কমিউনিষ্ট চীন করোনাভাইরাসের তদন্তে বাধা দিচ্ছে WHOকে, চোরের মায়ের বড়ো গলা?

0
594

বঙ্গদেশ ডেস্ক– সোমবার নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কে নভেল করোনা ভাইরাস উৎসের তদন্ত থেকে সক্রিয়ভাবে বাধা দিয়েছে। করোনা ভাইরাস সবার প্রথমে চীনের উহানের একটি এক্সোটিক প্রাণী মাংসের বাজারে প্রথম পাওয়া গেছিল বলে জানা গেছে।

তবে কিছু পর্যবেক্ষক ইতিমধ্যে ভাইরাসটির উৎস সম্পর্কে এই তথ্যটি নিয়ে হাজারো প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যান্য ইস্যুগুলির মধ্যে, মূল হোস্ট প্রাণী হিসেবে বাদুড়ের (bat) একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির কথা বলা হচ্ছে। চৈনিক অথোরিটি জানিয়েছে, এই নির্দিষ্ট প্রাণীটি ওই বাজারে বিক্রিই হয়না। তবে উহান শহরে ভাইরোলজির একটি ল্যাব রয়েছে যেখানে এ ধরনের মারাত্মক ভাইরাসগুলির অধ্যয়ন করা হয়ে থাকে।

করোনাভাইরাসের উৎস সম্পর্কে তদন্ত, ভবিষ্যতে মহামারী রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু কমিউনিস্ট চীন ডাব্লুএইচ.ও.কে অনুমতি দিচ্ছে না একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনা করার জন্যে, টাইমস পত্রিকার সংগ্রহে থাকা অভ্যন্তরীণ নথি এবং সাক্ষাৎকার অনুসারে প্রকাশিত খবর থেকে এই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

দলিলগুলি থেকে দেখা যায় যে প্রথম পর্যায়ে করোনভাইরাস রোগীদের উপর গবেষণা এবং পশুর বাজারে রোগের প্রাদুর্ভাব বিষয়ে তদন্ত, ডাব্লু.এইচ.ও. দ্বারা নয় বরং চীনা বিজ্ঞানীরা পরিচালনা করবেন। সেখানে হু-এর কর্মীরা সেই গবেষণাকে পরিচালনা না করে কেবল পরিদর্শন করতে সক্ষম হন। WHO কর্মকর্তারা গোপনে অভিযোগ করেছেন যে, চীন তাঁদের তদন্তের প্রাসঙ্গিক উপকরণগুলিতে সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস দেয়নি, একই সময়ে অবশ্য এই মহামারীতে চীনের ভূমিকা সম্পর্কে বাহ্যিকভাবে প্রশংসা করেছে।

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ আইন বিভাগের অধ্যাপক লরেন্স ও গোস্টিন, এজেন্সির তদন্ত সম্পর্কে টাইমসকে বলেছিলেন, “এটা একেবারে হোয়াইটওয়াশ করার একটি প্রচেষ্টা।” তিনি বিদ্রুপ করে বলেন, “এর চেয়ে তারা শি জিনপিংয়ের সাথে আলোচনা করেই রিপোর্ট তৈরি করতে পারত।”

ট্রাম্প প্রশাসন করোনাভাইরাস ছড়ানো আটকাতে চীনের ব্যর্থতার বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ডাব্লু.এইচ.ও-কে দেওয়া মার্কিন তহবিল হ্রাস করেছেন, কয়ারণ হিসেবে হু-কে দায় করে বলেছেন যে তারা তোতা।পাখির মত চীনের হয়ে প্রোপাগান্ডা করছে।

করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ১.২ মিলিয়ন মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে এবং ৪ মিলিয়নেরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ ও মৃত ব্যক্তির প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে, এই হত্যালীলা থামারও কোনো সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতে দেখা যাচ্ছে না।