হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেবলীনার, নিষ্ক্রিয় পুলিশ, কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা তরুণজ্যোতির

0
651

বঙ্গদেশ ডেস্ক: দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে গরুর মাংস রান্না করতে চেয়ে শিরোনামে এসেছিলেন টলিউড অভিনেত্রী দেবলিনা দত্ত। একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ডিবেট শো তে দেবলিনার এই ইচ্ছা প্রকাশের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে রাজ্যের সর্বত্র। রাজ্যের সাধারণ হিন্দুরা এই বক্তব্যের জন্য দেবলিনাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবী জানালেও ক্ষমা চাননি দেবলিনা। উল্টো শুয়োরের মাংসের রেশ টেনে তার অষ্টমীতে গরুর মাংস রান্না করার ইচ্ছা প্রকাশকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে। এর ফলে দেবলিনাকে ক্ষমা করার পরিবর্তে রীতিমতো ফুঁসে উঠেছে সাধারণ জনতা। 

তারই ধারাবাহিকতায় বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি দেবলিনার বিরুদ্ধে একটি FIR দায়ের করে৷ কিন্তু পুলিশ সেই FIR অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি তিনি এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, ” পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন হিন্দু বিরোধী। এই জন্য হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয় না। তার সুযোগ নেয় কিছু স্বঘোষীত বুদ্ধিজীবী। দুর্গা অষ্টমীর দিন beef খাওয়াকে প্রমোট করা হয়ে যায় বাক স্বাধীনতা। 

একটা কথা পরিস্কার বলে দিতে চাই, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মাননীয়ার কথায় চলতে পারে কিন্তু কোর্ট চলে আইনের শাসন অনুযায়ী।আইনি পথে ব্যবস্থা হবেই। ধর্মকে রক্ষা করলে ধর্ম আমাকে রক্ষা করবে। এইসব বুদ্ধিজীবীদের আমার ধর্মের ওপর বারবার আঘাত মেনে নেওয়া যায় না। আমি আইনে বিশ্বাসী। 

#hinduism 

#unapologetic 

#unapologeticallyme

#AarNoiMamata ”
https://archive.vn/j7nDB
এর আগেও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি দেবলিনার এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ এই বিষয়ে বলেছিলেন যে, “কোন বাঙ্গালীর বাড়িতে কোনদিন গোমাংস রান্না হয়েছে? আমি তো জানি না। অষ্টমীর দিনে তো বাঙ্গালী বাড়িতে কোন আমিষই রান্না হয় না, মাংস তো দূরে থাক। জেনে বুঝে সচেতন হয়ে কথা বলা প্রয়োজন। স্বাধীনতা ও আধুনিকতার মধ্যে অনেক তফাত রয়েছে এবং কোন বক্তব্য দেওয়ার আগে সেটা মাথায় রাখা দরকার। নিজেকে আধুনিক প্রমাণের চেষ্টায় অন্য কেউ যাতে দুঃখ না পায়।”

কিন্তু তারপরেও অভিনেত্রী দেবলিনার ঐদ্ধত্য ও পক্ষপাতীত্বমূলক ভেকধারী তথাকথিত সেক্যুলারিজমের নিদর্শন কমেনি। তিনি এরপরেও তার গরুর মাংস রান্না করার বক্তব্যকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে দেবলিনার মতো তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও এলিট মহল নিজেদের সেক্যুলারিজম জাহির করার জন্য হিন্দু ধর্মকে অপমান ও আঘাত করাই বেছে নেন। আদতে যে এসব ভেকধারী সেক্যুলারিজম ও জনপ্রিয়তা বাড়ানোর অভিনয় ছাড়া যে কিছুই নয় তা সাম্প্রতিক সময়েই প্রমাণিত। কেননা, সেক্যুলারিজম কখনওই একতরফা হতে পারে না এবং কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া কোনভাবেই সেক্যুলারিজমের অংশ হতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দেবলিনারা নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়েছে। কারণ বর্তমানে, পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের মানুষ এসকল ভেকধারী সেক্যুলারিজম আর পছন্দ করছে না এবং এগুলো যে একটি মুষ্টিমেয় শ্রেণীর জনপ্রিয়তা বাড়ানোর মাধ্যম ছাড়া কিছুই নয়, সেই সম্পর্কেও তারা অবগত।