শেষ ছক্কার দান কার?

0
745

– শ্রী সুখরঞ্জন সেনগুপ্ত

 

ভোটের ফলাফলে স্তম্ভিত পশ্চিমবাংলার “রাজনীতি সচেতন” মানুষদের স্মরণ করতে বলছি ৩০ এপ্রিল (২০০৬) তারিখের “বর্তমান” পত্রিকার বরুণ সেনগুপ্তের রবিবারের নিবন্ধটিকে। ওই লেখায় তিনি লিখেছিলেন: “….সিপিএম যদি এবারও পশ্চিমবঙ্গে জেতে তাহলে তাদের সবচেয়ে আগে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত সোনিয়া গান্ধীকে” – এটাই হল পশ্চিমবাংলার ২০০৬ সালের বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফলের উৎসকেন্দ্র। এই উৎসকে কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে ধরে ১৯৭১ সালের লোকসভার মধ্যবর্তী নির্বাচন ও পরবর্তী কয়েক বছরের ভারতীয় রাজনীতির ব্যাসার্ধ টানছি। স্মরণ করছি সিপিআইএমের সবচেয়ে দাপুটে এমপি জ্যোতির্ময় বসুকে। আগেরবারের মতোই ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারীতে লোকসভার ভোটে তিনি ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে লোকসভার আসনে নির্বাচন প্রার্থী।

ভোটের দিন প্রায় মধ্যরাত্রি থেকে আলিপুর ট্রেজারি অফিসের “স্ট্রং রুমের” বারান্দার অদূরে খোলা জায়গায় শতরঞ্চি ও কম্বল বিছিয়ে জ্যোতির্ময় বসু বসে রয়েছেন। সঙ্গে তাঁর একান্ত অনুগত তিন-চারটি অল্পবয়সী ছেলে। ভোটের পর বলতে গেলে মধ্যরাত্রি থেকে ব্যালট বাক্সগুলি ট্রেজারির “স্ট্রং উমে” ঢুকতে লাগলো খেপে খেপে।

ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস দিয়ে মোড়া “স্ট্রং রুমের” সিল করা দরজার দিকে পলকহীন চোখে জ্যোতির্ময়বাবু আড়াইটে রাত্রি ও দুটো দিন ভোটগণনার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন উদ্বিগ্ন চোখে। ওই সময় একদিন তাঁকে ওই অবস্থায় প্রশ্ন করেছিলাম, “এতো সন্দেহ, এতো অবিশ্বাস কেন?” তিনি দপ করে জ্বলে উঠে বলেছিলেন, “তোমার প্রশ্ন শুনেই বলছি, তুমি ছেলেমানুষ। তুমি ইন্দিরা গান্ধীকে চেনো না।……” (এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার যে, জ্যোতির্ময় বসুই প্রথম ভারতীয় রাজনীতিবিদ যিনি দেশের মানুষকে প্রথম জানিয়েছিলেন যে, ইন্দিরা গান্ধী র’ (RAW) নামক একটি গুপ্ত পুলিশ সংগঠন গড়ে তুলেছেন এবং এটার সাহায্য নিয়েই ইন্দিরা তাঁর রাজনৈতিক আধিপত্য অব্যাহত রাখবেন।

উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৬৯ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেস ভাঙার বেশ কয়েক মাস আগেই জ্যোতির্ময়বাবু RAW-এর অস্তিত্ব ফ্যানস করে দিয়েছিলেন।) জ্যোতির্ময়বাবু ক্রুদ্ধ কণ্ঠে আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, কিন্তু তাঁর চোখ ছিল আলিপুর ট্রেজারির “স্ট্রংরুমের” দিকে।  তিনি বলেছিলেন,”…………..এই লোকসভায় ইন্দিরা এমন একটা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছেন, যাতে তিনি খুব বড় কোনও খেলা খেলবেন। সংগঠন কংগ্রেসকে তিনি দুরমুশ করবেন বলতে পারো। আমার ভয় কেন?  আমি RAW-এর কথা ফাঁস করে ইন্দিরাকে ভয়ানক অস্বস্তিতে ফেলেছি। উনি জানতে পেরেছেন, আমি ওই ব্যাপারটা প্রথম মোরারজিভাইকে জানাই। পরে জয়প্রকাশকেও বলেছি। তাই সুযোগ পেলে ইন্দিরা গান্ধী আমাকে কিছুতেই ছাড়বেন না। তাই এই ছেলেগুলিকে কষ্ট দিয়ে খেলা জায়গায় রাত কাটাচ্ছি….।”

১৯৭১ সালের লোকসভার ফলাফলে জ্যোতির্ময় বসুর আশঙ্কাই সত্য হয়েছিল। সংগঠন কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতা – উত্তরপ্রদেশের সি বি গুপ্ত, রাজস্থানের মোহনলাল সুখাড়িয়া, ওড়িশার বিজু পট্টনায়ক, গুজরাতের এম কে পাতিল, অন্ধ্রের সঞ্জীব রেড্ডি, কর্ণাটকের রামকৃষ্ণ হেগড়ের মতো নেতাদের ধূলিসাৎ করে দিলেন ইন্দিরা গান্ধী। জনগণের আবেগ, অনুভূতি ও বিবেক যে সব সময় ভোটের ফলাফলে প্রতিফলিত হয় না এবং ভোটের বাক্স দিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা যে বলানো যেতে পারে, তার সূচনা ঘটেছিল কিন্তু সেই ১৯৭১ সালের লোকসভার নির্বাচেনর মধ্য দিয়েই। ভারতীয় রাজনীতিকে কলুষিত করার প্রথম মহড়ার নায়ক ছিল এই RAW – যার পুরো নাম Research and Analysis Wing এবং যার জন্মদাতা সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার গুপ্ত পুলিশ সংগঠন কে জি বি (KGB)!

১৯৭১ সালের রাজনৈতিক চিত্র আজকের ভারতে নেই, এমনকি এই উপমহাদেশেও নেই। সেদিনের সিপিআইএম ইন্দিরা কংগ্রেসের সাথে সিপিআইয়ের রাজনৈতিক জোটের তীব্র বিরোধী ছিল। সেদিন এই জোটের বিরুদ্ধে পশ্চিমবাংলায় সিপিআইএমের স্লোগান ছিল, “দিল্লি থেকে এলো গাই, সঙ্গে বাছুর সিপিআই।” কলকাতার দেওয়ালে দেওয়ালে  ব্যঙ্গচিত্র  ছিল – ইন্দিরার মুখ-বসানো গরু এবং সেই গরুর দুধের বাঁট চুষছে রাজেশ্বর রাওয়ের মুখ-বসানো বাছুর।  (সেবার নির্বাচনে ইন্দিরা কংগ্রেসের প্রতীকচিহ্ন ছিল গাই-বাছুর।)

কালচক্রের আবর্তনে আজ ইন্দিরা গান্ধী নেই। তাঁর জায়গা নিয়েছেন তাঁরই ইতালিয়ান পুত্রবধূ সোনিয়া গান্ধী।  ইন্দিরা গান্ধীর মতো তিনি কংগ্রেসকে সম্পূর্ণ করায়ত্ত করেছেন। চলা-বলা-কণ্ঠস্বর, শাড়ি পড়ার কায়দা, জনসভায় দাঁড়িয়ে মাথায় ঘোমটা টানার ঢং – সবই যেন ইন্দিরা গান্ধীকে ফিরে পাওয়া। ইংরেজিতে সেটাকে stepped into the shoe বলা হয়, সেই অর্থে ইন্দিরার ‘জুতো’ ঠিকমতোই পায়ে গলিয়েছেন সোনিয়া। তফাৎ কেবল ইন্দিরা ভারতকে Indira is India জানানোর জন্য সিপিআইকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। আর সোনিয়া সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে তাবৎ বামপন্থীদের স্কন্ধে তাঁর চরণযুগল স্থাপন করেছেন। এই চিত্রটির বিন্যাসেই পশ্চিমবাংলার নির্বাচনের ফলাফলকে দেখতে হবে, সেখানে রাজ্যের মানুষের অনুভূতি, আবেগ ও বিবেক প্রতিফলিত হয়েছে কি?

১৯৬৯ সালে ইন্দিরা যখন কংগ্রেসকে ভাঙলেন, তখন লোকসভায় ইন্দিরা কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৪৩। ইন্দিরা-বিরোধী সংগঠন কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন দলের ১৪০ জন এমপি। দুই কমিউনিস্ট পার্টি ও অন্যান্য বামপন্থীদের সাহায্যে ইন্দিরা ব্যাংক জাতীয়করণ, রাজন্যভাতা বিলোপ এবং আইসিএস অফিসারদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধার অবসান ঘটালেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ব্যাংক জাতীয়করণ ও রাজন্যভাতা বিলোপ আইন “সংবিধান-বিরোধী” বলে নাকচ করে দিলে কমিউনিস্টদের সাহায্য নিয়ে আবার ইন্দিরা “সম্পত্তির অধিকার, মৌলিক অধিকার”, সংবিধানের এই ২২৬ নম্বর ধারার সংশোধন করিয়ে নিলেন। এই সময় ইন্দিরা গান্ধীর শক্তির প্রধান উৎসকেন্দ্র ছিল গুপ্ত গোযেন্দা সংস্থা ‘র’ (RAW), প্রথাগত ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB) এবং ভারতের রাজনীতির দুই বিখ্যাত সোভিয়েত এজেন্ট পিএন হাকসার ও ডিপি ধর।

এই প্রেক্ষাপটে ইন্দিরা ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরের শেষে লোকসভা ভেঙে দিয়ে ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মধ্যবর্তী নির্বাচন করালেন। এই নির্বাচনে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল সংগঠন কংগ্রেসকে ধূলিসাৎ করা। ১৪৩ জন এমপি হাতে নিয়ে যিনি কংগ্রেস ভেঙেছিলেন, তিনি ১৯৭১ সালের মধ্যব্রতী নির্বাচনে নিজে ৩৪২ টি আসন দখল করে সংগঠন কংগ্রেসকে মাত্র ১৬টি আসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের নির্বাচনের এই অবিশ্বাস্য ফল যেভাবে বানানো হয়েছিল, সেভাবেই কি ২০০৬ সালের পশ্চিমবাংলার বিধানসভার নির্বাচনের ফল বানানো হয়েছে? ১৯৭১ সালে বিধ্বস্ত সংগঠন কংগ্রেস যেমন প্রমাণ করতে পারেনি ইন্দিরা গান্ধীর এই গুপ্ত কার্যকলাপ, তেমন পরিণতিই কি এবার হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের?

তবু ১৯৭১ সালে অন্তত একজন ইন্দিরা গান্ধীর “বড় খেলা” সম্পর্কে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু এবার সোনিয়া গান্ধীর ‘বড় খেলার’ ফল কে বলতে পারেন?

ইতিহাসে কখনও কখনও দুই দূরবর্তী ব্যক্তির রাজনৌতিক উক্তির মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন ১৯৬৬ সালের জানুয়ারির ৭/৮ তারিখে সেই আমলের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মহাবিতর্কিত “সিন্ডিকেট” ইন্দিরা গান্ধীকেই যখন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত করলেন,  তখন এই সিদ্ধান্তে বিক্ষুব্ধ হয়ে পশ্চিমবাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেন কামরাজ, অতুল্য ঘোষ, সঞ্জীব রেড্ডিদের বলেছিলেন, “……….ইন্দিরাকে প্রধানমন্ত্রী করলেন, ইন্দিরা কমিউনিস্ট, ইন্দিরা কংগ্রেস ভাঙবে, দেশের সর্বনাশ করবে।” কেবল উক্তি নয়, প্রফুল্লবাবু কংগ্রেস সভাপতি কামরাজকে লিখিতভাবেও ওই কথাগুলি জানিয়েছিলেন। ঠিক এর চার বছর ন’ মাসের সময় ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লির রামলীলা ময়দানে ভাঙা কংগ্রেসের জনসভায় বিক্ষুব্ধ, বিষণ্ণ, হতমান কামরাজ প্রফুল্লচন্দ্র সেনের ওই পত্রটি পাঠ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রফুল্লচন্দ্র সেন বেশ কয়েকটি হটকারী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতিতে প্রফুল্লচন্দ্র সেন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে তাঁর দূরদর্শিতার জন্যে। অনেকটা এরকম ভাবেই ১৯৯৭ সাল নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবাংলার মানুষকে জানিয়েছিলেন যে, “সোনিয়া গান্ধী সিপিএম নেতৃত্ব জ্যোতি বসু, হরকিষেন সিং সুরজিতের সঙ্গে এক গোপন আঁতাতে আবদ্ধ হয়েছেন।” মমতার ওই উক্তির সাত বছরের মাথায় সোনিয়া গান্ধী সিপিএমের সমর্থন নিয়ে দিল্লিতে সরকার গড়েছেন। এই সরকার গড়ার আসল লক্ষ্য ছিল ২০০৬-এর পশ্চিমবাংলার নির্বাচন। কেবল “ভালোবাসা” দিয়ে নয়, কেবল “মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার রুখতে নয়”, কেবল “ইরাক ও ইরানের সার্বভৌমত্ব রক্ষার” আন্দোলনের শামিল হওয়ার জন্য নয়, শুধুমাত্র পশ্চিমবাংলাকে হাতের মুঠোয় রাখার জন্যই কেন্দ্রে সোনিয়া গান্ধীকে সিপিআইএমের এই সমর্থন। কেবলমাত্র পশ্চিমবাংলায় সিপিআইএম কে সাহায্য করার জন্য সোনিয়া গান্ধী ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে মমতাকে প্রকারান্তরে লোকসভা থেকে তাড়িয়ে দিলেন। লক্ষ্য কেবল একটাই, সিপিআইএমের বিরুদ্ধে লোকসভায় কোনও শব্দ যাতে উচ্চারিত না হয়। ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী ভোটের “বড় খেলার” সূচনা করেছিলেন পাকিস্তান ভেঙে দিয়ে।  তারপর সুপ্রিম কোর্টকে “ন্যাশনালাইজ” করার পদক্ষেপ হিসাবে ছ’ জন সিনিয়র বিচারপতিকে ডিঙিয়ে বাঙালী কমিউনিস্টদের পছন্দের বিচারপতি অজিতনাথ রায়কে দেশের প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ, গুপ্ত পুলিশ দিয়ে সমস্তিপুরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেলমন্ত্রী ললিতনারায়ণ মিশ্রকে হত্যা, হত্যার দায়িত্ব জয়প্রকাশ নারায়ণের ওপর চাপানোর চেষ্টা, সর্বশেষ জরুরি অবস্থা ঘোষণা। এগুলি সবই ১৯৭১ সালের ভোটে ইন্দিরার “অসামান্য সাফল্যের” পর।

কিন্তু এবার পশ্চিমবাংলায় সিপিআইএম পার্টির “অসামান্য সাফল্যের” পরিণতি কী? নিশ্চিতভাবেই, সোনিয়া গান্ধী সিপিএমকে “সাফল্যের” সিংহাসনে বসিয়ে ২০০৭ সালে উত্তরপ্রদেশ চাইবেন। তখন কি জ্যোতিবাবুরা তাঁদের অনেক দিনের “বন্ধু” মুলায়ম সিংকে রক্ষা করতে পারবেন? তারপর ২০০৭ সালেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এসব হিসাবনিকাশের আসল চাবিকাঠি পশ্চিমবাংলার মসনদের কাছে। এখন ২০০৭ সালে সোনিয়া গান্ধীর “বড় খেলায় ‘ শেষ চক্কর দান কার, ভারতেশ্বরী সোনিয়ার, নাকি ভারতের কমিউনিস্ট সম্রাট জ্যোতিবাবুর?

 

 (কিছু কথা – এই লেখাটি ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক বর্তমান পত্রিকায় এক “বিশেষ নিবন্ধ” হিসেবে। লেখক শ্রী সুখরঞ্জন সেনগুপ্ত পশ্চিমবঙ্গের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে পরিগণিত হন। তাঁর সাংবাদিক জীবনের সূচনা হয় ৫০ র দশকে “লোকসেবক” পত্রিকায়।  পরবর্তীকালে তিনি “জনসেবক”, “যুগান্তর” ও “আনন্দবাজার পত্রিকা” য় কাজ করেন সুনামের সাথে। শেষের দিকে তিনি যুক্ত ছিলেন “দৈনিক স্টেটসম্যান” র সাথে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের মরিচঝাঁপি গণহত্যা (তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত) সংক্রান্ত  তাঁর গোপন রিপোর্ট সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে রাজ্যব্যাপী জনসমাজ ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। তাঁর লেখা গ্রন্থমসূহ “নকশালবাড়ি থেকে আরবান গেরিলা”, “ফজলুল হক থেকে জ্যোতি বসু”, “বঙ্গসংহার এবং” অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি সম্প্রতি পরলোকগমন করেছেন।

আলোচ্য লেখাটি (যথাবৎ) পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় রাজনীতির কয়েকটি missing link র সাথে উৎসুক পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।)