১৩-১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, যখন জেহাদী জনতা দেখিয়ে দিলো আসলে রাজ্যটা কারা চালায়? (২)

0
1672

মোহিত রায়

সহায়তাঃ সুজিত শিকদার

(প্রথম পর্বের পর)

১৪ ডিসেম্বর, শনিবার

১৩ তারিখের এই ধ্বংসাত্মক ঘটনার পর ভাবা গিয়েছিল পরদিন সব শান্ত হবে। কিন্তু ঘটল উল্টোটাই। ইসলামী জনতা বুঝে গিয়েছিল পুলিশ প্রশাসন কিছু করবে না কারণ রাজ্যের সরকার তাদের সঙ্গেই আছে। রাজ্যের স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবিরাও শান্তির আহ্বান ছাড়া আর কিছু বলেন নি, হিংসাকারীদের বিরুদ্ধে কোন কঠিন বাক্য তাঁরা ব্যয় করেন নি। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন মুসলমান প্রধান অঞ্চলগুলিতে জেহাদী জনতা পথে নামল আরো উদ্যমের সঙ্গে জাতীয় সম্পত্তি ধবংস করতে এবং পশ্চিমবঙ্গ যে আদতে ইসলামী শক্তিই চালায় তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে। আনন্দবাজার (১৫ ডিসেম্বর) লিখছে – “নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শনিবারও অশান্ত থাকল রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা এবং রেল লাইন অবরোধ করে একাধিক ট্রেনে একের পর এক আগুন ধরানো হয়, বিভিন্ন স্টেশনে চলে ভাঙচুর আগুন ধরানো হয় টোল প্লাজায় এবং অনেক বাসেও মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়ে ট্রেনে পাথর ছোড়া হয় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাসনাবাদ, লালগোলাকৃষ্ণনগর শাখার ট্রেন চলেনি সব মিলিয়ে ভোগান্তি হয় সেই সাধারণ মানুষের (আনন্দবাজার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯)

পাঁড় সেকুলার আনন্দবাজার চেপে গেলেও অন্যান্য সংবাদপত্র সত্যি খবর কিছু দিল। রেল স্টেশনের পর এবার মুক্ত জেহাদী জনতা শনিবার সকাল থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ল কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে। লক্ষ একটাই নাগরিকত্ব আইন বিরোধিতার নামে পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষ ও রাজনৈতিক দলকে দেখিয়ে দেওয়া পশ্চিমবঙ্গে জেহাদী শক্তির ক্ষমতা ও মূলতঃ জাতীয় সম্পত্তি ধ্বংস করা। বর্তমান (১৫ ডিসেম্বর) সেদিনের ঘটনা নিয়ে লিখছে – “নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়াঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে শনিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোনা এক্সপ্রেসওয়ে গড়ফার কাছে সকাল থেকে অবরোধের পর আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল অন্তত ১৯টি গাড়িতে এর মধ্যে টি গাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় ভাঙচুর চালানো হয় ৩০৪০টি বাসে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিস ব্যাপক লাঠিচার্জ করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় কিন্তু, তা সত্ত্বেও উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সারাদিন বেগ পেতে হয় পুলিসকে এদিন কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে গড়ফার কাছে এই অবরোধ করে লোকজন পুলিস অবরোধ তুলতে গেলে ওপর দিয়ে যাওয়া আমতা লাইনের কাছ থেকে পুলিস সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে অবরোধকারীরা তার ফলে পুলিসকে অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে সথেষ্ট বেগ পেতে হয় এই ঘটনায় হাওড়া সিটি পুলিসের ডিসি (সাউথ জোন) স্বাতী ভাংগালিয়া সহ বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী জখম হয়েছেন পরে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে আর এর জেরে এদিন সকাল থেকে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে থাকল কোনা রোড নাকাল হলেন হাজার হাজার মানুষ গাড়ির লাইন একদিকে যেমন দ্বিতীয় হুগলি সেতু পর্যন্ত চলে গিয়েছিল, তেমনই অন্যদিকে তা অঙ্কুরহাটি মোড় পর্যন্ত চলে যায় (বর্তমান ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯)

শনিবার জেহাদী আক্রমণ নিয়ে এই সময় (১৫ ডিসেম্বর) লিখছে – “পুড়ে খাক বাস কিছুক্ষণের মধ্যে রাস্তার মাঝখানে টায়ারে আগুন ধরানো হয় গোল করে ঘিরে খড়, কাঠের টুকরো, গাছের গুঁড়ি ফেলে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল আগুনের তীব্রতা জাতীয় সড়ক দিয়ে কলকাতার দিকের সব বাসগাড়ি রেলব্রিজের আগে আটকে যায় আর কলকাতা থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী গাড়ি থেমে যায় সাঁতরাগাছি স্টেশনের কাছে সে সময় পুলিশ ছিল সংখ্যায় কম পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন থানা থেকে প্রচুর কর্মী নিয়ে আসে সিটি পুলিশ এতে আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের পক্ষ থেকে অবরোধ তুলতে সময় দেওয়া হয়েছিল দশ মিনিট কোনও কাজ না হওয়ায় লাঠি উচিয়ে জনতাকে তাড়া করেন পুলিশকর্মীরা পৌনে ১১টা নাগাদ জনবিক্ষোভ কার্যত চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে শুরু হয় দফায় দফায় জনতাপুলিশ খন্ডযুদ্ধ তখন পুলিশের তাড়া খেয়েও পালটা তাড়া করছে মারমুখী লোকজন পুলিশের দিকে উড়ে আসছে ইটপাথর গড়ফা রেলব্রিজের সামনে লাইন থেকে পাথর ছুড়তে থাকে অনেকে তখনই পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ

জাতীয় সড়ক থেকে কলকাতার দিকে ঢোকার সময় সেতুর মুখে আটকে ছিল সার দেওয়া বাস অশান্তি দেখে বাস থেকে নেমে ফের জাতীয় সড়কের দিকে হাটতে শুরু করেন বেশির ভাগ যাত্রী তবে কারও কারও দাবি, মারমুখী জনতা জোর করে বাস থেকে নামতে বাধ্য করে তাঁদের বেশ কিছু জিনিসপত্র ছিনিয়েও নেয় খালি বাসে আগেই কয়েক দফা ভাঙচুর চলেছিল পুলিশের তাড়ায় পর পর অন্তত ১৫টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা পুড়ে খাক হয়ে যায় ৭টি বাস তার মধ্যে রয়েছে দুটি সরিকারি আর পাঁচটি বেসরকারি দূরপাল্লার রুটের বাস তবে কাঁদানে গ্যাসের চোটে পিছু হটে জনতা ঘটনাস্থলে এসেও দমকলকর্মীরা প্রথম দিকে ইটের ভয়ে জ্বলন্ত বাসের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি ইটের ঘায়ে আহত হন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী

রাস্তায় দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় খন্ডযুদ্ধের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন আলম খান তিনি বলেন, ‘দাউ দাউ করে জ্বলছিল সার দেওয়া বাস ধোঁয়াআগুনে ভরে গিয়েছিল গোটা চত্বর পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেযদিও হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ সাথী ভাঙ্গালিয়ার দাবি, ‘পুলিশ লাঠিচার্জ করেনি বিক্ষোভকারীদের তাড়া করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছেঅবরোধের ছবি তুলতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন কয়েক জন সাংবাদিক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের এক কর্মীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলা হয় মাটিতে (এই সময়, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯)

এতো গেল কোনার রাজপথের কথা। একই সময়ে হাওড়ার সাঁকারাইল রেল স্টেশনেও চলছে মুসলমান জনতার তাণ্ডব। এইসময় (১৫ ডিসেম্বর) লিখছে – “বিক্ষোভঅবরোধে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে যখন উত্তাল, তখন সাঁকরাইলের চাঁপাতলাতেও জ্বলছিল টায়ার ১১টা ১০ নাগাদ শুরু হয় সাঁকরাইল স্টেশনে উন্মত্ত জনতার তান্ডব ১৩ নম্বর লেভেল ক্রসিংয়ে রাবারের স্তর উপড়ে দেওয়া হয়গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় লেভেল ক্রসিংয়ের বুম ব্যারিয়ার তছনছ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় টিকিট কাউন্টারে কেবিনে ঢুকে ভেঙে দেওয়া হয় কন্ট্রোল প্যানেলও ফলে পুরোপুরি ভেঙে পড়ে সিগন্যাল ব্যবস্থা কংক্রিটের চেয়ার পড়েছিল লাইনে প্ল্যাটফর্মের চায়ের স্টলও রোষ থেকে রেহাই পায়নি চেঙ্গাইলে স্টেশনে টিকিট কাউন্টার, ট্রেনের কামরা, প্ল্যাটফর্মের দোকানেও চলে ভাঙচুর লেভেল ক্রসিংয়ে আগুন জ্বালানোয় তৈরি হয় ক্ষত বাউড়িয়া স্টেশনে রেললাইনের উপর টায়ার জ্বালায় বিক্ষোভকারীরা নলপুর, বাঁকড়াবাজার স্টেশনেও আটকে দেওয়া হয় ট্রেন দক্ষিণপূর্ব শাখায় স্তব্ধ হয়ে যায় রেল চলাচল (এই সময়, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯)

সাঁকরাইল স্টেশনে জেহাদী তাণ্ডব নিয়ে বর্তমান পত্রিকার খবরের শিরোনাম ও বর্ণনা – সাঁকরাইল স্টেশনে ভাঙচুর, ধরানো হল আগুন, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল প্যানেল, ব্যাহত পরিষেবা পাপ্পা গুহ উলুবেড়িয়া স্টেশন মাস্টারের ঘর ভাঙচুর টিকিট কাউন্টার দাউদাউ করে জ্বলছে জ্বলছে পূর্ব কেবিন ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্যানেল রুম কার্যত এক লহমায় বদলে গিয়েছে দক্ষিণপূর্ব রেলের সাঁকরাইল স্টেশন শুক্রবার বিকেলের পরেও শনিবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল দক্ষিণপূর্ব রেলের পরিষেবা এদিন বাউড়িয়া, নলপুর সাঁকরাইল স্টেশন সংলগ্ন একাকায় রেল অবরোধ হয় উলুবেড়িয়ার কালীগনগর, গরুহাটা মোড়, কলেজ মোড়, শ্যামপুর, বাগনাননের একাধিক জায়গায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা কার্যত বন্ধের চেহারা নেয় তবে বিক্ষোভ সবচেয়ে বেশী হিংসাত্মক হয়ে ওঠে সাঁকরাইলে স্টেশন ভাঙচুর করার পাশাপাশি স্টেশন মাস্টারের ঘরও ভেঙে ভেওয়া হয় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় টিকিট কাউন্টার কেবিনে লেবেল ক্রশিং ভাঙচুর করে প্যানেল ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের রোষের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে একের পর এক সরকারি সম্পত্তি বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকাতে রেললাইনের পাশাপাশি চাঁপাতলায় রাস্তার উপরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিক্ষোভকারীরা এমনকী আশেপাশের বাড়িতেও ইট ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেল গোটা স্টেশনটাই নিজের পরিচয় হারিয়ে ফেলেছে চারিদিকে পোড়া জিনিসপত্র, স্টেশন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আছে ভাঙা চেয়ার আসবাবপত্র দূরে দাঁড়িয়ে রেলপুলিশ রাজ্য পুলিশ স্টেশনের কাছে গিয়ে দেখা গেল টিকিট কাউন্টার থেকে স্টেশন মাস্টারের ঘর কোনকিছুরই অস্তিত্ব নেই নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেল কর্মী জানান, যেভাবে উত্তেজিত জনতা স্টেশনে হামলা চালিয়েছে, তাতে আমরা যে প্রাণে বাঁচতে পেরেছি সেটাই অনেক অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা অর্পণা কাঁড়ার জানান, বিক্ষোভকারীরা যেভাবে তাদের বাড়ি লক্ষ করে ইট ছুঁড়েছে তাতে তারা যথেষ্ট অতঙ্কিত শনিবার সকাল থেকে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কলকাতার রাজাবাজারের বাসিন্দা সন্ধ্যা ঘোষ জানান, শনিবার সকালে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল এদিন স্টেশনে এসে জানতে পারি ট্রেন চলাচল বন্ধ এদিন সকালে পাশকুড়াহাওড়া লোকালে করে হাওড়ার ফুল বিক্রি করতে আসা ফুল ব্যবসায়ীরা উলুবেড়িয়া স্টেশনে আটকে পড়ায় বাধ্য হয়ে সমস্ত ফুল ট্রেনলাইনে ফেলে দেয় ফুল ব্যবসায়ী গৌতম হাজরা জানান, যেভাবে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছে তাতে সঠিক সময় বাজারে ফুল না নিয়ে গেলে বিক্রি হবে না তাই সমস্ত ফুল ফেলে দিলাম অন্যদিকে শিক্ষক উমাশঙ্কর গুচ্ছাইত জানান, সকালে স্টেশনে আসলেও ট্রেন বন্ধ থাকায় স্কুলে যেতে পারলাম না এদিকে শনিবার সাঁকরাইল স্টেশনে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের পর পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পড়ে রেল পরিষেবা সাঁকরাইল স্টেশন মাস্টার নির্মাল্য চট্টোপাধ্যায় জানান, যেভাবে প্যানেলে ভাঙচুর করা হয়েছে তাতে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ খুবই কঠিন আমরা চেষ্টা করছি সেটাকে সারিয়ে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার অন্যদিকে সাঁকরাইল স্টেশনে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা সর্ম্পকে দক্ষিণপূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানান, প্রতিক্রিয়া দেওয়ার মত কোনও ভাষা নেই (বর্তমান, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯)

এবার আসা যাক মুর্শিদাবাদে। ১৪ ডিসেম্বরে মুর্শিদাবাদ একেবারে ইসলামী মুক্তাঞ্চল। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে কি হবে তার ছবি। রেল যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের ফলে আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠল রেলের সম্পত্তি। ১৪ই ডিসেম্বরের সারাদিনের এই ইসলামী হিংসার বর্ণনা দিয়েছে সংবাদ প্রতিদিন ( ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯) লিখেছে – “পরপর পাঁচ ট্রেনে আগুন প্রথম কামরা থেকে শেষ কামরা স্টেশনে দাঁড়ানো আস্ত দুটো ট্রেন দাউদাউ জ্বলছে চারপাশে রেলসম্পত্তির ধ্বংসস্তূপ, ত্রস্ত যাত্রীদের আর্তনাদে বাতাস ভারী তারই মাঝে ভেসে আসছে উন্মত্ত হামলাকারীদের হুঙ্কার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)- প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায় যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে শনিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর স্টেশনের ছবি তারই একটা প্রতীক হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা, রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শুক্রবারের মতো এদিনও বেনজির প্রতিবাদ বিক্ষোভের আঁচে পুড়ে খাক অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিবাদ আন্দোলন পর্যবসিত সাদাসাপটা গুণ্ডামিতে জ্বলন্ত টায়ার ফেলে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি, বাস জ্বালানো হয়েছে, মাঝপথে যাত্রীদের জবরদস্তি নামিয়ে দিয়ে, রেললাইন আটকে ট্রেন থামিয়ে তুঙ্গে তোলা হয়েছে আমজনতার দুর্ভোগ

সিএএ বিরুদ্ধে ক্ষোভের আঁচ শুক্রবারই লেগে গিয়েছে বাংলায় হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তান্ডবের পর দিন ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে নতুন উদ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের লেলিহান শিখা মুর্শিদাবাদের ছবিটাই মারাত্মক বিকেল চারটে নাগাদ লালগোলা স্টেশনে প্রথমে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা এরপর দেড় কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গোটা ট্রেনটি আগুনের গ্রাসে চলে যায় তবে শিয়ালদহলালগোলা শাখার ওই ট্রেনটি ফাঁকাই ছিল ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বেলডাঙা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভাতে গেলে সেটিকেও পুড়িয়ে দেওয়া হয় মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর, বেলডাঙা, লালগোলা, ডোমকল, সুতি, সামশেরগঞ্জ, সাগরদিঘি, রঘুনাথগঞ্জ, জঙ্গিপুর, ফারাক্কায় দিনভর দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে ট্রেন অবরোধ, জাতীয় রাজ্য সড়ক অবরোধ, সরকারি সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, ভাঙচুরসব ঘটনাই ঘটেছে লালগোলা বাজারে পুড়িয়ে দেওয়া পিডব্লুডি অফিস, বাসস্ট্যান্ড, পোস্ট আফিস ৩৪ নিম্বর জাতীয় সড়কে শনিবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষোভ অবরুদ্ধ হয়েছে জনজীবন লালগোলা, কৃষ্ণপুর, বেলডাঙা, পোড়াডাঙা, নিমতিতা, ধুলিয়ানা, বাসুদেবপুরসহ মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক স্টেশন ভস্মীভূত পোড়াডাঙা স্টেশনে শাবল দিয়ে রেললাইন উপড়েও দিয়েছে আন্দোলনকারীরা সামশেরগঞ্জ থানা ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে এককথায় ঘটনাবহুল মুর্শিদাবাদ ইসলামপুরে রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বাড়িতে ইটবৃষ্টি হয় গাড়ি, মোটরবাইক জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে সীমান্তঘেঁষা মুর্শিদাবাদ যেমন উত্তপ্ত হয়েছে, তেমনই কলকাতা লাগোয়া হাওড়া তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে ঘটনাবহুল এই জেলা বাউড়িয়া, সাঁকরাইল, উলুবেড়িয়া স্টেশনে বিক্ষোভ, ভাঙচুর হয় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সাঁকরাইলের টিকিট কাউন্টারে ভাঙচুর চলে ইস্ট কেবিন, স্টেশন ম্যানেজারের ঘর, প্যানেল রুমে এই স্টেশনে লাইনের উপর টায়ার জ্বালিয়ে সিএএ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ট্রেন চলাচল যার প্রভাব গিয়ে পড়ে মুম্বাই রোডে কিন্তু মুম্বাই রোডের একাধিক জায়গায় অবরোধের জেরে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে উলুবেড়িয়া, বাগনান, শ্যামপুরসহ হাওড়ার জেলার একাধিক এলাকায় দিনভর বিক্ষোভ চলেছে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় বিক্ষোভকারীদের হটাতে গেলে জনতাপুলিশে খন্ডযুদ্ধ বেধে যায় পুলিশকে লক্ষ্য ইট ছোড়া হয় আহত হন হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিক কর্মীরা পুলিশ লাঠি চার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে সাতটি সরকারি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয় পুলিশকে অভিযোগ, রবার বুলেটও ছোড়া হয় রেল অবরোধের হাওড়া শাখায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার শিয়ালদহহাসনাবাদ শাখায় এদিন দিনভর অশান্তির ছবি সামনে এসেছে অবরোধ, বিক্ষোভের জেরে সারাদিনই ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের আমডাঙাতেও দফায় দফায় বিক্ষোভ হয় সন্ধ্যায় দত্তপুকুরের সন্তোষপুরে একটি দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময় কড়াইয়ের গরম তেল আন্দোলনকারীদের গায়ে ছিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন যার পরই বিক্ষোভকারীরা মারমুখী হয়ে ভাঙচুর চালায় সংলগ্ন এলাকার দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অশান্তির জেরে সীমান্তের বাণিজ্যেও প্রভাব পড়েছে এছাড়াও মালদহ জেলার হরিশচন্দ্র স্টেশনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে আহত হয়েছেন যাত্রী থেকে পুলিশ কর্মী বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়াতে বিক্ষোভের একই চিত্র (সংবাদ প্রতিদিন ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯)

একবার ভালো করে আবার পড়ুন – “আস্ত দুটো ট্রেন দাউদাউ জ্বলছে চারপাশে রেলসম্পত্তির ধ্বংসস্তূপ, ত্রস্ত যাত্রীদের আর্তনাদে বাতাস ভারী তারই মাঝে ভেসে আসছে উন্মত্ত হামলাকারীদের হুঙ্কার

ভাবুন, আপনি কোথায় বাস করেন যেখানে ইসলামী জনতা বিনা বাধায় এই বীভৎস ছবি তৈরী করতে পারে। একই ভারত না পাকিস্তান? আরো একবার পড়ুন – “বেলডাঙা স্টেশনে দাঁডিয়ে থাকা ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভাতে গেলে সেটিকেও পুড়িয়ে দেওয়া হয় একের পর এক জ্বলছে রেল স্টেশন – “লালগোলা, কৃষ্ণপুর, বেলডাঙা, পোড়াডাঙা, নিমতিতা, ধুলিয়ান, বাসুদেবপুরসহ মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক স্টেশন ভস্মীভূত। পোড়াডাঙা স্টেশনে শাবল দিয়ে রেললাইন উপড়েও দিয়েছে আন্দোলনকারীরা”।

এতো কোন যুদ্ধক্ষেত্রের বর্ণনা । কারা এই যুদ্ধ করতে নেমেছে, কাদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ? খুব স্পষ্ট করে আজ তা বোঝবার সময় এসেছে। ইসলামী জনতা কেন এই যুদ্ধে নেমেছে আর কেনই বা রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন নীরব হয়ে রয়েছে।

In unprecedented violence, anti-CAB agitators set fire to several trains which were parked at the loco-shed at Krishnapur railway station, the penultimate station located close to Lalgola, the terminal station in Sealdah-Lalgola sections. At Beldanga railway station, protesters who set the station ablaze yesterday, were allowed to carry on with their dance of destruction today”. (The Statesman, 15 December 2019).

ভালো করে পড়ুন – মুর্শিদাবাদের ইসলামী জনতা কৃষ্ণপুর রেলওয়ে স্টেশনের সাইডিং য়ে লোকো শেডে রাখা তিনটি ট্রেনকে এসে জ্বালিয়ে দেয়। এটা কি কোন রাজনৈতিক বিক্ষোভে সম্ভব? আগেরদিন বেলডাঙ্গা স্টেশন জ্বালানো হয়েছিল, পরদিন আবার সেই দাঙ্গাকারীরা বিনা বাধায় ইচ্ছেমতন সেখানে রেলের সম্পত্তি ধ্বংসে মেতেছে। দি স্টেটসম্যান (১৫ ডিসেম্বর ২০১৯) আরো লিখছে –The fire engine that arrived at Beldanga from Behrampore was set on fire while the fire fighters saved themselves by taking shelter at Beldanga police station, said fire officials here. Three vehicles were lying charred inside the Beldanga-I BDO office ground, that was vandalized yesterday”. যাঁরা বেলডাঙ্গায় আগুন নেভাতে এসেছিল সেই দমকল কর্মীরা কোনমতে প্রাণ হাতে করে পালিয়ে আশ্রয় নেন পুলিশ স্টেশনে। আগুন নেভানোর গাড়ী পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি রেল পুলিশের বাসস্থানও পুড়িয়ে দিয়েছে ইসলামী দাঙ্গাকারীরা । “ “The iron cots of the GRP personnel at Beldanga were charred as the attackers went upstairs and set fire to the first floor of the building yesterday. “God saved my life. I managed to escape”, said Mr. Priyanath Haldar, a GRP personnel. He said he hid inside a political party office”. (The Statesman, 15 December 2019).

বেলডাঙ্গা স্টেশনের রেল পুলিশের বাসস্থান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রেল পুলিশের প্রিয়নাথ হালদার বলছেন – ‘ভগবান সেদিন আমায় রক্ষা করেছে। আমি পালিয়ে বেঁচেছি’। কিন্তু আর কতদিন এভাবে পালিয়ে বাঁচবে পশ্চিমবাংলার হিন্দু?

১৪ই ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে এই জেহাদী হিংসার একটি তালিকা পেশ করেছে দি টেলিগ্রাফ পত্রিকা। সেখান থেকে পূর্বে আলোচিত স্থানগুলি বাদ দিয়ে অন্য স্থানগুলির অবস্থা জেনে নেওয়া যাক।

নিমতিতা, মুর্শিদাবাদ জেলা – জেহাদী জনতা নিমতিতা স্টেশনটি সকালবেলায় আক্রমণ করে। স্টেশন মাস্টারের অফিস ও টিকিট কাউন্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এরপর জনতা রেল লাইনে বসে থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেয়।

সরগাছি, মুর্শিদাবাদ জেলা –সরগাছি স্টেশনে ব্যাপক ধবংসাতবক আক্রমণ চালানো হয়। স্টেশন মাস্টারের অফিস ও টিকিট কাউন্টার জ্বালিয়ে একেবারে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়।

সুতি, মুর্শিদাবাদ জেলা – তিনটি সরকারি বাসে আগুন লাগানো হয়। তারপর জাতীয় সড়ক ১২ অবরোধ করা হয়।

সামশেরগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ জেলা জেহাদী জনতা সামশেরগঞ্জ পুলিশ থানা আক্রমণ করে ও থানার ভিতরে পাথর ছুঁড়তে থাকে।

মুরারই, বীরভূম জেলা – প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ মুরারই স্টেশনের কাছে রেল লাইনে বসে থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হয়।

সোদালিয়ালেবুতলা, উঃ ২৪ পরগণা – বারাসত – হাসনাবাদ লাইনে সোদালিয়ালেবুতলা স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয়, ট্রেনে পাথর ছোঁড়া হয় ও স্টেশন অফিসে ভাঙচুর করা হয়। জাতীয় সড়ক ১২ বন্ধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বাংলাদেশে আমদানী রফতানীর প্রায় ৫০০ ট্রাক আটকে রাখা হয়। এইসব ট্রাকে অনেক পচনশীল জিনিস থাকে যা বেশী দেরী হলে নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে।

হরিশচন্দ্রপুর, মালদহ জেলা – কয়েকশ জেহাদী যুবকের সঙ্গে কিশোররাও হরিশচন্দ্রপুর রেল স্টেশন আক্রমণ করে প্ল্যাটফর্মের চেয়ার, টিকিট বুকিং কাউন্টার, সব কম্পিউটার ইত্যাদি ধ্বংস করে। রেলকরমীদের দিকে পাথর ছোঁড়া হয়। এই দাঙ্গাকারীরা মালদা – কাটিহার প্যাসেঞ্জার ট্রেন অবরোধ করে ও যাত্রীদের ভীতি প্রদর্শন করে।

কালিয়াচক, মালদহ জেলা – ইসলামী সন্ত্রাসবাদের জন্য কালিয়াচক পরিচিত নাম। কলেজ ছাত্ররা ও স্থানীয় জনতা পথ অবরোধ করে। (দি টেলিগ্রাফ, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯)

শনিবার জুড়ে এই ঘটনার সারাংশ দিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া (১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯) – “Buses, trains, stations torched as stir over new law turns into vandalism – Violent agitations over the Citizenship Amendment Act rocked parts of Bengal on Saturday with four districts – Murshidabad, Howrah, Maldah and North 24 Parganas – emerging as flashpoints where protesters torched at least 17 buses, five empty trains, fire engines and police vehicles, vandalized half a dozen rail stations, hurled stoneds at passing vehicles and fought a pitched battle with police. In Murshidabad’s Jangipur, there were reports of protesters using children as human shields.”

একেবারে যুদ্ধ চলছে তাতে নামানো হয়েছে শিশুদের। শুধু জঙ্গীপুরে নয়, এই মুসলিম শিশুকিশোরেরা পাথর ছোঁড়া থেকে আগুন লাগানো, সব কিছুতেই হাত পাকিয়েছে বিভিন্ন স্থানে। পুলিশ কিছুই করেনি, গুলি চালানোতো দূরের কথা। ফলে পুলিশের লাঠি বা কোন আক্রমণে দাঙ্গাবাজদের কোন হতাহতের কোন খবর নেই। আসলে মুখ্যমন্ত্রী থেকে স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবিকুল – কারো বক্তব্যে কোন জোর ছিল না। মামুলী শান্তির আহ্বান, আইন হাতে না নেওয়ার মিনতি আর পরে শাস্তির দুর্বল হুমকি। ফলে এই জেহাদী দাঙ্গাবাজেরা জানে পুলিশ এই রাজ্যের পুলিশ তাদের কিছু করবে না। যখন বিখ্যাত সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিতাড়িত করতে মধ্য কলকাতায় সারা দিন ধরে ইসলামী মৌলবাদীরা আগুন জ্বালিয়েছিল, বা দেগঙ্গায় জেহাদী জনতা হিন্দু বাড়ীঘর ভাঙচুর করছিল তখন কমুনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পুলিশ কিছুই করেনি। তারপর তৃণমূলের জমানায় কালিয়াচকে ইসলামী জনতার পুলিশ ফাঁড়ী পোড়ান থেকে, ধুলাগড় বা রাজাবাজার ট্রাম ডিপোতে ৪৬টি বাস, ১১টি গাড়ি ও ২টি ট্রাম জ্বালানো ইত্যাদি ইত্যাদি – কোথাও পুলিশ বিশেষ কিছুই করে নি। ফলে শুক্রবারের জেহাদী জনতা এত হিংসাত্মক কাণ্ড করেও শনিবার নিশ্চিন্তে নেমেছিল আরো হিংসা ছড়াতে, পশ্চিমবঙ্গকে দেখিয়ে দিতে আসলে রাজ্যটা কারা চালায়। ফলে এরপর তাঁরা রবিবারটাই বা বাদ দেবে কেন?

সৌজন্যে রাজ্য উদ্বাস্তু সেল, ভারতীয় জনতা পার্টি, পশ্চিমবঙ্গ