশাঙ্ক, অঙ্কিত আর আরফা কেউই উল্লেখ করেননি যে শশাঙ্ক করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য অক্সিজেন সিলেন্ডার চাইছে। টুইটের পর স্মৃতি ইরানি জবাবে লেখেন ‘আমি শশাঙ্ককে বেশ কবার ফোন করেছি, কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।” স্মৃতি ইরানি আরও বলেন, আমি জেলা শাসক আর আমেঠি পুলিশকে পুরো বিষয়টিতে নজর দিতে বলেছি। পরে জানা যায় যে, শশাঙ্ক যাদবের দাদু প্রয়াত হয়েছেন। স্মৃতি ইরানি নিজে সমবেদনাও ব্যক্ত করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে আমেঠির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অরুণ কুমার সাংবাদিক আরফা শেরবানীর টুইটের জবাব দেন এবং পাশাপাশি সিএমও-এর রিপোর্ট শেয়ার করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয় যে, শশাঙ্কের দাদু করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ৮৮ বছরের ওই বৃদ্ধ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

আমেঠি পুলিশ জানান, ‘এই সময় এটি কেবল নিন্দনীয় ঘটনাই নয়, পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য ক্রাইম” এসপি দীনেশ কুমার বলেছেন, ওই ব্যক্তিকে অক্সিজেনের অভাব হওয়ার গুজব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রেফতারির ফলে তাঁদের কাছে একটি কড়া বার্তা দেওয়া হবে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মহামারীর দরুন তৈরি হ‌ওয়া সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে গুজব আর ভয় ছড়ানোর কাজ করছে।

এসপি আরও বলেন, দাদু অসুস্থ হলে শশাঙ্ক সোনু সুদকে ট্যাগ করে সাহায্য চান এবং বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডারের দরকার। কিন্তু উনি নিজে হাসপাতালে অক্সিজেন সিলেন্ডারের খোঁজ করেন নি, আর ওনার দাদু করোনা আক্রান্ত‌ও ছিলেন না।