আসামে নাগরিকত্ব প্রমাণের আইনী লড়াইয়ে ক্লান্ত হয়ে আত্মঘাতী বাঙ্গালী প্রৌঢ়

0
483

বঙ্গদেশ ডেস্ক:আসামে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের ঘেরাটোপকে কেন্দ্র করে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছ। দীর্ঘ তিন বছর ধরে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে মঙ্গলবার আত্মঘাতী হয়েছেন আসামের ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ। তিনি বোরখাল গ্রামের বাসিন্দা, মানিক দাস নামের ওই বৃদ্ধ পেশায় ছিলেন একজন শুঁটকি মাছ বিক্রেতা।

সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, পুলিশ জানিয়েছে যে, মানিক দাস রবিবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়। দেহ ময়নাতদন্তের পর বুধবার দাহ করা হয়েছে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেহ পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান এটি আত্মহত্যা। তবে আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারব।

২০১৯ সালে এনআরসি থেকে নাম বাদ যাওয়ার পর ওই বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে আইনি লড়াই শুরু করেন তিনি। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে তাঁর মামলার শুনানি চলছিল। তাঁর পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে চিন্তা করে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ। তাঁর ছেলে কার্তিক দাস বলেছেন, বাবা-সহ পরিবারের সকলের নাম এনআরসির তালিকায় ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বাবা একটি নোটিশ পেয়েছেন, যেখানে তাঁকে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে বলে জানানো হয়।

মানিক দাসের আইনজীবী দীপক বিশ্বাস জানিয়েছেন, তার মক্কেলের পরিচয়পত্র-সহ সব জরুরি কাগজপত্র, প্যান, আধার, জমির দলিল ঠিকঠাক ছিল। ট্রাইব্যুনালে নিজেই উত্তর দিয়েছিলেন আমার মক্কেল। এর পর সাক্ষী পেশ করার কথা ছিল পরবর্তী শুনানিতে। আইনজীবী আফসোস করে বলেছেন, ট্রাইব্যুনালে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারতেন মানিক দাস।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আর‌এস‌এস প্রধান মোহন ভাগবত উত্তর পূর্ব সফরে শিলচরে এসেছিলেন। সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন তিনি বরাক উপত্যকার আরএসএস-বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে শুধুমাত্র বরাকের বাঙ্গালী হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।