উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীদের ফরেস্ট গার্ডের চাকরির জন্যে আবেদন, হাহাকার বেকারদের! এগিয়ে বাংলা?

0
963

বঙ্গদেশ ডেস্ক:-পশ্চিমবঙ্গের মালদায় একাধিক গবেষণা করা (রিসার্চ ফেলো) পন্ডিত ব্যক্তিত্ব, স্নাতকোত্তর এবং প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা বন সহায়ক পদে আবেদন করেছেন, যার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ৮-ম শ্রেণি পাস, একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা রবিবার জানিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার বন্যজীবন রক্ষায় এবং মানব ও বন্যপ্রাণী সংঘর্ষ রোধে চুক্তির ভিত্তিতে ২ হাজার বন সহায়ক কর্মীকে নিয়োগ করছে।

মালদা বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার সুবীর কুমার গুহ নিয়োগী বলেন, “অনেক উচ্চশিক্ষিত আবেদনকারী চাকরীর জন্য এসেছেন এবং আমাদের জানিয়েছেন যে তাদের কোনও দ্বিধা নেই কাজের বিষয়ে”।

তিনি আরো জানান নিয়োগ প্রক্রিয়াতে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে পিএইচডি ব্যক্তিত্ব এবং মাস্টার্স ডিগ্রিধারী ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

ইকোনমিক টাইমসের নেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিহাসের স্নাতকোত্তর শ্রী সুদীপ মৈত্র, যিনি এই পদে আবেদন করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন যে চুক্তিভিত্তিক হলেও সরকারী চাকরী পেতে তিনি পছন্দ করবেন এবং কোভীড – ১৯ অতিমারীর মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে অনেক কম যোগ্যতার প্রয়োজন হলেও তিনি এই কাজটি করবেন।

“চাকরির বাজারের পরিস্থিতি হতাশাজনক। কোভিড -১৯ অতিমারী দ্বারা সংকট আরও বেড়েছে, অনেক লোক চাকরি হারিয়েছে, বেসরকারি সংস্থাগুলি বন্ধ হয়েছেছে এবং বেসরকারী অনেক সংস্থাই নতুন নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। আমি যেকোন ধরণের সরকারী চাকরী করতে চাই, চুক্তিভিত্তিক হলেও করতে চাই” -তিনি বলেছিলেন।

অর্থনীতি বিভাগের এমএসসি রক্তিম চন্দ্র বলেছিলেন, “কয়েক হাজার টাকার বেতনে চাকুরী করাও ভাল বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, কিছুই না করার চেয়ে।”

পদটিতে আবেদনকৃত প্রার্থীদের বাংলা পড়ার জন্য ৩০ নম্বর এবং বাংলা বা রাজ্যের অন্যকোন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত ভাষা লেখার জন্য ৩০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও, ইংরাজী বা হিন্দি পড়ার দক্ষতা (১০ নম্বর), সাধারণ জ্ঞান (২০ নম্বর), এবং বনায়নের কাজের জন্য ব্যক্তির ফিটনেস (নম্বর) -এর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

কলকাতায় বন বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, “গবেষকদের যেমন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিরা এই চাকরীর জন্য যদি আবেদন করেন, তবে আমরা কী করতে পারি? আমরা তাদের আটকাতে তো পারি না?” এভাবে যেখানে চাকরির অভাবে রিসার্চ ফেলোরা বনদপ্তরে গার্ডের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন, সেখানে পুজোয় ক্লাবে ৫০,০০০/- দেওয়া, কিম্বা মেলার আয়োজন করা, ইমামভাতা দেওয়া কতোটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।