আবারও মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার আল-কায়েদা জঙ্গি আবদুল মোমেন মণ্ডল

0
637

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- পশ্চিমবঙ্গে পুনরায় এক আল কায়দা জঙ্গি গ্রেফতার। ঘটনাস্থল সেই একই মুর্শিদাবাদ। আবদুল মোমিন মণ্ডল নামের এক ব্যক্তিকে আল কায়েদার সাথে সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ায় গ্রেফতার করলো জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। মুর্শিদাবাদের রানিনগর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এনআইএ সূত্রে জানা যায়, আবদুল মোমিন মণ্ডলের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিপূর্বে মুর্শিদাবাদ থেকেই গ্রেফতারকৃত আল-কায়েদা জঙ্গিদের জেরা করেই আবদুলের মোমিন মণ্ডলের নাম পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, এর আগে মুর্শিদাবাদ থেকে ছয় জন এবং কেরালা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে ডিজিটাল ডিভাইস, জেহাদি বক্তৃতার নথি, ধারালো অস্ত্র, দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, স্থানীয়ভাবে তৈরি অস্ত্র বর্ম, বাড়িতে বিস্ফোরক তৈরির বিভিন্ন নিবন্ধ ও কাগজপত্র, ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আরও দুই জনকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্য থেকে ধৃত এই মোট ৮ জনই সক্রিয়ভাবে আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত ছিল। এনআইএ সূত্রে খবর, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একটি আন্তঃরাজ্য আল কায়দা মডিউলের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য মিলেছিল। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে হামলা চালানোর ছক কষছিল সেই মডিউল। তার ভিত্তিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। মূলত যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তৈরি করে তাদেরকে এই জঙ্গি সংগঠনে রিক্রুট করে ইসলামিক জিহাদে অংশগ্রহণ করানোর দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল তাদের ওপর। সেই অনুযায়ী তারা নিজেদের নেটওয়ার্ক বিস্তারের জন্য ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে নাশকতার ছকও কষেছিল বলে অভিযোগ। এবার গ্রেফতার করা হলো নবম আল-কায়েদা জঙ্গিকে।

পুলিশ ধৃত আবদুল মোমিন মণ্ডলকে রানিনগর থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বিভিন্ন অসঙ্গতি পাওয়ায় আবদুলকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও যন্ত্রপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে। বোমা তৈরির পাশাপাশি আবদুল মোমিন মণ্ডল আল কায়দার হয়ে গোপনে প্রচার চালাতো। রিমান্ডের জন্য তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় ধৃতদের মগজধোলাই করেছিল পাকিস্তানের আল-কায়দা জঙ্গিরা। এনআইএ সূত্রে জানা যায়, ধৃত আল-কায়েদা জঙ্গিদের রাজধানী-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালানোর জন্য ‘উদ্বুদ্ধ’ করা হয়েছিল ইসলামিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে। ওই মডিউলের সদস্যরা টাকা তুলছিল এবং অস্ত্র ও গোলা-বারুদের জন্য কয়েকজন জঙ্গি নয়াদিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। অস্ত্র সরবরাহের জন্য মুর্শিদাবাদ ও এনার্কুলামে ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে চারজনের কাশ্মীরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এই ৯ জঙ্গিকে গ্রেফতারির ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার ছক রুখে দেওয়া গিয়েছে ও প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ।