ভারত বিভাজনকারী শক্তি মুমুর্ষূ আন্দোলনকে জিইয়ে রাখতে মরিয়া, “কৃষকদের” পক্ষে দাঁড়ালেন পাশ্চাত্য সেলেবরা

0
596

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- রাজধানীতে গত ২৬ শে জানুয়ারি তথাকথিত ভণ্ড কৃষকদের ট্র্যাক্টর মার্চ সমাবেশে হিংসাত্মক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বত্রিশ বছর বয়সী আমেরিকান পপ তারকা রেহানা ২ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার বেশ কয়েকটি জেলায় ইন্টারনেট শাটডাউন প্রসঙ্গে একটি টুইট পোস্ট করেছেন।তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, “আমরা কেন এ বিষয়ে কথা বলছি না !?”


চলচ্চিত্র নির্মাতা হানসাল মেহতা, ও দিলজিৎ দোসন্ধের মতো ভারতীয়রা রেহানার টুইটটের প্রশংসা করেছেন। এর আগে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনসও কৃষকদের বিক্ষোভকে সমর্থন করেছিলেন।

কানাডিয়ান ইউটিউবার এবং অভিনেত্রী লিলি সিংহ রেহানাকে সমর্থনে টুইট করেছেন, “হ্যাঁ! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ রেহানা। এটি একটি মানবতার ইস্যু! # IstandwithFarmers”।

সুইডেনের পরিবেশপ্রেমী গ্রেটা থানবার্গ রেহানার মতো একই একটি টুইট করেছেন।


অন্যদিকে আবার, অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত রেহানার টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে কটাক্ষ করে একটি টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন যে “যারা [কৃষকদের বিক্ষোভ] এ বিষয়ে কথা বলছে না কারণ তারা কেউই কৃষক নয়।”

রেহানা ও থানবার্গ ছাড়াও নীল ছবির নায়িকা মিয়া খালিফাও কৃষকদের সমর্থনে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

খালিফা অন্য একটি টুইটে প্রতিবাদকারীদের ‘বেতনভিত্তিক অভিনেতা’ আখ্যা দেওয়ার বিষয়ে একটি মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন, “আমি কৃষকদের পাশে আছি”।


পশ্চিমা সেলেবরা কৃষকদের সমর্থনে থাকার অছিলায় বিষয়টিকে বেশ ‘উদযাপন’ ​​করতে শুরু করেছেন।

ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর এই বিষয়টিকে অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি। কারণ তাদের এই স্বভাব নতুন নয়। অথচ তাদের দেশের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর সময়ে তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন। অনেকেই দাবি করেছে যে, যেসব ব্যক্তিরা টুইট করছেন তাদের কৃষিকাজ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান নেই। তাই দ্বারা আমাদের দেশের বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকাই‌ শ্রেয়।